চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৬:০০ অপরাহ্ণ, ৮ আগস্ট, ২০২০
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের গৌরিপুরা গ্রামের সংখ্যালঘু একটি পরিবারের ৩টি দাগে ৮১ শতাংশ সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে থৈরগাঁও গ্রামের মৃত মরন মাঝির ছেলে সোবহান মাঝি (৬০) ও তার মেয়ের জামাই দক্ষিন নন্দনকোনা গ্রামের সাইদুল ইসলাম (৪৫) দ্বয়ের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী সুদর্শন গাঙ্গুলীর কাছ থেকে গত ২০১৭ সালে সোবহান মাঝি ৮১ শতাংশ সম্পত্তি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিক ভাবে তার মেয়ের জামাই সাইদুল ইসলামের নামে আম মোক্তার নামা দলিল করিয়ে নিয়ে সুকৌশলে বর্ণিত সম্পত্তি সোনিয়া বেগম ও সাদিয়া পারভীন শ্রাবণী নামের দুই ব্যক্তির কাছে সাব কবলা দলিল মূলে বিক্রি করে দিয়ে সম্পত্তি হজমের সমাপ্তি ঘটায়।ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, অনুমান ১৭-১৮ বছর পূর্বে গৌরিপুরা গ্রামের সুদর্শন গাঙ্গুলী ও একই গ্রামের মৃত মতিলালের ছেলে ভবশীল গংদের সাথে সম্পত্তির রেকর্ড ও ভোগদখল নিয়ে বিরোধ চলছিলো। গাঙ্গুলী বাড়ীতে আসা যাওয়া ও তাদের আস্থাভাজন লোক হওয়ার সুবাদে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলাকালীন সময়ে সোবহান মাঝি সুদর্শন গাঙ্গুলীকে প্রতিপক্ষের দ্বারা বিরোধীয় সম্পত্তি দখল হওয়ার ভয় দেখিয়ে সম্পত্তি তার মেয়ের জামাইয়ের নামে আম মোক্তার নামা দলিল করে দিতে বলে। সেসময় সুদর্শন গাঙ্গুলী শারিরীক অসুস্থ্যতা ও পরিবারে উপযুক্ত বয়সের কেউ না থাকায় সোবহান মাঝির কথায় রাজি হয়ে সুদর্শন গাঙ্গুলী তার পৈত্রিক সম্পত্তি তথা গৌরিপুরা মৌজাস্থিত আর,এস-১৪৯ নং দাগ হইতে ২৩ শতাংশ, আর,এস-১৪৬ নং দাগ হইতে ২৫ শতাংশ ও আর,এস-১৫৩ নং দাগ হইতে ৩৩ শতাংশ সর্ব মোট ৮১ শতাংশ সম্পত্তি সোবহান মাঝির মেয়ের জামাই সাইদুল ইসলামের নামে শর্ত সাপেক্ষে আম মোক্তার নামা দলিল করে দেয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে গৌরিপুরা মৌজাস্থিত আর, এস-১৪৫ নং দাগের ২৫ শতাংশ ও আর, এস-৯৪ দাগের ৩৫ শতাংশ দুই দাগে মোট ৬০ শতাংশ সম্পত্তি ভবশীল গংদের নামে সাব কবলা দলিল মূলে লিখে দিয়ে পূর্ব বিরোধীয় সম্পত্তির ঝামেলার ইতি টানেন সুদর্শন গাঙ্গুলী। পরে সুদর্শন গাঙ্গুলী ও তার ছেলে মিঠুন গাঙ্গুলী সোবহান মাঝিকে ডেকে তাদের আম মোক্তারকৃত সম্পত্তি ফেরত চান। শর্ত অনুযায়ী সম্পত্তির ঝামেলা মিটে গেলে সোবাহান মাঝির মেয়ের জামাইর নামে দেয়া দলিল সুদর্শন গাঙ্গুলীকে ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও উল্টো আম মোক্তার নামা দলিল ফেরত না দিয়ে ৩ দাগে ৮১ শতাংশ সম্পত্তি আত্মসাত করে বসে আছে অভিযুক্ত জামাই ও শ্বশুর।৯ নং ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম মল্লিক বলেন, ভবসীলদের সাথে গাঙ্গুলীদের সম্পত্তি নিয়া দন্ধ হওয়ার পর গাঙ্গুলীকে সোবহান মাঝি বুঝাইছে যে, যে কোন সময় আপনার সম্পত্তি জোর দখন করে নিয়ে যেতে পারে শীলরা। তাই এ সম্পত্তি আমার জামাইয়ের নামে বা আমার আন্ডারে দিলে কেউ নিতে পারবে না। পরর্তীতে ঝামেলা মিটে গেলে সোবহান মাঝি দিয়ে দেয়ার কথা ছিলো। এ বিষয়টা স্থানীয় আরো অনেকে জানে এবং কোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাসান মাসুদ পাওয়ার নামা করার সময় সামনে ছিলেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি মুঠোফোনে জানান, গাঙ্গুলীদের সাথে শীলদের সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা ছিল বহু আগে। এ বছর তাদের মধ্যে ওই সম্পত্তির ঝামেলা মিট হয়েছে। আমি শুনেছি সোবহান মাঝির মেয়ের জামাইর নামে সুদর্শন গাঙ্গুলী ৮১ শতাংশ জায়গা পাওয়ার দিয়েছে। সে সম্পত্তি নাকি গাঙ্গুলীদের ফেরৎ দেওয়ারও কথা ছিল। আমি ছাড়া এরকম অনেকেই বিষয়টা জানে, অনেকেই বলতে পারবে। পরে শুনলাম সোবহান মাঝি নাকি গাঙ্গুলীদের সম্পত্তি ফিরত না দিয়া অন্য লোকের কাছে বিক্রি করে দিছে।ভুক্তভোগী সুদর্শন গাঙ্গুলীর ছেলে মিঠুন গাঙ্গুলী বলেন, ২০১৩ সালে প্রতিবেশী শীলদের সাথে আমাদের সম্পত্তি নিয়া বিরোধ ছিলো। আমার বাবা একজন ক্যান্সারের রোগী। আমাদের বিশ্বস্ত সোবহান মাঝি আমার বাবাকে এসে বলল আপনার সম্পত্তি শীলদের লোকেরা দখলের পায়তারা করতেছে। আমার বাবা তার প্ররোচনায় পড়ে তার মেয়ের জামাই সাইদুলের নামে শর্ত অনুযায়ী সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যদের বেদখলের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য পাওয়ার নামা দেয়। গত বছর শীলদের সাথে আমাদের সম্পত্তি নিয়া যে ঝামেলা ছিলো সেটার মিমাংসা করার পর সোবাহানকে আমার বাবা বলে আমাদের পাওয়ার নামা ফেরত দেন। সোবহান দেই দিচ্ছি করে আমাদের ঘুরাইতে থাকে। পরে আমরা জানতে পারি যে, সাইদুল পাওয়ার নামা নিয়া আমাদের ৮১ শতাংশ সম্পত্তি আত্মসাত করে অন্যের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এই বাড়িতে আমরা ৮ পুরুষ ধরে বসবাস করে আসছি। তারা আমাদের সম্পত্তি আত্মসাত করে আমাদেরকে এ দেশ থেকে বিতারিত করার পায়তারা করছে। আমরা এই দেশ থেকে কোথাও যেতে চাই না। আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাত কারীদের কাছ থেকে ফিরে পেতে সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেই সাথে তদন্ত পূর্বক দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।অভিযুক্ত সাইদুল বলেন, আমি জমি কিনে পাওয়ার নামা নিয়েছি! আমি দলিলের বাহিরে কোন কথাই বলবো না। এর চেয়ে বেশী কথা আমি আপনার সাথে বলতে চাই না বলে মুঠোফোন কেটে বন্ধ করে রাখেন
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম