চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৫:১৮ অপরাহ্ণ, ৩১ জুলাই, ২০২০
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ দেশে বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের পর থেকে করোনার কবলে পরে কর্মহীন হয়ে পরা অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দেশের ধণাঢ্য ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতি ও সামাজিক সংগঠনের লোকজন। পিছিয়ে নেই দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির সদস্যরাও। মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য এই শ্লোগানকে সামনে রেখে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোটা একজন স্বচ্ছল মানুষের নৈতিক দায়ীত্ব। সেই দায়ীত্ববোধ ও মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে নিজস্ব অর্থায়নে গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে দাড়াচ্ছেন মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখানের উপজেলার কোলা ইউনিয়নের কোলা গ্রামের কৃতি সন্তান মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে র্যাব হেডকোয়াটার্স এর মহাপরিচালকের পারসোনাল এসিষ্টেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। চাকুরির ফাঁকে যতটুকু সময় পান তা শুধু গরীব ও অসহায় মানুষের সেবায় কাজে লাগান। কখনো নিজ এলাকায় কখনো বা অন্য এলাকায় গিয়ে অসহায় মানুষদের খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে “মানবতা এখনো মরেনি” কথাটির প্রমাণ করে। গতকাল শুক্রবার (৩১ জুলাই) ৪র্থ বারের মত এক’শ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি। ওইদিন সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার কোলা গ্রামে তার নিজ বাড়ী থেকে কোলা ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডের এক’শ হতদরিদ্র পরিবারকে ৬ কেজি চাউল, ১ প্যাকেট সেমাই, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি ডাল ও ১ কেজি আটা বিতরণ করা হয়। এসময় র্যাব সদস্য মো. শরিফুল ইসলামের পক্ষে এসব বিতরণ করেন কোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নোবেল হাওলাদার, মো. সাগর শেখ, মো. হুমায়ুন ও মো.সাইফুল। এ পর্যন্ত তিনি ৪ ধাপে সাত শতাধিক অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন। অন্যদিকে গত ২৪ জুলাই শ্রীনগর উপজেলার এক মূমুর্ষ রোগী শ্যামল দাস (৪৮) নামে এক ব্যক্তির চিকিৎসায় নগদ অর্থের প্রয়োজনের কথা জানতে পেরে সামাজ সেবা মূলক সংগঠন “ছাতিয়ানতলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন প্রবাসী ছাত্র সংসদ” এর সদস্য ও তিনি এবং তার উদ্যোগে শ্যামল দাসের চিকিৎসা (ওপেন হার্ট সার্জারী) জন্য নগদ ৬২ হাজার টাকা শ্যামল দাসের চাচাত ভাইয়ের হাতে তুলে দেন। পরে শ্যামল দাসের অপারেশনের পর মো. শরিফুল ইসলাম ঢাকাস্থ একটি হাসপাতালে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে খোঁজ খবর নেন এবং প্রয়োজনে তার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, যতদিন দেশে মহামারী করোনার প্রাদূর্ভাব থাকবে ততদিন পর্যন্ত শরিফুল ইসলামের ত্রান সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে।
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম