চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৫:০১ অপরাহ্ণ, ২০ জানুয়ারি, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
এই ভিক্ষুক দম্পতির বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের দক্ষিণ গোপাল রায় গ্রামে। তারা হলেন বৃদ্ধ খইমুদ্দিন (৮০) ও হামিজোন বেগম (৬৫)।
আজ ১৭ ডিসেম্বর, সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এক নির্জন কুঁড়ে ঘরে তাদের বসবাস। প্রতিদিনের ভিক্ষার চালেই জ্বলে তাদের চুলা।
একদিন ভিক্ষা না করলে তাদের মুখে খাবার জোটে না। অনেক সময় অনাহারেই দিন কাটে তাদের। তারপরও জীবন বাঁচাতে ভিক্ষা করতে হয় ওই দম্পতিকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এক নির্জন কুড়ে ঘরে তাদের বসবাস। প্রতিদিনের ভিক্ষার চালে চলে তাদের সংসার। একদিন ভিক্ষা না করলে খাবার জোটে না। অনেক সময় অর্ধাহারে অনাহারে দিন কেটে যায়। ওই ভিক্ষুর দম্প্রতি নিঃসন্তান। সম্পদ বলতে বাড়ি ভিটার ৪ শতাংশ জমি।
এই শেষ সম্বল টুকু তিন বছর আগে স্থানীয় গ্রামের নিত্য ডিঘি জামে মসজিদে দান করে দিয়েছেন। তাদের এমন দান সমাজে বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বৃদ্ধ খইমৃদ্দিন প্যারালাইস রোগী। স্ত্রী হামিজোন বেগম তাকে নিয়ে প্রতিদিন গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষা করেন।
হামিজোন বেগম বলেন, ভিটে বাড়িটুকু মসজিদের নামে দান করে আমরা দুই জনেই খুশি। আমাদের কোন সন্তান নেই তাই মসজিদে জমি দান করেছি।
প্রতিবেশি আছমা বেগম (৪০) বলেন, তারা অসহায় গরীব মানুষ। যেন দেখার কেউ নাই। সারাদিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে যেটুকু চাউল পান তাই রান্না করে খান।
ওই এলাকার তৈয়ব আলী (৪০) জানান, ওই বৃদ্ধ দম্পতির মৃত্যুর পর তাদের দাফন কাফনের ব্যবস্থা জামাতবাসি করবেন। তাদের এমন দান সমাজের বিত্তশালীদের চোখ খুলে দিয়েছে।
নিত্য ডিঘি জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল সোবাহান (৭০) জানান, বৃদ্ধ খইমুদ্দিন ও হামিজোন বেগম তিন বছর আগে বাড়িভিটের জমি মসজিদের নামে দলিল করে দিয়েছেন।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম