চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৩:৫৭ অপরাহ্ণ, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি॥ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন সড়কে চলাচলরত হাজার হাজার মানুষ বর্তমানে শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের ক্যান্সার, হাঁপানি ও যক্ষ্মাসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। ঋতু পরিবতনের সঙ্গে বাতাসে উড়ে আসা ধুলা-বালিতে ঘর থেকে সড়কে নামলেই ধুলোবালির কবলে পড়ছেন মানুষজন। আর এ থেকে রক্ষা পেতে খুম কম সংখ্যক মানুষই মাস্ক ব্যবহার করলেও বেশীর ভাগ মানুষই অসচেতনার কারনে ধুলোবালির সঙ্গে যুদ্ধ করেই জীবনযাপন করে যাচ্ছেন। ফলে শ্বাসকষ্ঠসহ চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি ও যক্ষ্মাসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। চিকিৎসকদের মতে,শ্বাসনালী দিয়ে এসব ধুলোবালি প্রবেশের কারনে ফুসফুসের ক্যান্সারের মতো জটিল রোগও হতে পারে মানুষের।সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার বালুচর, লতব্দী, বাসাইল কেয়াইন, চিত্রকোট, রশুনয়া,বয়রাগাদী ও শেখরনগর ইউনিয়নে ধূলার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এমনকি সড়কে দায়িত্বরত পালনকারী ট্রাফিক পুলিশ। পাশাপাশি বসতবাড়ী, স্কুল-কলেজ, মাদ্রসা-মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,চায়ের দোকান, মুদি দোকান, খাবার হোটেল, সরকারী বেসরকারী ক্লিনিক ব্যাংক বীমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চিত্রও ধুলোবালিতে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। ঢাকা মাওয়া মহা সড়ক সংলগ্ন দোকানপাট এবং রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের অবস্থা আরো ভয়াবহ।বিশেষ করে রামকৃষ্ণদী দিয়ে লতব্দির রাস্তার অবস্থা মারাত্মক রকম ধুলায় ধূলিময়।রাস্তার সাথে বাড়িঘরের দিকে তাকানো যায়না,আর ভিতরের বসবাসরত মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ।অবৈধ মাহেন্দ্রার বেপরোয়া চলাচল এই ধুলিবালুর প্রধান উৎস বলে জানান সৈয়দ পুরের আলী নেওয়াজ নামক এক তরুণ।তিনি বলেন কুচিয়ামোড়া ঢাকাগামী বাসের জন্য অপেক্ষা মানে ধুলায় ভিজে একাকার হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নাই। নিমতলা সড়কের
পাশে চা দোকানি মনির মিয়া বলেন, এ সমস্যা আজকের নয়। অনেক দিন ধরে চলছে। মহাসড়কের উন্নয়নের কাজ শুরু করা হলেও এখনও শেষ হয়নি। ফলে সড়কের পাশে থাকা দোকানি ও বাড়ির মানুষদের অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তায় গাড়ি এসে থামার সঙ্গে সঙ্গে পেছন দিক থেকে ধুলা এসে ভরে যায়। মিনিটের মধ্যে দোকানসহ আমি সাদা হয়ে যাই। বাজারের মুদির দোকানদার আক্তার হোসেন বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ ফসলি জমির মাটি কেটে ও বালি দিয়ে বিভিন্ন ডোবানালা ও জমি ভরাটের কাজ করা হচ্ছে। ওই মাটি ও বালি বহনে ব্যবহার করা অবৈধ মাহিন্দ্র ও ড্রামট্রাকগুলোর কারণে ধুলোবালি বাতাসে উড়ছে বেশি। সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বদিউজ্জামান বলেন, ধুলাবালিতে যে শুধু শ্বাসনালি বা ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে তা নয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও তা প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমানে আমাদের হাসপাতালে ধুলাবাহিত বায়ুদূষণের রোগবালাই বৃদ্ধি পাচ্ছে আশঙ্কাজনকভাবে।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম