চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৪:১১ অপরাহ্ণ, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
‘আমা’র বাবা একজন ফল বিক্রেতা এবং মা ঘরে কাপড় সেলাই করেন। তারা অনেক ক’ষ্টের মুখোমুখি হয়েছেন। তবুও আমা’র পড়াশোনা শেষ করতে সহায়তা করেছেন। আমি বাবা-মাকে এই স্বর্ণপদক উৎসর্গ করছি’— বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সবার উপস্থিতিতে কা’ন্নাজ’ড়িত কণ্ঠে বললেন স্বর্ণপদক জয়ী শিক্ষার্থী সাবাহ।
বাবা আবদুল গাফফার পাকিস্তানের ফয়সালাবাদের রাস্তার পাশে ফল বিক্রি করেন। মেয়ে নুরুল সাবাহ লাহোরের ইউনিভার্সিটি অব এ্যাডুকেশন থেকে পড়াশোনা করেছেন। তিনি সবেমাত্র অর্থনীতিতে এমএসসি শেষ করেছেন।
আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫৮ জন স্বর্ণপদক জয়ীদের মধ্যে তাঁর নামও রয়েছে। এবার গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি নেয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ছিল ১২ হাজার। এটি সাবার জন্য বিশাল অর্জন।
মে’য়ের সফলতায় নিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলেন সাবাহর বাবা। তিনি কী’ভাবে সবসময় তাঁর কন্যার প্রতি পদক্ষেপে সম’র্থন করতেন তা জানান। আর মে’য়ের এমন অর্জনের জন্য শুকরিয়া আদায়ও করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর কণ্ঠ শুনে কন্যার জন্য তিনি কতটা গর্বিত তা বুঝা যাচ্ছিল।
পাকিস্তানের এই মুহূর্তে সবচেয়ে ব্যয়বহুল জিনিসগু’লির মধ্যে একটি হল শিক্ষা। লোকেরা মাত্রই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়াশোনা করতে পারে। আর সাধারণ মানুষের সর্বনিম্ন মজুরির কারণে একাধিক বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাতে পারে না।
এছাড়া শিক্ষার স্তরের সাথে ফি উচ্চতর থেকে উচ্চতর হয়। ফলে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এটি সাবাহর পরিবারকে থামাতে পারেনি।
সাবাহর বাবা সারাদিন ক্লান্তিকর এবং কঠিন কাজ করেই যাচ্ছেন। কোন দিন তিনি কত টাকা ঘরে নেবেন তা আগে থেকে বলা যায় না। এমনকি মাঝেমাঝে ন্যূনতম মজুরিও আদায় করতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। বাড়িতে সাবাহর মা কাপড় সেলাই করে স্বামীকে সাহায্য করে। আর মে’য়ের পড়াশোনা থেকে যাবতীয় খরচ বহনের চেষ্টা চালিয়ে যায়।
বাবা-মা নিশ্চিত হয়েছিল যে তাদের মেয়েটি সর্বোত্তম শিক্ষা লাভের পথে রয়েছে। আর তারা তাকে পুরোপুরি সম’র্থন করেছিল। এই সম’র্থন বিস্ময়কর ছিল
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম