চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ২:৪৬ পূর্বাহ্ণ, ৩০ এপ্রিল, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের সিরাজদিখান বাজারের বাশপট্টির পাশে অসহায় সহায় সম্বলহীtন ১৫ টি পরিবার এখনো ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দেড় মাস আগে তাদের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়ে যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য। তবে তাদের প্রতিদিন কাজ না করলে তাদের খাবার জুটে না। করোনা মহামারীর কারণে তারা এখন কাজ করতেও পারছেন না। এখনো তারা কোনো সরকারি ত্রাণ পাননি। অসহায় এই মানুষগুলো ক্ষুধার জ্বালায় বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে যা পাচ্ছেন তা এনে কোনমতে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের এই কষ্ট কারো চোখে পড়ছে না। তারা আরো জানান, চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েও তেমন কোনো আশ্বাস পাননি। এদিক দিয়ে তাদেরকে প্রতি মাসে ১৬শ টাকা বাড়ি ভাড়া দিতে হচ্ছে। একদিকে কাজ নেই অন্যদিকে বাড়ি ভাড়া সবমিলিয়ে অসহায় জীবনযাপন করছেন তারা। সিরাজদিখান বাজারের বাশপট্টি এলাকার রোকিয়া বলেন, আমার স্বামী নেই, ছেলে সন্তানও নেই, আমি এ পর্যন্ত চেয়ারম্যান মেম্বারের কাছে অনেকবার গিয়েছি। আমাদের কোনো সাহায্য দিতে রাজি হচ্ছে না। আমরা যে কাজ করতাম তা করোনার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আমাদের খাওয়া-দাওয়া খুব কষ্ট হচ্ছে। এ পর্যন্ত কোনো ত্রাণ পাইনি। আমাদের এ পাড়ায় আমারই মত অসহায় আরো ১৫ টি পরিবার আছে। তারা এ পর্যন্ত কেউ সরকারি ত্রাণ পাইনি।একই এলাকার জাহানারা বেগম বলেন ,আমার স্বামী হার্ট স্ট্রোকের রোগী। এখন কোন কাজ কাম করতে পারে না । আমার চায়ের দোকান আছে তাও এখন বন্ধ। কোন সরকারি ত্রাণ ও পাইনি। তাদের মত আরো নুরজাহান, ফাতেমা, আসমা, শাকিলা, লিপি, সুবর্ণা, নাজমা, রুকি প্রমুখ।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার বলেন, আমরাতো বরাদ্ধ গুলো চেয়ারম্যান সাহেবদের কাছে দিয়ে দেই। এখন ওনারা যদি অগ্রাধিকার অনুযায়ী না দেয় তাহলে আমাদের সমস্যা। আমি চেয়ারম্যান সাহেরের সাথে কথা বলতেছি।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম