চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৩:২২ অপরাহ্ণ, ১৯ জুলাই, ২০২১
স্টাফ রিপোর্টার: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়িতে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করোই অবৈধ ভাবে রাস্তার উপরে ড্রেজার মেশিনের পাইপ দিয়ে জনদূর্ভোগ ও বালু দিয়ে কৃষি জমি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে স্থানিয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। উপজেলার জসলং ইউনিয়নের সেরাজাবাদ গ্রামের আর.এস ৮৩৭,৮৩৮,৮৩৩ ও ৮৩৬ দাগের মোট ১একর৪৯ শতাশ ফসলি জমিটি ভরাট করছে রানা হালদার। ড্রেজারের সাহায্যে বালু দিয়ে ফসলি জমি অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ভরাট করলেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ করেন স্থানিয়রা। সরেজমিনে দেখাযায়, দিঘরপার-মুন্সীগঞ্জ সড়কের উপর ড্রেজারের পাইপ বসিয়ে সে পাইপ দিয়ে বালু ভরাট করা হচ্ছে। সেরাজাবদ-বাঘিয়া রাস্তার পাশের জমিটি স্কেভেটর দিয়ে বাধ দিয়ে বালু ভরাট করা হচ্ছে। রাস্তার উপরে পাইপের কারনে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা শিকার হচ্ছে অনেকেই। অটো মিশুক গুলো উল্টে যাওয়ার উপক্রম হয়ে যায়। প্রইভেট কার গুলোর নিচের অংশ বেজে যায়। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পরছেন এই রাস্তা দিয়ে চলাচলরত মানুষ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছক একাধিক এলাকবাসী যানায়, রানা হালদার ড্রেজার দিয়ে তার ফসলি জমিটি ভরাট করছে। তার জমি ভরাট করার জন্য ড্রেজারের পাইপ গুলো অনেকের জমির উপর দিয়ে আসছে এতে করে আগামি বছর আমাদের জমির ফসল উৎপাদন কমে জাবে। আমার আমাদের জমির উপর দিয়ে পাইপ নিতে বাধাও দিতে পারছি না কারন
ভরাটের কাজ করছে কামার খারা ইউপি চেয়ারম্যান ড্রেজার ও বালু ব্যবসায়ি মহিউদ্দিন হালদার। তার বিরুদ্ধে কথা বলার আমাদের কারো সাহস সেই। তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলে বা প্রতিবাদ করে কখনোই ঠিক থাকতে পারবে না। তাই আমাদের উপর কারা এই অত্যাচান আমরা নিরবেই সয্য করছি। এছাড়া এভাবে ফসলি জমি ভারাট করতে থাকলে আমাদের এলাকার ফসলি জমি একবারেই বিলিন হয়ে যাবে। ইজিবাইক চালক আবুল হোসেন বলেন, রাস্তার উপরে পাইপ দেয়ায় আমাদের চলাচলে অনেক কষ্ট হয়। বিশেষ করে বৃষ্টি হলে ও রাতের বেলাতে অনেক সময় দ্রুত গারি চালাতে গেলে আমাদের দূর্ঘটনার শিকার হতে হয়। রোগি নিয়ে যেতে তো আরো বেশি কষ্ট হয়। রাস্তায় এই ভাবে পাইপ দেয়ায় আমরা অনেক সমস্যায় আছি। সিপাহিপাড়া মোর থেকে দিঘির পার পর্যন্ত এমন ড্রেজাবের পাইপ প্রায় ৬/৭ জায়গাতেই রয়েছে। এবিষয়ে জানতে জমির মালিক রানা হালদারের জাছে জানতে চইলে তিনি বলেন, জমিটা ফসলি হলেও কাগজে কলমে ভিটা। আর আমি তো এই জমিটা বিক্র করে দিয়েছি। জমির বর্তমান মালিকের ফোন নাম্বার চাইলে তিনি দিতে রাজি হননি। এবিষয়ে জানতে বালু ব্যবসায়ি কামারখারা ইউপি চেয়ারম্যন মহিউদ্দিন হালদারের মুঠফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও সে রিসিভ করেনি। জসলং উইপি চেয়ারম্যান আলমাস চোকদার বলেন, সারা দেশেই এভাবে রাস্তার উপর দিয়ে পাইপ দিয়ে জমি ভরাট হচ্ছে। আমি দেখেছি সেরাজাবাদসহ আসেপাশে আনেকেই জমি ভড়াট করছে। তবে এখনো কেও আমার কাছে এই সমস্যা নিয়ে কোন অভিযোগ করেনাই। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমিপারভীন খানম জানান, সড়কের উপরে দিয়ে ড্রেজারের পাইপ নেওয়া এবং বালু ফেলে ফসলি জমি নষ্ট করার বিষয়টি ইতিমধ্যে তারা জানতে পেরেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা আইনগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম