চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৩:৪২ অপরাহ্ণ, ১৯ এপ্রিল, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ)প্রতনিধিঃ করোনায় সিরাজদিখান উপজেলায় এখন পানির দরেই বিক্রি হচ্ছে দুধ। বাজার গুলোতে ক্রেতা সমাগম নেই, সেই ঢাকা ও নারায়নগঞ্জের মিষ্টান্ন ভান্ডার গুলো বন্ধ থাকায় এ উপজেলায় উৎপাদিত দুধ অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে যেখানে বোতলজাত এক লিটার মিনারেল ওয়াটার কিনতে লাগে ২০ টাকা, সেখানে এক লিটার দুধ পাওয়া যাচ্ছে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায়। এক কথায় দুগ্ধ খামারীদের উৎপাদিত দুধ এখন বাজার কিনতে পাওয়া যাচ্ছে পানির দরেই। উৎপাদিত দুধ বিক্রি করতে না পেরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি দুগ্ধ খামারীদের কপালে এখন দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এদিকে, অনেকেই ঋন নিয়ে গড়ে তোলেছেন দুগ্ধ খামার। দুধ বিক্রি না হওয়ায় সেই ঋন এখন দুগ্ধ খামারীদের মাথার বোঝা হয়ে দাড়াচ্ছে। আবার দুধ বিক্রিতে লোকসানের মুখে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার ছোট-বড় প্রায় ৪’শ দুগ্ধ খামারী। আবার অনেকে লোকসানের পাল্লা কমাতে অবিক্রিত দুধ দিয়ে দই,ঘি তৈরী করে রাখছেন। তাছাড়া খামারের গাভীকে খাবার কম দিয়ে দুধের উৎপাদন কমিয়ে আনছেন খামারীরা। উপজেলার লতব্দী গ্রামের নুসরাত ডেইরী খামারে রয়েছে ২৬ টি গাভী। এরমধ্যে ৯ টি গাভী থেকে ১০০ লিটার দুধ উৎপাদিত হয়ে আসছে-এমনটাই জানিয়েছেন খামারের স্বত্বাধিকারী আরিফ খান। তিনি বলেন, আগে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা লিটার প্রতি দুধ বিক্রি হত। করোনার কারনে সেই দুধ লিটার প্রতি এখন ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে তাকে দৈনিক লোকসান গুনতে হচ্ছে ৫ হাজার টাকা। তিনি জানান, এ অবস্থায় লোকসান কমাতে গাভী গুলোকে খাবার কম দিচ্ছেন। একই সঙ্গে খাবার কম পেলে গাভীই কম দুধ দিচ্ছে। করোনার থাবায় লোকসানের কবলে থাকা এ দুগ্ধ খামারের দুশ্চিন্তা এখন খামার প্রতিষ্ঠাকালে ব্যাংক থেকে নেওয়া ১৫ লাখ টাকা ঋন। লোকসান অব্যাহত থাকলে ঋনের টাকা পরিশোধ করবেন কিভাবে-তা নিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন তিনি। উপজেলার গোয়ালবাড়ির মা ডেইরী ফার্মের মালিক অরুন ঘোষ জানান, রাজধানী ও নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন মিষ্টির দোকান গুলোতে উৎপাদিত দুধ বিক্রি করেন। করোনার কারনে যানবাহনের অভাব ও মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় সেই দুধ বিক্রি হচ্ছে না। তার ফার্মের ৫০ টি গাভী থেকে দৈনিক ৬০০ লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। এখন ক্রেতার অভাবে স্থানীয়দের কাছে ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা দরে সেই দুধ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দুই লাখ টাকা লোকসানে পড়েছেন তিনি।উপজেলা প্রানী সম্পদ কমকর্তা ডা: হাসান আলী বলেন, উপজেলায় ৩৬৬ টি খামার আছে। হাসপাতালের ইমার্জেন্সি খোলা। প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্ধকৃত খাতে সারা বাংলাদেশের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা রয়েছে। শুধু সরকারের উপরের নিদের্শনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যাবস্থা নিব। তিনি আরো বলেন, অলরেডি আমাদের কাছ থেকে গোয়েন্দা সংস্থারা খামারিদের তথ্য নিয়েছে।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম