চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৪:১২ পূর্বাহ্ণ, ১৭ এপ্রিল, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে করোনা নিয়ে দিন দিন আতংক বাড়ছে । অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইন বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়েছে। অনেকেই আবার ছোট খাট অসুখ বিসুখ, ঠান্ডা, জ্বর, কাশি তে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিত বিভিন্ন মেডিকেল ও সাস্থ কমপ্লেক্সে যেত কিন্তু এখান এখন লকডাউন ও গাড়ি চলাচল না থাকলে সাধু যোসেফের মাতৃসদন কেন্দই মূল ভরসা হয় ওই সকল রোগীদের জন্য।প্রতিদিন শতাধিক রোগী সেবা পাচ্ছে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার সাধু যোসেফের মাতৃসদন কেন্দ্রে হাসপাতালে। ভালোমানের চিকিৎসা সেবায় এই হাসপাতালটি প্রাইভেট কিংবা সরকারী যে কোন হাসপাতালের চেয়ে অনেকখানি এগিয়ে। ছোট্ট একটি কক্ষে চালু হয় বর্হিবিভাগ। চিকিৎসক ছিলেন একজন। বর্তমানে ১ জন ডাক্তার ও ৩ জন নার্স দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা । এলাকাবাসীর দাবী চিকিৎসা সেবার প্রয়োজনী যন্ত্রাতি পেলে হাসপাতালটি আরো অনেক দুর এগিয়ে যাবে । এ গল্প মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের খ্রীস্টান পল্লীর সাধু যোসেফের মাতৃসদন কেন্দ্রের। কম মূল্যের চিকিৎসা ও ভালো সেবার জন্য সব মানুষের ভরসাস্থল হয়ে উঠেছে এটি। হাসপাতালটি মা ও শিশু চিকিৎসার জন্য সুনাম কুড়িয়ে আসছে শুরু থেকে।উপজেলার শুলপুর একমাত্র খ্রীস্টান ধর্ম পল্লিতে ১৯৬৫ সাল থেকে অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে সাধু যোসেফের মাতৃসদন কেন্দ্র। জানাযায় ১৯৬৫ সালে আমেরিকান ফাদার উইচ সি এস সি এই সদন টি চালু করেন । প্রথমে ফার্মেসি আকারে থাকলেও এলাকায় কোন হাসপাতাল না থাকায় তা হাসপাতারে রূপ নেয় । বর্তমানে এ সেবা কেন্দ্রে ৪ টি বেড বিশিষ্ট ১টি ওয়াড, সু সজ্জিত প্যাথলজি বিভাগ আছে। এখানে নাম মাত্র ফি দিয়ে বিভিন্ন পরিক্ষা করা হয়। ¯থানীয় ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা মানুষকে সেবা দিচ্ছেন এই সদনটি। রুগীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, এখানে সেবার মান খুব ভালো । সাধারণত গাইনি চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তারা প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়েও সেবা দেন । এছারাও প্রয়োজনীয় ঔষধ দিয়ে থাকেন এই মাতৃসদন কেন্দ্র। তবে এই সেবা কেন্দ্রে কোন সরকারি সহায়তা পাওয়া যায় না এখানে অক্সিজেন ব্যবস্থ থাকা প্রয়োজন। তারা বলেন অনেক সময়ে রুগীর অবস্থা আসঙ্ক জনক হলে তাদের অক্সিজেন দিয়ে রেফারর্ড করা হয় কিন্তু এখানে কোন এম্বুলেন্স না থাকায় রুগি নিতে অনেক সমস্যায় পরতে হয়। কেয়াইন ৫ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য নয়ন রোজারিও জানান, হাসপাতালটি অনেক পুরনো হলে মানসম্মত চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখানে ভিন্ন জেলার লোকও চিকিৎসা নিতে আসে নাম মাত্র ওষুধের খরচ নেওয়া হয় তবে সরকারী অনুদান পেলে হাসপাতালটি আরও ব্যাপক ভাবে প্রসার ঘটবে এবং এলাকাবাসী সুবিধা পাবে । কর্মরত নার্স জানান আমরা নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছি , তবে বর্তমানে করোনা একটি ভয় আছে । আমাদের সুরক্ষার প্রয়োজন যদি কিছু সহায়তা পেতাম সেবা দিতে ভালো হত।ফাদার ডা.লিন্টু ফ্রাঞ্চিশ ডি কস্টা বলেন ,অনেক সীমাবধের মধ্যে দীর্ঘ দিন যাবত এই সেবা কেন্দ্রটি সেবা দিয়ে আসছে। মুলত গাইনি, সাধারণ রোগ বেধীর চিকিৎসা দেওয়া হয় এখানে। এখান কার চিকিৎসক দের করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। আমাদের পক্ষ থেকে পরিষ্কার পরিছন্নতার ব্যবস্থ আছে। হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমাদের ১টি অক্সিজেন সিলিন্ডার, কিছু পি পি ই, কিছ ঔষধ ও এম্বুলেন্সের ব্যাবস্থা হলে ভালো হত।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম