চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৮:৩৮ পূর্বাহ্ণ, ২৩ জুন, ২০২০
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ দেশের প্রথম এলিভেটেড রেললাইনের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে। সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের পুলাশপুর প্রান্তে এ পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়েছে পাঁচটি ¯প্যান। মার্চের প্রথম দিকে প্রথম ¯প্যান বসলেও করোনাকালের মহা দুর্যোগেও লকডাউনের মধ্যে বিগত তিনমাসে যথাক্রমে আর চারটি ¯প্যান বসে গেছে পিলারের উপরে। মোট পাঁচটি ¯প্যান এখন দেখা যাচ্ছে পুলাশ পুর প্রান্তে । সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের সাথে কথা বললে তারা জানান,কোভিড ১৯ কারণে আমাদের কাজে যাতে বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য আমরা এই কর্মযজ্ঞে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েই যথাক্রমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।আমাদের এই প্রকল্পে অধিকাংশ যে সমস্ত শ্রমিক কাজ করে তারা আশেপাশের শ্রমিক ই বেশী,যেমন মুন্সীগঞ্জ কেরানীগঞ্জের এইসব এলাকার শ্রমিক। এদিকে এইসব এলাকায় আছে করোনা মহামারীর ভয় সে জন্য আমরা এই প্রকল্পে কাজ করা শ্রমিকদের বিগত কয়েকমাস যাবত বাড়িতে আসা যাওয়া বন্ধ করে কর্মস্থলেই থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি যাতে করোনার সংক্রমণ প্রভাবিত না করে।আপদকালীন করোনার মহা দুর্যোগেও আমরা কাজ স্থগিত রাখিনি।আমাদের কাজ চলছে যার ফলশ্রুতিতে ইতোমধ্যে পিলারের উপরে পাঁচটি ¯প্যান উঠে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আরো জানান, একদিকে পিলার উঠানোর কাজ চলছে অন্যদিকে পিলারের উপরে ইলেক্ট্রনিক মিশিনের সাহায্যে ¯প্যান বসানোর কাজ চলছে সমান তালে। আস্তে আস্তে আমরা পলাশ পুর থেকে ঢাকার দিকে এগিয়ে আসছি। গত মার্চ মাস থেকেই স্থানীয় শ্রমিকদের থাকা খাওয়া দিয়ে ঝড় তুফানেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রথম এলিভেটেড রেললাইনের। এছাড়া কেরানীগঞ্জ এলাকার অনেক শ্রমিক কাজ করে এখানে আর করোনার জন্য রেড জুন হলো কেরানীগঞ্জ তাই ঐ এলাকার শ্রমিকদের বাড়িতে আসা যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাতে তাদের ধারা কোন চাউনিজ আক্রান্ত না হয়। দেশের প্রথম এলিভেটেড রেললাইন রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা করে পদ্মা সেতু দিয়ে চলবে যশোর পর্যন্ত। সেজন্য করা হচ্ছে ১৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন।দ্রুতগতিতে চলছে কাজ, বাস্তব হয়ে ধরা দিচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা বহুমুখী সেতু। এ সেতুর উপরের অংশ দিয়ে চলবে যানবাহন। নিচের অংশ দিয়ে চলবে ট্রেন।এ রেল লাইনের মধ্যে ২৩ কিলোমিটার হবে এলিভেটেড রেলওয়ে। এটিই দেশের প্রথম এলিভেটেড রেললাইন। ঢাকার জুরাইন স্টেশন থেকে শুরু করে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের কুচিয়ামোড়া পর্যন্ত হবে এ রেললাইন। এর আওতায় দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নির্মিত হচ্ছে এলিভেটেড রেলওয়ে স্টেশনও। তবে রেললাইন করা হচ্ছে সিঙ্গেল। পরে সরকার চাইলে তা ডাবল করা হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।পদ্মা বহুমুখী সেতু এবং পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি)। গত (৪ মার্চ) এ দুটি প্রকল্প এলাকার কাজ সরেজমিনে দেখার আয়োজন করে। ওই আয়োজনে অংশ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলিভেটেড রেললাইনের প্রথম ¯প্যান বসানো হচ্ছিলো মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার পলাশপুরে এখন যথাক্রমে ¯প্যান বসছে। এলিভেটেড রেললাইনের ২৩ কিলোমিটারে এ রকম মোট ৪১৮টি ¯প্যান বসানো হবে বলে জানান কর্তৃপ।প্রকল্পের কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তা কামাল বলেন, এ এলাকা নিচু। এখানে অনেকগুলো ব্রিজ রয়েছে। ধলেশ্বরীর শাখা নদী ও অন্যান্য নদী রয়েছে। নদীগুলোর জন্য ব্রিজটা উঁচু করতে হচ্ছে। এটা যেহেতু রেললাইন, তাই হঠাৎ করে উপরে উঠে নিচে নামা যাবে না। একটা স্মুথ লাইন করতে হয় ট্রেনের জন্য। তাছাড়া এখানে যে পরিমাণ সফট সয়েল (নরম মাটি) আছে, তাতে বাঁধ দিয়ে করার চেয়ে এলিভেটেড করলে কম খরচ হবে। সেই সঙ্গে জমির পরিমাণও কমে যাবে। এখানে জায়গার দামও অনেক বেশি। সবদিক বিবেচনা করে এটা এলিভেটেড করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এলিভেটেড রেললাইন এটিই দেশে প্রথম। কেরানীগঞ্জে দেশে প্রথমবারের মতো এলিভেটেড রেলওয়ে স্টেশনও করা হচ্ছে। লাইনটা সিঙ্গেল হলেও ব্রডগেজে করা হচ্ছে।সাধারণত পরিকল্পনা করা হয় ৬০ থেকে ১০০ বছরের কথা চিন্তা করে। প্রতিনিয়ত ঢাকার সঙ্গে দণিাঞ্চলের মানুষের ট্রেন যোগাযোগ বাড়বে। তাহলে একবারে ডাবল লাইন না করে সিঙ্গেল লাইন কেন করা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন এ চৌধুরী বলেন, এক কথায় বলতে গেলে প্রচুর খরচের কারণে করছি না। আমরা ডাবল লাইনের জন্য জমি অধিগ্রহণ করে রাখছি। ভবিষ্যতে এটাকেই ডাবল লাইন করা যাবে। ঢাকা থেকে যশোরে কতগুলো ট্রেন চলবে, এ হিসাবে এখনই ডাবল লাইন করতে চাচ্ছি না। ডাবল লাইন আমরা হয়তো ১৫-২০ বছর পরে করতে পারি। যখন সরকার মনে করবে ডাবল লাইন করা দরকার, তখন এর পাশ দিয়ে আরেকটা করে ফেলবে। জায়গা থাকবে, শুধু ব্রিজ করলেই হয়ে যাবে।সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার বলেন,সরকারের এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যখনই আমাদের ডেকেছে তখনই তাৎক্ষণিক সেটা করে দিয়েছি। আমাদের দেশের জন্য এই প্রকল্প একটা মাইলফলক দৃষ্টান্ত।এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে যেকোন ভাবে জড়িত থাকতে পেরে আমরাও গর্বিত। ভালোভাবে কাজটা স¤পূর্ণ হোক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। মুন্সীগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য মাহি বি চৌধুরী বলেন আমার নির্বাচনী এলাকার উপর দিয়ে সরকারের এই মেগা প্রকল্প হচ্ছে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যা যা দরকার আমরা তাই করছি।
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম