সিরাজদিখানের জৈনসার ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামে সাংবাদিক পরিবারের জমি জোরদখল করে বিল্ডিং নিমার্ণ করার অভিযোগ উঠেছে আমেরিকান প্রবাসী জহিরুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে। ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বার ও এলাকার গন্যমান্যরা কয়েকবার মিমাংসা করলেও পরে তা আর মানছেন না কাজল গংরা। সাংবাদিক মাহে আলম জেমস ও তার ছোট ভাই সাংবাদিক সাজিদুল আলম তুহিন, তাদের আরেক ভাই জিয়াবুল আলম জিয়া এই জোরদখলদারদের অত্যাচার থেকে মুক্তির দাবী জানান। তাদের পৈত্রিক ভিটা ফিরে পেতে চান তারা। এই সাংবাদিক পরিবারের সকলে ঢাকায় বসবাস করার কারণে তাদের চাচাত ভাই প্রবাসী জহিরুল ইসলাম কাজলের নির্দেশে তারই ছোট ভাই সানোয়ার হোসেন রিপন জমি দখল করে বিল্ডিংয়ের অংশ বর্ধিত করেছেন বলে জানা যায়। ভূক্তভোগী জিয়াউল আলম জানান, প্রবাসী জহিরুল ইসলাম কাজলের ছোট ভাই সানোয়ার হোসেন রিপন গংরা তাদের জমি দখল করে ডিল্ডিংয়ের অংশ বর্ধিত করে বারান্দা নির্মাণ করছেন। কোন বাঁধাই তারা মানেন না। তাদের দ্বারা অত্যাচারিত ও হয়রানী হচ্ছেন তারা। চেয়ারম্যান, মেম্বার ও পঞ্চায়েত এক বছরে ৪ বার জমি মেপেছে, ৪ বার সালিসে বসেছে, কিন্তু স্থাপনা সরিয়ে নেয়না, উল্টো নানা ভয়ভীতি ও হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় বারবার সালিসগন মিমাংশা করেও কার্যকর করতে পারেনি। সানোয়ার হোসেন রিপন জানান, আমরা জমি দখল করে নিমার্ণ কাজ করি নাই। আমার দাদা ৩৫ বছর আগে বিল্ডিং করেছে। বিল্ডিংয়ের উত্তরে আমাদের সোয়ারেজ লাইনের পাইপ গিয়েছে, সেখানে আমরা বারান্দা করেছি। ৪/৫ বার সীমানা নির্ধারণ ও সালিসে বসা হয়েছে। সালিস বিল্ডিং ভেঙ্গে দিতে বলেছে, তাই আমরা মানি নাই। এক সপ্তাহ আগে উকিলের মাধ্যমে আদালতে ব্যবস্থা নিয়েছি। এখনো আদালত থেকে কারো নোটিশ আসেনি। আদালত যদি ভাঙতে বলে তাহলে আমরা ভেঙ্গে ফেলব। উকিল আমাদের কাজ করতে পারবো বলেছিলো। দুই দিন আগে কাজ করতেছিলাম, তারা বাঁধা দেওয়ায় এখন কাজ বন্ধ আছে। জৈনসার ইউপি সদস্য (৩নং ওয়ার্ড) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, রফিকুল ইসলাম দুদু চেয়ারম্যান, রশুনিয়া ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ও বাসাইল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাবুল, উপজেলা আওয়ামীলীগ দপ্তর সম্পাদক শহিদ ঢালীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ কয়েকবার সালিস করেছে। বেশ কয়েকবার ৩/৪ জন আমিন দিয়ে জমি পরিমাপ করা হয়েছে। মিমাংসা একবারও রিপনরা মানে নাই। মানুষকে ডেকে নিয়ে তারা বার বার হয়রানি ক েছে। তারা অবৈধভাবে আরেকজনের জমিতে বিল্ডিংয়ের অংশ বর্ধিত করছে। জৈনসার ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম দুদু জানান, বহুবার তাদের জমি মাপা হয়েছে, তাদের পুরনো বিল্ডিংয়ে একফুট জমি পাওনা হয় জিয়াবুল আলমরা। তারপরও সালিসরা সেটা বাদ দিয়েছে। কাজলের ভাই রিপন বর্ধিত অংশ করার সময় জিয়াবুল আলম বাঁধা দিয়েছে, তখন রিপন বলেছে মাপে পেলে ভেঙে দিবে। তাছারা শেষের দুইবার মাপ ও সালিসে কাজল উপস্থিত ছিলো, রশুনিয়া ও বাসাইল ইউনিয়নের দুই সাবেক চেয়ারম্যানসহ অনেক গন্যমান্যদের তারা এনেছে তারাও একই সিদ্ধান্ত দিয়েছে। কিন্তু কাজলরা মানে নাই। এখন আদালতের মাধ্যমেই তাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। বারবার আর আমরা হয়রানী হতে চাই না। সিরাজদিখান থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন জানান, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা আমাদের কাজ, জমিজমার বিরোধ মিটানো আমাদের কাজ না। বিজ্ঞ আদালত আমাদের কোন নির্দেশনা দিলে সেটা আমরা ব্যবস্থা নিবো। যেহতেু রিপনরা মানে নাই তাই জিয়াদের আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। #