চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৩:৩১ অপরাহ্ণ, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
মাঘ মাস ইতোমধ্যে চলে গিয়েছে, এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত । আম গাছে প্রচুর পরিমানে মুকুল ধরেছে কিন্তু খামারীদের একটি কমন সমস্যা হচ্ছে যে আমের মুকুল ঝরে যাওয়া । আমের মুকুল আসা ও ফল ধরার সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়ার জন্য এ সময় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া অপরিহার্য। আমগাছে গুঁটি আসার পর নানা কারণে গুঁটি ঝরে যায়। এসবের কারণ ও তার প্রতিকার নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
প্রাকৃতিক কারণঃ
সাধারণত আমগাছে প্রতি মুকুলে এক হাজার থেকে ছয় হাজার পর্যন্ত পুরুষ ও স্ত্রী ফুল থাকে। তার মধ্যে প্রাথমিকভাবে প্রতি থোকায় জাতভেদে এক থেকে ৩০টি আমের গুঁটি ধরতে দেখা যায়। গুঁটি আসার ২৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে প্রতি থোকায় মাত্র এক থেকে দুটি গুঁটি থাকে। বাকি গুঁটি প্রাকৃতিক বা অভ্যন্তরীণ কারণে ঝরে যায়। তবে কোনো কোনো মুকুলে কদাচিৎ চার থেকে পাঁচটি আম ধরতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে আমের আকার ছোট হয়।
করণীয়ঃ
মাটিতে রসের অভাব হলেঃ
মাটিতে রসের অভাব হলেও আমের গুঁটি ঝরে যায়। আমের বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ে অর্থাৎ মার্চ-এপ্রিল মাসে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় মাটিতে রসের অভাব দেখা দেয়। মাটিতে রসের অভাব হলে আমের বোঁটায় তাড়াতাড়ি নির্মোচন স্তর গঠিত হয়। ফলে আমের গুঁটি ঝরে যায় ।
করণীয়ঃ
পোকার আক্রমণ হলেঃ
গুঁটি আসার পর প্রাথমিক পর্যায়ে আমের গুঁটিতে হপার পোকার আক্রমণ হতে পারে। এ পোকার আক্রমণে ২০ থেকে ১০০ ভাগ পর্যন্ত আমের উৎপাদন কমে যেতে পারে। আম গাছে মুকুল আসার সময় প্রতিটি মুকুলে অসংখ্য হপার নিম্ফ দেখা যেতে পারে। এ পোকার পূর্ণবয়স্ক মথ ও কীড়া গুঁটির রস শোষণ করে খায়, ফলে আমের গুঁটি শুকিয়ে ঝরে যায়। আমের মুকুল আসার পরপরই হপার পোকার আক্রমণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মুকুলের ফুল শুকিয়ে যায় এবং কোনো ফল ধরে না। এ পোকা যখন মুকুলের রস চুষতে থাকে তখন এদের মলদ্বার দিয়ে প্রচুর আঠালো রস নিঃসরণ হয়। এ রস মুকুলের ফুল ও পাতায় আটকে যায়। এতে গুঁটি মোল্ড নামক এক প্রকার ছত্রাক জন্মে এবং দ্রুত বংশবিস্তার করে পাতার উপরিভাগ ছেয়ে ফেলে। ফলে পাতা কালো দেখায়। সবুজ পাতা কালো আস্তরণে ঢাকা থাকে বিধায় সালোক সংশ্লেষণের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হয়। ফলে গাছ দুর্বল হয় এবং ফলন কমে যায়।
করণীয়ঃ
রোগের আক্রমণ হলেঃ
সাধারণত মাঘ-ফাল্গুনে আম গাছে মুকুল-ফুল-গুঁটি
করণীয়ঃ
আম পূর্ণাঙ্গ ফলে রূপ নেয় কয়েকটি পর্যায় অতিক্রম করে। প্রথমে মুকুল, মুকুল থেকে ফুল, ফুল থেকে গুঁটি এবং গুঁটি বড় হয়ে আম ফলে রূপ নেয়। প্রতিটি পর্যায়েই আম গাছের বালাই ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। তবে মুকুল আসার আগে এবং পরে বেশি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। কেননা, মুকুল ঝরে পড়েই আমের উৎপাদন বহুলাংশে হ্রাস পায়।
সতর্কতাঃ গাছে মুকুল আসার আগে যেমন স্প্রে করার প্রয়োজন নেই তেমন মুকুল ফোটা অবস্থায় কোনোভাবেই স্প্রে করা ঠিক নয়। এ সময় প্রচুর পরিমাণ উপকারী পোকা আম বাগানে আসে এবং পরাগায়নে সহযোগিতা করে।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম