বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং , ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরী

ওমরাহ্ হজ্জ্ব কিভাবে পালন করব

নিজস্ব প্রতিবেদক  আলোকিত সংবাদ

 প্রকাশিত: ৩:০৭ অপরাহ্ণ, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯

ছবি: আলোকিত সংবাদ

নবীয়ে করিম (দঃ) এরশাদ করেন- হজ্ব ও ওমরাহ মানুষের গুনাহ সমুহকে এমনভাবে দুরিভুত করে যেমন ভাট্টি সোনা চান্দি ও লোহার ময়লা দুর করে দেয়।

আর রমজান মাসে ওমরা করার ব্যাপারে রাসুল (দঃ) এরশাদ করেন- যে ব্যক্তি রমজান মাসে ওমরা করল সে যেন আমার সাথে হজ্ব করল।

ওমরাহ শব্দের আভিধানিক অর্থ- যিয়ারত করা, দর্শন করা  ৷ তবে শরীয়তের ভাষায়- শরীয়ত নির্দেশিত বিশেষ পদ্ধতিতে ইহরামসহ, কাবা শরীফের চর্তুদিকে তাওয়াফ করা, সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মধ্যস্থলে সাঈ করা এবং মাথা মুন্ডানোকে ওমরাহ বলে৷

বছরের যে কোন সময় ওমরাহ পালন করা জায়েয ৷ শুধু ৫দিন অর্থাৎ ৯ই যিলহজ্জ হতে ১৩ই যিলহজ্জ পর্যন্ত ওমরার ইহরাম বাঁধা মাকরূহে তাহরীমী৷

ওমরার তিন ফরজ- নিয়ত করা, ইহরাম বাধা ও তাওয়াফ করা এবং ওমরাহর ওয়াজিব হলো-  তাওয়াফের দুই রাকায়াত  নামায, ওমরাহর সাঈ (সাফা ও মারওয়া মধ্যবর্তী (সবুজ বাতি) স্থানে সাতবার সায়ী করা ও  হলক করা/মাথা মুন্ডন করা ।

যখন কোন মানুষ কোন এবাদত করার ইচ্ছা করে তখন তার উপর জরুরী সে এবাদত এর বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করা । যদি সঠিক জ্ঞান না থাকে তাহলে অনেক ধরনের ভুলভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবং সাওয়াব এর পরিবর্তে গুনাহগার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওমরাহও এমন একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও ফযিলতপুর্ন এবাদত তাই এ এবাদত করার পূর্বে তার সম্পর্কে জরুরী জ্ঞান অর্জন করে নেয়া জরুরী।

প্রথমেই যে ট্রাভেলস থেকে যাবেন তার সকল তথ্য নিবেন । কোন এয়ারলাইনস এ যাবে রাস্তায় ট্রানজিট আছে কিনা থাকলেও কোন দেশে এবং কত ঘন্টা ট্রানজিট ? আপনার নিকট এটা ইবাদত হলেও তাদের নিকট এটা ব্যবসা, তাই ভালভাবে জেনে বুকিং দিবেন । কোন হোটেলে রাখবে এবং হারাম শরীফ ও মসজীদে নববী থেকে কত মিনিটের পায়ে জাটার রাস্তা ? কয় বেলা খাওয়াবে? কোন কোন জায়গায় জিয়ারা করাবে? এসব জানার পর বুকিং দিবেন ।

নিচের লেখাটা পড়লে আশাাকরি আপনি সঠিকভাবে পবিত্র ওমরাহ পালন করে আসতে পারবেন এবং কোন বিড়স্বনার শিকার হবেন না ।

লাগেজ গোছানোর পূর্বে জেনে নিবেন সৌদি আরবের তাপমাত্রা কেমন সে অনুযায়ী কাপড় ও ঔষধ নিবেন ।

ইহরাম বাধার পরে যা করা যাবে না

(১) হাত পায়ের নখ কাটা।

(২) আতর বা সুগন্ধি জাতীয় জিনিস ব্যবহার করা।

(৩) স্বামী-স্ত্রী একান্ত নিবাশ করা বা এ জাতীয় বিষয়ে আলাপ আলোচনা করা।

ইহরামের কাপড় পরা ও নিয়ত করার আগে শরীরের প্রয়োজনীয় পরিস্কার পরিচ্ছন্নের কাজ করে নিতে হবে।

পুরুষের জন্য  এহরামের কাপড় ২ জোড়া নিলে কোন ঝুকি থাকে না ।। ময়লা হয়ে গেলে তাই ২ জোড়া নেয়া উত্তম। মহিলাদের এহরামের আলাদা কাপড়ের প্রয়োজন নেই ।

পুরুষের জন্য: পুরুষরা ইহরামের জন্য প্রস্তুত কৃত সাদা দুটি চাদর নিচের অংশের জন্য আড়াই হাত প্রস্থ ও পাঁচ হাত চওড়া এবং উপরের অংশ ছয় হাত।

মহিলাদের জন্য: মহিলারা তাদের সাধারণ সুন্নতি পোষাক পরবে (সেলোয়ার কামিজ, বোরকা, পা মোজা, হতা মোজা)

পাঞ্জাবী, পায়জামা, লুঙ্গি, গেঞ্জি, টুপি, কলম, ডায়রী ও সাথে রাখার একটি মজবুত ছোট ব্যাগ নিবেন যার ভিতরে পাসপোর্ট অল্প সংখ্যক টাকা ও অতি প্রয়োজনীয় জিনিস থাকবে । প্যান্ট-শার্ট না নেয়াই উত্তম । একটা ওমরাহ করার পদ্ধতির বই সাথে রাখবেন। পাসপোর্ট ও ভিসার ফটোকপি সঙ্গে রাখুন, নাহলে পরে ঝামেলায় পড়বেন । মোবাইলের চার্জারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস অবশ্যই নিবেন । এক জোড়া কমদামী সেন্ডেল নিবেন যা ইহরামের কাপড়ের সাথে পড়বেন কেননা মসজিদুল হারামে নামাজের সময় তা হারিয়ে যাবে । মোয়াল্লেমের সৌদি নম্বর সেভ করুন ।

যারা প্রথমে মক্কায় যাবেন-

পুরুষরা যদি ঘর থেকেই এহরাম বাঁধতে চায় তাতে কোন সমস্যা নাই কিন্তু আপনি ঘর থেকে ওমরাহ এর নিয়ত করবেন না।

আপনার ঘরের সদস্য আত্মীয় স্বজনগনের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের থেকে মাফ চেয়ে নিন। আর কেহ আপনাকে কষ্ট দিলে তাকেও মাফ করে দিন। সকল থেকে ভালভাবে বিদায় নিয়ে এয়ারপোর্ট এর দিকে রওয়ানা হয়ে যাবেন।

যারা প্রথমে মদীনায় যাবেন তারা এহরাম বাঁধবেন না। আবিয়ারে আলী নামক স্থানে যে মিকাত পাবেন সেখানে এহরাম বেঁধে ওমরাহ এর নিয়ত করবেন। বাসা থেকে এহরাম বাধলে আর কোন বাড়তি চাপ থাকে না ।

গোসল শেষে এহরাম এর কাপড় পড়ে ২ রাকাত নফল আদায় করবেন। প্রথম রাকাতে সুরা কাফেরুন ২য় রাকাতে সুরা এখলাছ। তবে দেখবেন যেন মকরুহ ওয়াক্ত না হয়। (এহরাম পড়ে নেয়ার পর কোন ধরনের খুশব ব্যবহার করা নিষেধ। তেমনি ভাবে পুরুষদের জন্য মাথা ঢাকাও নিষেধ।)

এরপর পবিত্র ওমরাহ এর নিয়ত করবেন- (আল্লাহুম্মাহুম্ম ইন্নী উরিদুল ওমরাতা ফায়াচ্ছিরহা লি ওয়াতাকাব্বালহা মিন্নি ওয়াআইন্নি আলাইহা ওয়াবারিক লি ফিহা নাওয়াইতুল ওমরাতা ওয়া আহরামতু বিহা লিল্লাহি তায়ালা) । অথবা, হে আল্লাহ! আপনার সন্তষ্টির জন্য ওমরাহ হজ্জ্ব পালন করিতেছি । আপনি আমার ওমরাহ হজ্জ্বকে কবুল করুন, সহজ করুন ।

তারপর ৩বার তালবিয়া পড়বেন-  (লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক,  লাব্বাইক আলা শারিকালাকা লাব্বাইক,  ইন্নাল হামদা ওয়ান্নি মাতা লাকাওয়াল মুলক,  লা শারিকালাক) সাথে সাথে এহরাম বলবৎ হবে ।

বিমানে ওঠে বেশী বেশী তালবিয়া ও অন্যান্য  দোয়া পড়বেন । জেদ্দা এয়ারপোর্টে প্রয়োজনীয় কাজ সেড়ে নিজের ব্যাগেজ বোঝে নিয়ে মক্কা মুকারামার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে মক্কা শরীফের দুরত্ব ৮৫ কিঃমিঃ। গাড়ীতে উঠে মোয়াল্লেম পাসপোর্ট নিয়ে নিবে । মক্কা মুকারামা ঐ সম্মানিত শহর যাতে নবী করিম (দঃ) তাঁর জীবনের শুরু ৫৩ বছর কাটিয়েছেন। ৪০ বছরে  নবুওয়াত পাওয়ার পর ১৩ বছর ছিলেন এরপর মদিনা মনোয়ারায় হিজরত করে ১০ বছর জাহেরী ভাবে মদীনায় ছিলেন। সুতরাং এমন সম্মানিত শহরে যথাসম্ভব আদব ও এহতেরাম এর সাথে আপনার চলাচল করা জরুরী।

কেননা নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন মক্কায় একটা নেকি ১লাখ নেকির সমান।

এবার আপনি আপনার রুমে গিয়ে আপনার মালামাল রেখে যদি গোসল করতে চান তাহলে গোসল করে নিতে পারেন, এহরাম অবস্থায় গোসল করা নিষেধ নয়।

ফ্রেশ হওয়ার পর আপনি চাইলে কিছুক্ষন আরাম করতে পারেন। সম্পূর্ণ রুপে বিশ্রাম করে ফ্রেশ হওয়ার পর এবার আপনি মসজিদে হারাম এর দিকে যাবেন ওমরাহ করার জন্য। মনটাকে একেবারে নরম করে নিবেন। নিজেকে অপরাধী ও গুনাহগার ভাবতে থাকুন মনে করবেন আপনার বিগত জীবনের সকল গুনাহ ক্ষমাকরানোর জন্য মহান রবের বারগাহে হাজির হচ্ছেন। অনেকের ভাগ্যে এ সুযোগ জীবনে শুধু একবারই আসে। তাই আল্লাহর দিকে যত বেশী মনযোগ হবে তত বেশী উত্তম।

যখন মসজিদে হারাম প্রবেশ করবেন সাথে একটা ব্যাগ রাখবেন সে থলেতে আপনার চপ্পল রেখে তা বাহিরে জুতা রাখার স্থানে রাখতে পারবেন। অনেকে জুতা হারিয়ে ফেলে পরে অন্যের জুতা নিয়ে চলে যায়। এটা জায়েজ নয়। আপনি এ ধরনের ভুল করবেন না।

ডান পা দিয়ে বিসমিল্লাহি, ওয়াস সালাতু  ওয়াসালামু আলা রাসুলিল্লাহি, আল্লাহুম্মাফ তাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা পাঠ করে মসজিদে প্রবেশ করবেন।

হারাম শরীফ পার হয়ে যখন কাবা শরীফের কালো গিলাপ চোখে পড়বে সাথে সাথে বলবেন হে আল্লাহ! সফরের সকল নেক দোয়া কবুল করুন বলে সাথে সাথেই দোয়া করবেন কেননা এ দোয়া কবুল হয় ।

পুরুষরা ডান কাঁধের উপরের চাদর বগলের নিচে দিয়ে এনে বাম কাঁধের উপর রাখবেন আর ডান কাঁধ খোলা রাখবেন। এটাকে ইদতিবা বলে। আর তাওয়াফ ছাড়া অন্য সময় ইদতিবা করা যাবে না শুধুমাত্র তাওয়াফের সময়ই ইদতিবা করা সুন্নাত।

এখন আপনি কাবা ঘরের যে কোনায় হাজরে আসওয়াদ আছে সে কোনায় গিয়ে দেখবেন হাজরে আসওয়াদ থেকে (যেখানে পুলিশ পাহাড়ায় রয়েছে) । এখন আপনি হাত উঠানো ছাড়া ওমরাহর নিয়ত করবেন। (আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদু তাওয়াফা বাইতিকাল হারামি ফায়াসসিরহুলি ওয়াতাকাব্বালহু মিন্নি) অথবা, হে আল্লাহ! আপনার সন্তষ্টির জন্য ওমরাহ হজ্জ্ব পালন করিতেছি । আপনি আমার ওমরাহ হজ্জ্বকে কবুল করুন, সহজ করুন ।

হাজারে আসওয়াদ বাম হাতে এবং ডান হাতে সবুজ লাইট থাকবে সেখানে দাড়িয়ে  নিয়ত করার পর নামাজের তাকবিরের সময় যেভাবে হাত উঠাতে হয় সেভাবে হাত উঠায়ে পড়বেন বিসমিল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার ওয়াস্সালাতু ওয়াস্সলামু আলা রাসূলিল্লাহ এটা পড়ার পর হাত নিচে করে নিবেন।

এরপর সম্ভব হলে হাজরে আসওয়াদকে চুমু দিবেন, ( তবে অবশ্যই মনে রাখবেন এতে যেন অন্য হাজী সাহেব কষ্ট না পান তাহলে গুনাহগার হবেন ।) না হলে হাজরে আসওয়াদকে সামনে রেখে হাতে  ইশারা করে সে হাতে চুমু দিয়ে শুরু করবেন । এটাকে এস্তেলাম বলে। ১ম চক্করের দোয়া পড়ে আবার হাজরে আসওয়াদের সামনে এসে আগের মত করে চুমু খাবেন । এবারে ৭ চক্করের জন্য ৭টি ভিন্ন ভিন্ন দোয়া পড়বেন । ( তবে ৩য় কোনায় পৌছার আগেই দোয়া শেষ করতে হবে ।)

মনে রাখবেন আপনাকে চক্কর দিতে হবে কিন্তু হাজরে আসওয়াদকে চুমু বা এস্তেলাম বার দিতে হবে।

প্রথম ৩ চক্করে রমল করবেন মানে সাধারন অবস্থার থেকে একটু জোরে হেলে দুলে হাটবেন। বাকী ৪ চক্কর স্বাভাবিক ভাবেই দিবেন ।

মনে রাখবেন যে কোনায় হাজরে আসওয়াদ আছে সেটাকে রুকনে আসওয়াদ বলে। এর পরের যে কোনা তাকে রুকনে ইরাকি বলা হয়। এরপর ৩য় কোনাকে রুকনে শামি বলে। আর চতুথ কোনাকে রুকনে এয়ামানি বলা হয়।

এখন আপনার তাওয়াফ সম্পূর্ণ হল এবার আপনি আপনার চাদর দ্বারা ডান কাঁধ ঢেকে নিন এবং মকামে  ইবরাহিম এর কাছে এসে পাঠ করুন সুরা বাকারার এ আয়াত- (ওয়াত্তাহিজু মিম মাকামে ইবরাহিমা মুছাল্লা) যার অর্থ- তোমরা ইবরাহিম এর দাঁড়ানোর জায়গাকে নামাজের জায়গা বানাও।

এখন আপনি যদি মকামে ইবরাহিম এর নিকট জায়গা পান তাহলে সেখানে দাঁড়িয়ে ২ রাকাত তাওয়াফের নামাজ আদায় করবেন। তবে যদি নিকটে জায়গা না পান তাহলে মসজিদে হারামের যেখানে জায়গা মিলে সেখানে দাঁড়িয়ে ২ রাকাত নামাজ আদায় করবেন তবে যেন মকরুহ ওয়াক্ত না হয়। প্রথম রাকাত সুরা ফাতেহার সাথে সুরা কাফেরুন এবং ২য় রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে সুরা এখলাছ পড়বেন।

হজরে আসওয়াদ কাবার স্বর্ণের দরজার মধ্যবর্তী স্থানে (এর দুরত্ব ০৩ ফুট ) এসে লেপ্টে যান স্থানটাকে মুলতাজিম বলে, সেখানে আপনি যথাসম্ভব আপনার সিনা, পিট, চেহেরা, হাত লাগান কান্না করেন চোখের পানি ছেড়ে দেন আর প্রথমে মৃত ব্যক্তির জন্য পরে জীবিত সকল মুসলমানের জন্য এবং তারপর নিজের জন্য দোয়া করুন। এখানে দোয়া কবুল হয়।

কাবা শরীফের পাশেই বুক সমান ছোট প্রচীর দিয়ে ঘেরা এবং তিনটি বড় সবুজ লাইট দিয়ে ঘেরা এ স্থানকে হাতেমী কাবা বলে । হাতেমী কাবার উপরের দিকে তাকালে দেখবেন যেখান দিয়ে স্বর্ণের পাইপ দিয়ে কাবা শরীফের পানি পরে সেখানে ০২ রাকায়াত নামাজ পড়ে মোনাজাত করুন এ দোয়া কবুল হয় ।

এবার চলে যাবেন জমজম এর পানি পান করার জন্য। কেবলামুখি হয়ে দাঁড়িয়ে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পাঠ করে পানি পান করতে হয়। পানি একদম পেট ভরে পান করবেন এবং  দোয়া করবেন ।মনে রাখবেন এ দোয়া কবুল হয় । 

রাসুলুল্লাহ (দঃ) এরশাদ করেন আমাদের ও মুনাফিকদের মধ্যে পার্থক্য হল মুনাফিকগন জমজমের পানি পেট ভরে পান করে না। এ পানি পানের সময় দোয়া করুন গুনাহ মাফের দোয়া এবং সুস্থতার জন্য দোয়া করুন। (রাসুল (দঃ) এরশাদ করেন আবে জমজম যে নিয়তে পান করা হয় তা পুরা হয়) কিছু পানি মুখে মাথায় শরীরে মাসেহ করে নিতে পারেন, তবে খেয়াল রাখবেন যেন নিচে না পরে। আর পান করার পর এ দোয়া পাঠ করুন– (আল্লাহুম্মা ইন্নি আসয়ালুকা ইলমান নাফেয়ান ওয়া রিযকান ওয়াসিয়ান ওয়া শিফায়ান মিন  কুল্লি দাঈন)

সাফা মারওয়ায় সায়ী করার জন্য প্রথমে হাজরে আসওয়াদ এর সামনে গিয়ে দু হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে পাঠ করুন ( বিসমিল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার ওয়াস্সালাতু ওয়াস্সলামু আলা রাসূলিল্লাহ) পড়ে হাত নামিয়ে ফেলবেন এরপর হাজরে আসওয়াদকে চুমু বা এস্তেলাম করবেন। এরপর দরুদ পাঠ করতে করতে বাবুস সাফার দিকে চলে যাবেন মসজিদে হারাম থেকে বের হওয়ার সময় বাম পা দিয়ে বের হবেন আর দোয়া পড়বেন (আল্লাহুম্মা ইন্নি আসয়ালুকা ওয়ামিন ফাদলিক)এরপর দরুদ পাঠ করতে করতে সাফা পর্বতে এতটুকুন উঠবেন যেন কাবা ঘর দৃষ্টিগোচর হয়। আর সামান্যতম উঠলেই কাবা ঘর দৃষ্টিগোচর হয় ।

এ অবস্থায় সাফা পাহাড়ে আপনি সুরা বাকারার ২৫ আয়াত পড়তে যতক্ষন সময় লাগে ততক্ষন পর্যন্ত দোয়া করুন, দোয়া করার সময় প্রথমে দরুদ পাক পাঠ করে ২ হাত তুলে কাবার দিকে মুখ করে দোয়া করুন, মনে রাখবেন এটা দোয়া কবুল হওয়ার স্থান।

সাফা মারওয়ার সায়ী-

সাফা মারওয়ার সায়ীর নিয়ত করবেন(আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদুস সাআয়া বায়নাস সাফা ওয়াল মারওয়াতে সাবয়াতা আশওয়াতিন লিওয়াজহিকাল কারিম ফায়াসসিরহু লি ওয়াতাকাব্বালহু মিন্নি)

নিয়ত শেষে ১ম চক্করের জন্য রওয়ানা দিয়ে ১ম চক্করের দোয়া করবেন এবং সাফা থেকে মারওয়ার দিকে যেতে থাকবেন ততক্ষনে সবুজ  সিগনেল দেখবেন সেখান থেকে যারা পুরুষ তারা দৌড়াবেন তবে মহিলারা দৌড়বেনা। সবুজ সিগনেল শুরু থেকে দৌড়বেন আর নির্দিষ্ট দোয়া পাঠ করবেন ।

সহজ কথা হলো ০৭ চক্করের জন্য নির্দিষ্ট সাতটি দোয়া পাঠ করবেন এবং সবুজ সিগনেল শুরু থেকে দৌড়বেন আর নির্দিষ্ট দোয়া পাঠ করবেন । প্রতিবার সাফা ও মারওয়ার উপরে উঠে কাবা শরীফের দিকে মুখ করে হাত তুলে দোয়া করুন যেমন সাফায় করেছেন। সাফা থেকে মারওয়া গেলে ১ চক্কর এবং মারওয়া থেকে আবার সাফায় গেলে ১ চক্কর এভাবে ১ গোলচক্করকে ২ চক্কর ধরা হয় ।

সায়ী শেষে ২ রাকাত নফল নামাজ মসজিদে হারাম আদায় করবেন যদি মকরুহ ওয়াক্ত না হয়। এ নামাজ মুস্তাহাব।

এরপর আপনাকে যদি পুরুষ হন মাথা মুন্ডাতে হবে অথবা চুল ছাটতে হবে আর কমাসকম সম্পূর্ণ মাথা থেকে ৪ ভাগের এক ভাগ চুল কাটতে হবে। আর মহিলারা মাথা মুন্ডানো হারাম তারা কছর করবেন।

মনে রাখবেন তাওয়াফ অবস্থায় কিছু কাজ করা হারাম  যেমন (১) অযুবিহিন তাওয়াফ করা (২) অপ্রয়োজনে পালকি কিংবা অন্যের কাঁধে করে তাওয়াফ করা (৩) কাবা ঘরকে ডান দিকে রেখে উল্টা তাওয়াফ করা (৪) তাওয়াফের সময় হাতিম এর ভিতর দিয়ে যাওয়া (৫) সতর খুলা মহিলারা এ ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকবেন, অনেক মহিলা হাজরে আসওয়াদকে এস্তেলাম করার সময় পুরা হাত থেকে কাপড় সড়ে যায় যায়।

তাওয়াফ কালীন কিছু বিষয় মকরুহ যেমন (১) অপ্রয়োজনীয় কথা বলা (২) রমল ও এস্তেলাম বাদ দেয়া (৩) ২  তাওয়াফ এর মধ্যে বেশিক্ষন বিরতি দেওয়া, তবে জরুরী অবস্থায় পেশাব-পায়খানার জন্য যেতে পারবে এবং হাজত সেরে অযু করে এসে বাকী তাওয়াফ সেরে নিতে অসুবিধা নাই।(৪) তাওয়াফ কালীন কিছু খাওয়া মাকরুহ তবে পানি পান করতে পারবে (৫) প্রশ্রাব পায়খানার বেগ নিয়ে তাওয়াফ করা।

তাওয়াফ ও সায়ী কালীন কিছু কাজ যায়েজ আছে যেমন (১) সালাম দেওয়া ও সালামের জবাব দেয়া (২) প্রয়োজনের ক্ষেত্রে কথা বলা (৩) পানি পান করা, সায়ী কালীন খাওয়া যায়েজ। (৪) দোয়া –দরুদ হামদ নাত এসব আস্তে আস্তে পাঠ করা। (৫) তাওয়াফকালীন নামাযীর আগে চলাচল যায়েজ, তবে সায়ী করার সময় নামাজির সামনে চলাচল করা যায়েজ নাই।

পবিত্র মক্কা শরীফে যে সকল দোয়া কবুল হয়- কালো গিলাপ দেখার পরের দোয়া, মুলতাজিমে দাড়িয়ে দোয়া, হাতেমী কাবার দোয়া, জমজমের পানি পান করার সময়কার দোয়া, সাফা-মারওয়ায় দাড়িয়ে দোয়া ।

পবিত্র মক্কা নগরীর জিয়ারা-

আরাফাত ময়দান, জাবলে সুর পাহাড় ( যে পাহাড়ে হুজুর(সাঃ) ও হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রাঃ) আশ্রয় নিয়েছিলেন মাকড়াসা ঝাল বুনে এবং কবুতর ড়িম পেড়ে পথ বন্ধ বলে বোঝানো হয়েছিল,  জাবলে নুর পাহাড়/হেরা পর্বত (যেখানে পবিত্র কোরআনের আয়াত নাজিল হয়েছে এবং হুজুর(সাঃ) নবুয়্যত প্রাপ্ত হয়েছেন), মসজিদে মুজদালিফা, মসজিদে খায়েফ ।

বিদায়ী তাওয়াফ করে পবিত্র মদীনা শরীফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন ।মক্কা থেকে মদীনার দুরুত্ব  ৪২৫ কি. মি. কয়েক ঘন্টার সফর, এর পরই সবুজ গম্বুজের দৃশ্য দেখে আপনার চোখ ঠান্ডা হয়ে যাবে। যখনই দুর থেকে মসজিদে নববী আর গুম্বিদে হাজরা দৃষ্টিগোচর হবে আপনার হৃদয় কেঁপে উঠবে, দু-চোখ পানি ধরে রাখতে পারবেন না।

মদীনার অলিগলিতে থুথু ফেলবেন না, নাক সাফ করবেন না হতে পারে আপনি যেখানে থুথু ফেলছেন সেখানে নবীজির কদম মুবারক পরেছিল।

মদীনা শরীফ পৌছেঁ নিজের রুমে গিয়ে জিনিষপত্র রেখে খাওয়া দাওয়া করে বিশ্রাম গ্রহন করুন। এরপর সুন্দরভাবে অযু করে নতুন সাধা কাপড় সাধা পাগড়ী পরিধান করে আতর লাগিয়ে সুরমা লাগিয়ে রাওযার দিকে চলুন। এতদিন যা আপনি ছবিতে দেখেছেন মনে মনে যা দেখার আকাংখা লালিত পালিত করে আসছিলেন আজ তা আপনার সামনে। এটাতো সেই মুকাদ্দছ স্থান যার মত সম্মানিত স্থান দুনিয়ায় ২য় টি নাই।

খুবই আদবের সাথে বাবুল বাকী নামক দরজায় হাজির হবেন এখনে এসে (আসসালাতু আসসালামু আলাইকা এয়া রাসুলাল্লাহ) বলে ডান পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশের দোয়া পাঠ করে প্রবেশ করবেন এখন আপনার হাত, পা, চোখ, কান, জবান, অন্তর সবকিছুকে অন্যকিছু থেকে সম্পূর্ণ বিরত রেখে কাঁদতে কাঁদতে এদিক ওদিক তাকাবেন না এখন শুধু  ভাববেন একটাই চিন্তা শুধু আপনি একজন পলাতক আসামী আপন আঁকার দরবারে যাচ্ছেন। এবার মসজিদ নববীতে ২ রাকাত তাহিয়্যাতুল অযু এবং ২ রাকায়াত শোকরানা নামায আদায় করবেন।

এরপর অশ্রুসজল নয়য়ে ঘারকে নিচু করে, কাপতে কাপতে পলাতক আসামীর মত রওজা মোবরক এর নবীজির পা মোবারক এর দিক থেকে রওজার নিকট উপস্থিত হবেন, এখানে কাবার দিকে পিট করে, সরকারে দু-জাহানের চেহারায়ে আনোয়ার এর দিকে মুখ করে নামাজে দাঁড়ানোর মত করে অতীব আদবের সাথে দাঁড়াবেন। মনে রাখবেন নবী করিম (দঃ)কবরে আনোয়ারে স্ব-শরীরে জীবিত এবং তিনি আপনাকে দেখতেছেন। সোনালী জালি চুমা দেওয়া ও হাত লাগানো থেকে বেঁচে থাকবেন এটা আদবের খেলাফ। এবার আদব এর সাথে সালাম পেশ করুন উচুঁ আওয়াজে না এবং একেবারে নিচু আওয়াজও না বরং মাঝামাঝি আওয়াজের সাথে সালাম পেশ করুন (আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ, আসসালামু আলাইকা এয়া রাসুলাল্লাহ, আসসালামু আলাইকা এয়া হায়রা খালকিল্লাহ, আসসালামু আলাইকা এয়া শাফিয়াল মুজনাবিন,আসসালামু আলাইকা ওয়ালা আলিকা ওয়াসহাবিকা ওয়া উম্মাতিকা আজমাঈন)

এভাবে বারবার বলতে থাকুন (আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ) এবং খুব বেশী বেশী অশ্রুসজল নয়নে দোয়া করুন এবং (আসয়ালুকাশ শাফায়াতা এয়া রাসুলাল্লাহ) হে রাসুল আমি আপনার কাছে শাফায়াতে দরখাস্ত করতেছি এভাবে বার বার শাফায়াতের দরখাস্ত করুন।

এরপর ছিদ্দিকে আকবর কে সালাম দিবেন (আসসালামু আলাইকা এয়া খালিফাতা রাসুলিল্লাহ, আসসালামু আলাইকা এয়া ওয়াজিরে রাসুলিল্লাহ, আসসালামু আলাইকা এয়া সাহেবে রাসুলিল্লাহ ফিল গারে ওয়ারাহমতুল্লাহি ওয়াবারকাতু)

এরপর ফারুকে আযম কে সালাম দিবেন আসসালামু আলাইকা এয়া আমিরাল মুমিনিন, আসসালামু আলাইকা এয়া মুতাম্মিমাল আরবাঈন, আসসালামু আলাইকা এয়া আযযাল ইসলামে ওয়াল মুসলিমিন ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।

রিয়াজুল জান্নাহ- নবীজির রওজা মোবারকের পাশে মিম্বারের পাশে সাদা কার্পেটের এলাকাকে রিয়াজুল জান্নাহ বলে । এখানে ০২ রাকায়াত নামাজ পড়ে দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা সে দোয়া কবুল করেন । প্রথম রাকাতে সুরা কাফেরুন ২য় রাকাতে সুরা এখলাছ। তবে দেখবেন যেন মকরুহ ওয়াক্ত না হয় এবং নামাজ পড়তে গিয়ে যাতে অন্য কেউ ব্যথা বা মনে কষ্ট না পায় ।

পবিত্র মদীনা নগরীর দোয়া কবুলের স্থান- রিয়াজুল জান্নাহ, জান্নাতুল বাকী ।

পবিত্র মদীনা নগরীর জিয়ারা  জান্নাতুল বাকী, উহুদ পাহাড়, মসজিদে কোবা ( যেখানে ২ রাকায়াত নামাজ পড়িলে ১টি কবুল ওমরাহ হজ্বের সওয়াব পাওয়া যায়, হুজুর (সাঃ) প্রতি শনিবারে এখানে নামাজ পড়তেন, এটি হুজুর (সাঃ) এর হাতে নির্মিত ১ম মসজিদ, এটি ইসলামের ৪টি মসজিদের ১টি মসজিদ, পবিত্র হারাম শরীফ, মসজীদে নববী ও আল আকসার পরেই এর অবস্থান), মসজিদে কেবলাতাইন বা দুই কেবলার মসজিদ ( যেথানে হুজুর (সাঃ) আছরের নামাজ আদায়ের জন্য তৎকালীন কিবলা মসজিদে আল আকসার দিকে নামাজের জন্য দাড়িয়েছিলেণ ঠিক তখনি ওহি আসে কাবা শরীফের দিকে মুখ করে নামাজের জন্য ঠিক তখনি কাবা শরীফের দিকে ঘুরে নামাজ পড়া হয় এবং কিবলা পরিবর্তন হয় ),মসজিদে জ্বীন,খন্দক,মসজিদে গামামা, বদর (যে যুদ্ধে মুসলমানদের ঐতিহাসিক বিজয় হয়েছে । এটি মসজিদে নববী থেকে ৫০ কিঃমিঃ দুরে অবস্থিত ), শোহাদায়ে উহুদগনের মাযারসমুহ সহ অন্যান্য সম্মানিত স্থানসমুহ ও প্রসিদ্ধ মসজিদসমুহ দেখবেন।

পবিত্র মক্কায় হারাম শরীফে ১ রাকায়াত নামাজ পড়িলে ১ লক্ষ ও মসজীদে নববীতে ৫০ হাজার  রাকায়াতের সওয়াব পাবেন।

বিদায়ের বেলায় কেঁদে কেঁদে দোয়া করুন আর বার বার যেয়ারতের দরখাস্ত করুন, ঈমানের সাথে মৃত্যু দরখাস্ত করুন, জান্নাতুল বাকীতে দাফন হওয়ার আকাংখা পেশ করুন। এভাবে বিদায়ের সময় উল্টা কদমে বের হয়ে আসুন আর বার বার রওজার দিকে এমন দৃষ্টিতে দেখুন যেমন কোন বাচ্চাকে যখন তার মায়ের কোল থেকে পৃথক করা হয় তখন বাচ্চা যেমন মায়ের মুখের দিকে করুন দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে যেন মা আবার বুকে টেনে নেয়।

সালাতু সালামগো আমার, দরুদ ও সালামগো আমার কয়ো নবী মোস্তফায়, তোমরা যদি যাওগো মদীনায়।

আলোকিত সংবাদ/এমআরকে

বাংলাদেশে কোরোনা

সর্বশেষ (গত ২৪ ঘন্টার রিপোর্ট)
আক্রান্ত
মৃত্যু
সুস্থ
পরীক্ষা
সর্বমোট

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস

বাংলাদেশে

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু

বিশ্বে

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
Exim Bank

নামাজের সময়সূচি

বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
ফজর ৪:২৬
জোহর ১১:৫৬
আসর ৪:৪১
মাগরিব ৬:০৯
ইশা ৭:২০
সূর্যাস্ত : ৬:০৯সূর্যোদয় : ৫:৪৩
DHAKA WEATHER

আর্কাইভ

April 2024
M T W T F S S
« Mar    
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

শিরোনাম

শিরোনাম গজারিয়ায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হুমকি,থানায় অভিযোগ শিরোনাম বালুচরের নৌকায় ভোট চাইলেন শ্রীনগরের ১৩ চেয়ারম্যান শিরোনাম মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিতে দুই উপজেলা নেতাকর্মী নিয়ে মহিউদ্দিন আহমেদের যাত্রা শিরোনাম মাহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পীস অ্যাওয়ার্ড পেলেন সিরাজদিখানের কৃতিসন্তান (অবঃ) মেজর মোহাম্মাদ আখতার হোসেন শিরোনাম সিরাজদিখানে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত  শিরোনাম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হলেন সিরাজদিখানের কৃতি সন্তান মোঃ সাইফুল ইসলাম। শিরোনাম ৪১ তম বি‌সিএস পরীক্ষায় সিরাজ‌দিখা‌নের দুই জন চুড়ান্তভা‌বে সুপা‌রিশপ্রাপ্ত শিরোনাম বালুচর  ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা শিরোনাম সিরাজদিখানে বাড়ির উঠান থেকে মটর সাইকেল চুরি শিরোনাম সিরাজদিখানে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মারধর, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ
error: Content is protected !!