চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, ৪ আগস্ট, ২০২০
সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজদিখানে মসজিদের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কমলাপুর জামে মসজিদের তহবিলের লাখ লাখ টাকা হিসাব নিয়ে তালবাহানা করছে মসজিদের সাবেক সেক্রেটারি কমলাপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ শেখের ছেলে মাওলানা মোসলেহ উদ্দিন (৫০)।জানা যায়, গত এক যুগের অধিক সময় অবৈধভাবে ক্ষমতায় ছিলেন মাওলানা মোসলেম উদ্দিন। দীর্ঘদিনের তহবিলের টাকা হিসাব না দেয়ায় এলাকাবাসীর তোপের মুখে সেক্রেটারীর পদ থেকে অব্যাহত দিতে বাধ্য হয়। মসজিদের উন্নয়নের জন্য গ্রাম, এলাকা ও বিদেশের লোকজনের দানের অর্থ কোন কাজ করেনি বর্তমানে তিনি তহবিলের টাকার হিসাবের কোন কাগজপত্র পাওয়া যায় না। টাকা আত্মসাৎ করায় তাই তিনি টাকার হিসাব দেয় না। এলাকাবাসীর কাছে আরো জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে বর্তমান কমিটি ও গ্রামবাসী মসজিদের টাকার হিসাব চাইলে তিনি হিসাব দেন না, মারমুখি হয়ে উঠেন। গ্রামের প্রভাবশালী হওয়ায় তারা লোকজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থাকেন। তিনি জুমার দিনে গ্রামের মাদক সেবনকারীদের নিয়ে মসজিদে হট্টগোল তৈরি করেন যাতে গ্রামবাসী হিসাব চাইতে ভয় পায়। কোন চাকরি বা ব্যবসা করেন না। এ টাকা আত্মসাৎ করে শেয়ার বাজারে রেখে সংসার চালান। মসজিদের মুসুল্লি বাদল জানান, আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোসলেম উদ্দিন মাওলানাকে সময় দিয়েছি মজদিরে টাকার হিসাব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য। যদি সময় মত হিসাব না দেয় তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।
মসজিদ কমিটির সভাপতি পদপ্রার্থী সামসুদ্দিন জানান, আমি জানিনা মোসলেহ উদ্দিন হিসাব দিয়েছে কিনা। এ ব্যপারে বর্তমান সেক্রেটারি মাওলানা মনির হোসেন ভাল বলতে পারবে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি পদপ্রার্থী আনোয়ার হোসেন (৫০) জানান, হিসাব চাইলেই দিয়ে দিবে। মোসলেহ উদ্দিন ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি বাকরি করেন না তাই বলেকি মসজিদের টাকা খাবে? তার বাব-দাদার সম্পদ আছে বইসা খেতে পারবে।
মসজিদের মোতাওয়াল্লি হাফেজ মাওলানা আ. ওয়ালি বলেন, ৫ বছর পরপর কমিটি হয়। বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়নি। আর মাওলানা মোসলেহ উদ্দিনের কাছে আমরা কয়েকবছর ধরে হিসাব চাওয়ার পরও কোন হিসাব দিচ্ছে না। এব্যপারে আমরা দ্র্রুত কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।অভিযুক্ত মোসলেহ উদ্দিন বলেন, আমার কাছে কোন হিসাব-কিতাব রাখিনি। ৬-৭ বছর আগে আমি দায়িত্বে ছিলাম। এখন নাই।
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম