চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৪:০৯ অপরাহ্ণ, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
মুজিববর্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সহায়ক উপকরণ হিসেবে স্কুলড্রেস, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য ৫০০ টাকা করে দেবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মুজিববর্ষে এটি শিক্ষার্থীদের জন্য উপহার। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রতিমাসে ১০০ থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হতে পারে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ শিক্ষা-সংশ্নিষ্ট ব্যক্তিরা খুশি, তারা নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন। মাঠ পর্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তারাও এ বিষয়ে ইতিবাচক মত প্রকাশ করেছেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ উদ্যোগের কথা জানিয়ে সমকালকে বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি বিতরণ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ার আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে প্রত্যেকের জন্য শিক্ষা সহায়ক উপকরণ (ড্রেস, জুতা ও ব্যাগ) কেনার জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখতে সরকার সচেষ্ট। সে কারণেই প্রতিবছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেওয়া হয়, উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হয়। এর বাইরে এবার মুজিববর্ষে শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য এককালীন ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এ জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য- দরিদ্র পরিবারগুলোও যেন সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়ক উপকরণ কিনতে পারে এবং শিশুরা আনন্দের সঙ্গে স্কুলে যেতে পারে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৭ মার্চ
মুজিববর্ষের শুরুতেই সারাদেশের প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ প্রাথমিক শিক্ষার্থীর মায়েদের কাছে নতুন পোশাকের জন্য টাকা দেওয়া হবে। এর জন্য এখন মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। নতুন এ উদ্যোগের বিষয়ে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ সমকালকে বলেন, বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বইয়ের পাশাপাশি ড্রেস, জুতা ও ব্যাগ কেনার টাকা দেওয়ার বিষয়টি দেশের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য সময়োপযোগী এবং প্রশংসনীয় উদ্যোগ। গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলড্রেস কিনে দিতে পারেন না। তাই, স্কুলগুলোতে শতভাগ ড্রেস কোড মেনে চলা সম্ভব হয় নয়। তবে বরাদ্দের পরিমাণ ৫০০
টাকা নয়, শিক্ষার্থীপ্রতি কমপক্ষে দুই হাজার টাকা করা উচিত বলে এই শিক্ষক নেতা অভিমত দেন। চট্টগ্রাম মহানগরীর দক্ষিণ পাহাড়তলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিদারুল আলম চৌধুরী সমকালকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মুজিববর্ষে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ভাতা প্রদান মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে। শিশুশিক্ষার্থীদের প্রতি বছর যেন এ ভাতা দেওয়া হয়। দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার মোহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌফিকুল ইসলাম রবি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, স্কুলড্রেস, জুতা ও ব্যাগ পেলে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি অবশ্যই বাড়বে। তবে ৫০০ টাকায় ড্রেস, ব্যাগ ও জুতা কেনা সম্ভব নয়। জানা গেছে, গত ১৩ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে এমপি এম আব্দুল লতিফ এ বিষয়ে একটি
প্রস্তাব উত্থাপন করলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন শিক্ষা উপকরণ ভাতা দেওয়ার বিষয়টি সংসদ সদস্যদের নিশ্চিত করেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো নানা রঙ ও সাজসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নতুন পোশাক তাতে নতুনমাত্রা যোগ করবে। রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. খোরশেদ আলম সমকালকে বলেন, সরকারের খুবই প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ এটি। এটা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক সবাই খুশি হবে। মুজিববর্ষের সব কার্যক্রমে আরও বেশি স্বতঃস্ম্ফূর্তভাবে ও আগ্রহ সহকারে আমাদের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করবে। নোয়াখালী সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জসীম উদ্দিন সেখ বলেন, মুজিববর্ষে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপকরণ পাওয়ায় শিক্ষাক্ষেত্রে এটা একটি মাইলফলক
হয়ে থাকবে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের গরিব শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপকরণের টাকা পাওয়া অনেকটা ঈদের আনন্দের মতো।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম