চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ২:২৩ অপরাহ্ণ, ২২ জানুয়ারি, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে পাকা রাস্তা উন্নতকরণ নির্মাণকাজ ধীরগতির কারণে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। কাজে ধীরগতির ব্যাপারে ঠিকাদারি মোঃ বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনসাধারণ ওজনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ তুলে ধরলেও কাজের কোন গতি বাড়েনি।জানা গেছে, সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ডের হাজীবাজার থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্প পর্যন্ত দুই কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ ও উন্নতকরণ কাজের ধীরগতির কারণে এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আগামী একমাসের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে এ ব্যাপারে ঠিকাদার মোঃ বিল্লাল হোসেন দৈনিক সভ্যতার আলোকে আরো জানান,নব্বই লাখ টাকা বরাদ্দের দুই কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ করতে গিয়ে আমার সাথে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের মধ্যে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। এখানে ইঞ্জিনিয়ার সময় মতো আসতে সমস্যা করছে এবং এই রাস্তায় বিছানো আগের ইটাগুলো ছিলো একেবারে তিন নাম্বার । রাস্তায় বিছানো আগের পুরাতন ৪ লক্ষ ইট আমাকে ২৮ লক্ষ টাকা মূল্য ধরে দিয়েছিলো,কিন্ত ঐ ইটগুলো এতো ডাস্ট ছিলো যে একেবারে চুলার মাটির মতন তা দিয়ে কাজ করা যাচ্ছিলোনা এই জন্য আমি সিরাজদিখান উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে অভিযোগ দিয়েছিলাম এতগুলো টাকা আর এই ভাবে নিন্মমানের ইটা দিয়ে কাজ করা যাচ্ছেনা এর সমাধান চেয়েছি,তবে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে বলেছে যা আছে তাই দিয়েই কাজ চালিয়ে যেতে। বিগত ৮ মাস যাবত কাজ চলায় এবং গত তিনমাস যাবত রাস্তার কাজ একেবারে বন্ধ থাকায় এই রাস্তায় চলাচলরত মানুষ এখন পুরোপুরি অতিষ্ঠ। প্রতিদিন সিএনজি, পিকআপ ভ্যান,মোটরসাইকেলসহ অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। এসব যানবাহন প্রয়াই দুর্ঘটনায় কবলিত হচ্ছে।প্রায় ৮ মাস ধরে রাস্তার কাজ চলছে কিন্তু শেষ হওয়ার লক্ষণ নেই।এই রাস্তার ধীরগতির কারণে সবচাইতে বেশী ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে যাত্রী সাধারন জনগণ,একেতো ধুলোবালির সমস্যা তার উপর মরার উপর খারা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই রুটের সিএনজি ভাড়া আগের তুলনায় বেশী। তিন নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক মেম্বার বলেন,এই রাস্তার ধীরগতির জন্য আমার ৩৭ শ ভোটার সহ জনগণের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।ঠিকাদারকে জিজ্ঞেস করলেই বলছে তার তহবিলে নাকি টাকা নাই তাই দেরী হচ্ছে। বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা।এছাড়া এই রাস্তার নিন্মমানের কাজ ও ধীরগতির জন্য বর্তমান সরকার ও আমাদের এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সিরাজদিখান উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ দৈনিক সভ্যতার আলোকে বলেন,রাস্তাটা একটু দুর্গম ও ভিন্ন সাইটে হওয়াতে ওখানে রোলার পাওয়া যাচ্ছিলোনা,রোলার পেয়েছি ইনশাল্লাহ শীঘ্রই রাস্তার কাজ শেষ হবে।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম