চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৩:৪৯ অপরাহ্ণ, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৯
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি : ২৫ ডিসেম্বর বুধবার রাত ১২ টা ১ মিটিটে প্রার্থনা মধ্য দিয়ে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড় দিন শুরু হবে। বড় দিনকে ঘিরে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের শুলপুর খ্রীষ্টান পল্লীতে চলছে সাজসজ্জা আর ব্যাপক সব প্রস্তুতি । অতিথিদের নিমন্ত্রন করা হচ্ছে মোবাইলের ম্যাসেজ, কার্ড আর পোষ্ট কার্ডে। অতিথি আপ্যায়নে কোন রকমের ক্রটি না রাখতে রাখা হচ্ছে রকমারী সব পিঠাপুলির আয়োজন। বাড়ির সামনে সাজানো হচ্ছে ক্রিষ্টমাস ট্রি। অপেক্ষার দিনক্ষণ শেষ হতে বেশি সময় দেরি না হলেও জেলার একমাত্র খ্রীষ্টান পল্লীর পরিবারগুলো এখন মহাব্যস্ত।
উপজেলার শুলপুর ‘সাধু যোাশেফ গির্জায়’ সাজানো হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ঝলমলে আলোক সজ্জায় । গির্জার অভ্যন্তরের দৃষ্টিনন্দন ভাবে ডিসপ্লে করা হবে কুড়ে ঘরের অভ্যন্তরের মাদার মেরীর কোলে যীশুখ্রীষ্টের প্রতিচ্ছবি । প্রাার্থনা করতে আগত পূণ্যার্থীদের আগমন নিরবিচ্ছিন্ন করতে তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ ভলান্টিয়ার টিম । সব মিলিয়ে আগাম উৎসব চলছে জেলার একমাত্র খ্রীষ্টান পল্লী শুলপুর গ্রামে ।
সিরাজদিখান উপজেলার ৩টি গ্রামের প্রায় ৩৮৫ টি পরিবারে উৎসব পালনের প্রস্থতি চলছে। খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ২৫ ডিসেম্বর আর মাত্র ১ দিন বাকী। এদিকে দিনটিকে জাঁকজমক ভাবে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভির্য্যরে মাধ্যমে পালনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন খ্রীষ্টান পল্লী । চারিদিকে নানা রং-বেরংঙ্গে সাজিয়েছেন প্রত্যেকটি বাড়ী ।
‘সাধু যোাশেফ গির্জায়’ ফাদার লিন্টু ফ্রান্সিস ডি কস্টা বলেন,‘ বড় দিন উদযাপনে আমাদের প্রার্থনা থাকবে দেশে দেশে যেন শান্তি বিরাজ করে এবং দেশের খ্রিস্টান ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিরাজমান সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতিকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আমার বিশ্বাস । ’
এ দিনটিকে কেন্দ্র করে খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীদের আয়োজন হয় অনেক বিয়ের। যে কারনে এই দিনকে কেন্দ্র করে সকল আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিও থাকে অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশী। নির্বিঘেœ ধর্মীয় ও অন্যান্য উৎসব পালনের জন্য নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
কেয়াইন ইউপি সদস্য নয়ন রোজারিও জানান,‘পুলিশ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে সার্বিক সহযোগীতা করছে বলেই আমরা স্বতসফূর্ত ভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করছি। তাছাড়া এ উপজেলায় অন্যান্য ধর্মাবলী লোকজন আমাদের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অনুষ্ঠানকে আরোও মুখরিত ও প্রাণবন্ত করে তোলবে।’
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার ওসি মো.ফরিদ উদ্দিন জানান,‘খ্রীষ্টান ধর্মাবলীদের সাথে আমি দেখা করেছি,পুলিশও মোতায়েন আছে তাদের সব চেয়ে ধর্মীয় বড় দিনের উৎসবকে যথাযথ ভাবে পালনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। ’
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম