চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ১০:০২ পূর্বাহ্ণ, ১০ এপ্রিল, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ ঢাকার কর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীর লাশ নিয় এসে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে দাফন করা হয়েছে। এমনি অভিযোগ পাওয়া গেছে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করা মুফতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফারুকী বিক্রমপুরীর আত্নীয় ও পরিবারের বিরুদ্ধে। এমন কি ওই ব্যাক্তির জানাজায় ৪শতাধীক মানুষ শরিখ থেকে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হবার পর জানাজায় শরিখ হওয়া ব্যক্তিবর্গসহ এলাকাবাসীর মধ্যে করোনা সংক্রামিত হবার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিহত মুফতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফারুকী বিক্রমপুরী উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম শিয়ালদী গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিন মুন্সীর পুত্র এবং সে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মুস্তফাগঞ্জ মাদ্রাসায় মুহতাতিম ছিলেন। তিনি গত ৩ এপ্রিল অসুস্থ্য হন। ৭ এপ্রিল আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৮ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেয়া হলে তার শরীরে করোনার উপস্বর্গ দেখা দেয়। ডাক্তাররা তাকে ওই দিন কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠালে বিকাল অনুমান ৬ টার দিকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অবস্থায় মারা জান তিনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। করোনা আক্রান্তের বিষয়টি মুফতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফারুকী বিক্রমপুরীর পরিবার গোপন করে লাশ নিয়ে এসে গত ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম শিয়ালদী গ্রামের (তালুকদার বাড়ী) মসজিদ সংলগ্ন মাঠে জানাজা শেষে পশ্চিম শিয়ালদী (বেপারী বাড়ী) কবরস্থানে তাকে দাফন সম্পন্ন করে।এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকরা তার মৃত্যুর খবর পেয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য তিনি কি কারণে মারা যায় এবিষয়ে মুফতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফারুকীর আত্মীয় এবং পরিবারের লোকজনের নিকট জানতে চাইলে তারা বিষয়টি গোপন করে স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার মিথ্যা তথ্য দেয়।অন্যদিকে গত ৮ এপ্রিল বুধবার মুফতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফারুকী অসুস্থ্য হলে আত্নীয়রা তাকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিসার জন্য নেয়। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তার শরীরে কভিড-১৯ এর উপস্বর্গ দেখে ডাক্তাররা তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তার মৃত্যু হলে হাসপাতালের কাউকে না জানিয়ে ওই রোগীর আত্নীয়রা লাশ নিয়ে চলে আসে। আগে নেয়া ওই রোগীর শরীরের নমুনায় করোনা পজেটিভ ধরা পরে। এনিয়ে ওই দুই হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। এর পর আত্নীয়রা মুফতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফারুকী বিক্রমপুরীর মৃতদেহ গ্রামের বাড়ী উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম শিয়ালদী এনে পশ্চিম শিয়ালদী গ্রামের (তালুকদার বাড়ী) মসজিদ সংলগ্ন মাঠে জানা শেষে পশ্চিম শিয়ালদী (বেপারী বাড়ী) কবরস্থানে তাকে দাফন সম্পন্ন করে। করোনা আক্রান্তের বিষয়টি একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে প্রচার হওয়ার পর লোকজন জানতে পারে। এনিয়ে জানাজায় উপস্থিত থাকা লোকজন ও স্থানীয় লোজনের মধ্যে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। তারা এখন ভীত হয়ে পড়েছেন। উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হলে ১০ এপ্রিল শুক্রবার সকালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করা ব্যাক্তির গ্রামের বাড়ী লকডাউন করা হয়।মোঃ আব্দুল্লাহ আল ফারুকী বিক্রমপুরীর আত্নীয়রা জানায়, করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার রিপোর্ট না পেয়ে তারা মৃতদেহ ঢাকার গেন্ডারিয়ায় গোসল দিয়ে প্রথম জানাজা ও পরে গ্রামের বাড়ী সিরাজদিখানে এনে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মৃত লাশের দাফন সম্পন্ন করে।এ ব্যপারে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুনাহার জানান, বিষটি গত রাতে অবহিত হয়েছি। কিছুক্ষর মধ্যে ওই এলাকায় গিয়ে লকডাউনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম