চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৪:৪০ পূর্বাহ্ণ, ১৯ এপ্রিল, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
আমিনুল ইসলাম,শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আর্থিক কষ্টে আছেন মৃৎশিল্পীরা। উপজেলার হাঁসাড়া কুমার বাড়ির প্রায় ২০-২৫টি পরিবার এখন অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছেন। করোনার প্রভাবে তাদের আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে। মাটির তৈরী সামগ্রী বিক্রি করতে না পেরে হতাশায় আছেন তারা। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ৪২৭ বছরের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পীরা এখন চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এখন দেশব্যাপী চলছে লকডাউন। এরই মধ্যে সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। জনসমাগম এড়াতে বৈশাখীর সমস্ত উৎসব বন্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা থাকায় কোথায়ও ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা বসেনি। তাই মৃৎশিল্পীরাও বর্তমানে করোনার কারনে তাদের তৈরীকৃত সামগ্রী নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বৈশাখকে ঘিরে তাদের যত স্বপ্ন ছিল তা ফিকে হয়ে গেছে। মাটির তৈরী এতোসব সামগ্রীও নষ্ট হওয়ার পথে। খোজখবর নিয়ে জানাযায় এরমধ্যে কয়েকটি পরিবার তাদের তৈরীকাজ বন্ধ রেখেছেন। এসময় অরুন পাল, মদন পাল, বিনয় পাল, লক্ষণ পাল, সুরন্ড পাল তারা বলেন, করোনার প্রভাবে তাদের সমস্ত তৈরীকৃত মালামাল আটকা পড়েছে। এসব সামগ্রী তারা কোথাও বিক্রি করতে পারছেননা। এছাড়াও চলতি বৈশাখী মেলার জন্য মাটির হরেক রকমের তৈরীকৃত অতিরিক্ত সামগ্রী আটকা পড়েছে। কোথাও মেলা উৎসব না থাকায় কিছুই করতে পারছেননা তারা। তারা এখন দুশ্চিন্তায় ও হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। এছাড়া করোনা রোধে অনেকেই তারা কর্মহারা হয়ে পড়েছেন। এতে করে খাবার সংকটেও পড়েছেন তারা। তারা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখানে মাত্র ৩-৪টি পরিবারে খাদ্য সহায়তা করা হয়েছে। ব্যক্তি উদ্যোগেও হয়ত ২-১ জন তা পেয়েছেন। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তারা হতাশার কথাই জানিয়েছেন। এসময় সময় মিঠুন পাল বলেন, পরিবার গুলো প্রায় ৪২৭ বছর যাবত এই পেশায় আছেন। কয়েক পুরুষের পেশা তারা ধারাবাহিকতা বজায় রাখছেন। তার পরিবারের সব সদস্যই মৃৎশিল্পী। দৈনিক ৩০০-৪০০টি করে মাটির বিভিন্ন রকমের সামগ্রী তৈরী করেন তার পরিবার। কেউ অন্য কোনও কাজ করেননা। তাই ঘরে তার অনেক মালামাল জমা হয়ে গেছে। হাট বাজার বন্ধ, বৈশাখী উৎসব ও মেলা কোথাও নেই। আমরা এখন কি করবো? দেশের এই ক্রান্তিকালে সরকার আমাদের দিকে যদি একটু সুদৃষ্টি দিতেন তাহলে এই পরিস্থিতিতে পরিবার পরিজন নিয়ে কোনরকমে বেচে থাকা যেত! এছাড়াও উপজেলার ষোলঘর পালবাড়ি, তন্তর কুমার পাড়া ও বাঘড়ায়ও কুমার বাড়ি নামে বেশ কিছু মৃৎশিল্পী আছেন। করোনার প্রভাবে সবাই এখন কর্মহারা হয়ে পড়েছেন। করোনার প্রভাবে কর্মহীন মৃৎশিল্পীরা স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম