চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৩:২৬ পূর্বাহ্ণ, ১১ আগস্ট, ২০২০
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ শ্রীনগরে একটি সরকারি রাস্তার গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার শ্রীনগর-তন্তর সড়কের তন্তর কুমার বাড়ি সংলগ্ন ব্রীজের পাশে বড় বড় আকারের ইউক্লিপটার জাতের বেশ কয়েকটি গাছ কর্তন করে ওই গ্রামের আনোয়ারুল হক নামে এক ব্যক্তি। তার দাবি উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. সেলিম খান তাদের গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্রমিক দিয়ে গাছ কাটা হচ্ছে। পাকা রাস্তার দক্ষিন পাশের বর্ডারে থাকা সারিবদ্ধভাবে থাকা বড় আকারের প্রায় ৯/১০ গাছ কাটা হয়েছে। উপস্থিত শ্রমিক আব্বাস ও সোবাহান জানান, আনোয়ারুল হকের কাছ থেকে সাড়ের ৪ হাজার টাকায় চুক্তিতে তারা গাছ কেটে দিচ্ছেন। এসময় উপস্থিত আনোয়ারুল হকের ভাই সামসুল হক বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে বন কর্মকর্তা অনুমতি আছে দাবী করে কাগজ বের করে দেখান। দেখা যায়, গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনও বরাবর এক আবেদন পত্রে ফরেস্ট অফিসারের সিল ও স্বাক্ষরীত রিসিভ কপি এটি। এই আবেদনপত্র গাছ কর্তনের অনুমতি বহন করে কি না এমন প্রশ্নের সুদত্তর দিতে পারেননি সামসুল হক। আনোয়ারুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিজেদের রোপনকৃত গাছ কেটেছেন তারা। তাহলে গাছ কাটতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসে কেন আবেদন করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি মুখ খুলথে রাজি হননি। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, সরকারি রাস্তার প্রায় দেড় লাখ টাকার গাছ কর্তন করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযোগ উঠেছে ফরেস্ট অফিসার মো. সেলিম খানের বুদ্ধি পরামর্শেই তারা গাছ কাটেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, ফরেস্ট অফিসারের কারসাজিতে এমনটা হয়েছে। আবেদন করেই কি গাছ কাটা বৈধ হয়ে গেল?
উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. সেলিম খানের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববার ঘটনাস্থলে গিয়েছি। গাছগুলো রাস্তার পাশে তারাই রোপন করেছিল। গাছগুলো আমাদের না। এব্যাপরে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার জানান, গাছ কাটতে চেয়ে এক ব্যক্তি আবেদন করেছিলেন। তার মানে এই না তাকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। এমনটা হয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম