চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৩:৪৬ পূর্বাহ্ণ, ১৫ এপ্রিল, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
মোঃ সুজন বেপারী,মীরকাদিম ডেস্কঃ করোনার কারণে কর্মঝুঁকিতে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) কর্মরত অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুব হোসেন বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।নিজ জন্মভূমি মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম ও রামপালের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্যসামগ্রী। এ পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি পরিবার পেয়েছে এই সহায়তা। একেবারে নীরবে, নিভৃতে কাজটি করে যাচ্ছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।স্থানীয় সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনো ধরনের জনসমাগম বা জমায়েত না করে নিজস্ব কর্মী দিয়ে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন মাহবুব হোসেন। বজায় রাখছেন সামাজিক দূরত্ব বজায় নীতি।জানতে চাইলে মুন্সীগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য মৃনাল কান্তি দাস বলেন, ‘যে কাজ করবেন জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবী আর বিত্তজনেরা সেই কাজ করছেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা।যা প্রশংসনীয় আর অনুকরণীয়। ’চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুব হোসেনকে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় সরকার। তিনি বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তা। এর আগে তিনি পুলিশের বিশেষ শাখা-এসবিতেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।স্বল্পভাষী এই কর্মকর্তা কর্মজীবনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দুবার বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পুরস্কার বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) এবং দুবার প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) লাভ করেন।নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও নিয়মিত করোনাভাইরাস ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সচেতনতামূলক বার্তা দিয়ে থাকেন। তিনি এক ভিডিওতে করোনায় সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে বলেন। করোনা উপসর্গ দেখা দিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার তাগিদ দেন।এছাড়া এই দুঃসময়ে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবান ও স্বচ্ছল ব্যক্তিদের আহ্বান জানান পুলিশের উচ্চপদস্থ এই কর্মকর্তা।তিনি নিজেও সব সময় মানুষকে নীরবে দান করার পরামর্শ দেন তিনি মনে করেন, এটি সাহায্য নয়। এটি একটি পরিষেবা এবং দায়িত্ব।ব্যক্তিগত গুণাবলী ও অধীনস্থদের প্রতি সহনশীল আচরণের কারণে অতিরিক্ত আইজিপি মাহবুব হোসেন কর্মক্ষেত্রেও সবার কাছে সমান জনপ্রিয়।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম