চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৪:২১ অপরাহ্ণ, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজদিখান রাজানগর তেঘরিয়া এলাকায় মানসিক চাপে হার্ট এ্যাটাকে আমিরুল ইসলাম (৫৫) নামের ফার্মগেট খামারবাড়ি কৃষি তথ্য সার্ভিস অফিসের প্রুফ রিডার মারা গেছেন। আমিরুল ইসলাম তার সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। নিহত আমিরুল ইসলাম সিরাজদিখান উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের একমাত্র ছেলে। তার মৃত্যুতে পরিবারটি এখন অসহায় হয়ে পড়েছে। গতকাল রাতে মরদেহ দাফনের পরে এলাকায় পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে থমথমে অবস্থা সৃষ্টি হয়। কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত আমিরুল ইসলামের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও তিন মেয়ে ১। নিতু আক্তার(২৭) ২। নিরু আক্তার (২৪) ৩। নিপু আক্তার(২০)। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে পিতার কবরের রাস্তার সামনে বাবার মৃত্যুর শোকে মা কানিজ ফাতেমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁধতে দেখা যায় তিন বোন নিতু আক্তার,নিরু আক্তার, নিপু আক্তারকে। তেঘরিয়া গ্রামে আমিরুল ইসলামের বড় মেয়ে নিতু আক্তার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ বাবা আমিরুল ইসলাম পরিবারের সকলের স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করতো। আফিসের পরিচাল ও কয়েকেজন সহকর্মীর অসৎ কাজ আর দূরব্যবহার আমার বাবা প্রতিদিন আহত হতেন,তাদের প্রতিনিয়ত অন্যায় কাজের স্বাক্ষি ছিলেন আমার বাবা। আমার বাবা প্রতিদিন তার অফিসের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করতেন এবং তার প্রতি তার পরিচালকের খারাপ আচরনের কথা ভাবতেন। এসব চিন্তা করেই আমার বাবার হার্টএ্যাট করেছে।এখন আর পরিবারের কারো স্বপ্ন পূরণ হবে না। আর কখনো দেখা হবেও না। নিহত আমিরুল ইসলামের বড় মেয়ে নিতু আক্তার ও ছোট মেয়ে নিপু আক্তারের আহাজারিতে ভেসে আসছে আমিরুলকে হারিয়ে তাদের সংসারের অসহায়ত্ব। এখন কে দেখবে তাদের সংসার ? এ বৃদ্ধ বয়সে তাদের মায়ের আর অবিবাহিত দুই মেয়ের দায়িত্ব নেবে কে ? এমন প্রশ্ন এলাকার সবার।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম