চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
তুমি নিজেকে নিজের মধ্যে খুঁজো। হতাশাকে নিজের জীবনে স্থান দেয়া যাবে না। লক্ষ্য নির্ধারন করে এগিয়ে যেতে হবে। যে যেটাই করতে চাও সেখানেই নিজেকে আবিস্কার কর। শুধু যে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে এমনটা নয়, গায়ক হতে চাও, হয়ে যাও। এজন্য নিজেকে নিজের সাথে যুদ্ধ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার মোঃ হারুন অর রশিদ।
“মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার” শ্লাোগানে ১০ ফেব্রুয়ারি রবিবার ত্রিশাল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গাহি সাম্যের গান মঞ্চে মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
ডিআইজি বলেন, আমি বিশ্বাস করি মাদককে শক্তভাবে না বলতে পারে তোমাদের মতো কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই। আমি সবচাইতে বেশি আবেগাপ্লুত হয়,যখন শুনি ৯৯৯ এ কেউ ফোন করে কোন সহায়তা পেয়েছে, কোন মাদক ব্যবসায়ী, কোন অপরাধী গ্রেফতার হয়েছে। আমি ঢাকায় কাজ করার সময় ৯৯৯ নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম।
তিনি বলেন, তোমাদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য,পেশন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তুমি তোমাকে প্রশ্ন করো, তুমি কি করতে চাও। তুমি ভালো কিছু করতে পারলেই দেশ ভালো কিছু পাবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসার ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসার মোঃ জালাল উদ্দিন, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. মোঃ আক্কাছ উদ্দিন ভূঞা, পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান, ডিআইজি কার্যালয় পুলিশ সুপার সৈয়দ হারুন অর রশিদ, ত্রিশাল সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার স্বাগতা ভট্টাচার্য। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
সামাবেশে বিশেষ অতিথি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসার মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, আজকের এ মাদক বিরোধী সমাবেশটি আমাদের শিক্ষার্থীদের উদ্ভুদ্ধকরণ ও সচেতন করার উদ্দেশ্যে।
তিনি বলে, মাদক গ্রহন করে কেউ ভালো কিছু কোন কালেই করতে পারিনি। আজকে এখানে তোমরা যারা শিক্ষার্থী আছো তারা বাবা মার বন্ধন থেকে অনেকটা দুরে এসেছো। নিজের স্বাধীন জীবন নিজেকেই রক্ষা করতে হবে। তোমাদের প্রয়োজনে বাইম মাছ হতে হবে। যদি তোমাদের রুমমেটরা সবাই মাদকাসক্ত হয়, তবে তুমি নিজেকে বাইম মাছের মতোই মাদকের কাদা না লাগিয়ে বাচাতে হবে।
অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভূইয়া বলেন, মাদক আইনটি ২০১৮ সালে নতুন করে প্রনয়ন করা হয়েছে। এতে মাদক ব্যবসায়ীকে এ আইনে তার সম্পদ বাজেআপ্ত করার বিধান আছে। এবং মাদক ব্যবসায়ী, সেবনকারীকে পূর্ণবাস করার ব্যবস্থা রয়েছে এ আইনে।
তিনি বলেন, বর্তমান আইনে মাদক ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষক, সহযোগিতাকারীদের জন্যও শাস্তির বিধান রয়েছে। শাস্তি দিয়ে সকল সমস্যার সমাধান হয় না। সচেতনতাই পারে এ সমস্যা থেকে পরিত্রান ঘটাতে। শুধু মাদকেই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো থেকেও সচেতন হতে হবে। না বুঝে না চিনে কোন ঘটনাকে সমর্থন দেয়া যাবে না।
অতিরিক্ত ডিআইজি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন, তোমাদেরও এক্ষেত্রে যত্নশীল সমর্থন প্রযোজন। তোমাদের হলেও মাদকের উপস্থিত সম্পর্কে শোনা যায়। এটি প্রতিহত ও প্রতিরোধ করতে হবে।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম