চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৫:২২ অপরাহ্ণ, ৪ জানুয়ারি, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজদিখানে সরকারী পাকা রাস্তার পাশে প্রভাব খাটিয়ে রাস্তা দখল করে বাড়ীর প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের রাজদিয়া গ্রামের (খানবাড়ী) পাশে রাজদিয়া লালবাড়ী একই গ্রামের প্রভাবশালী মৃত খোরশেদ আলম (ননী খাঁ) এর ছেলে মুকুট ও মৃত বদিউল আলম খানের মেয়ে শান্তা বেগমের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করলে অভিযুক্ত শান্তা ও মুকুট ক্ষিপ্ত হয়ে রাস্তার মধ্যেই প্রাচীর নির্মাণ করছেন। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাজদিয়া গ্রামের মৃত ফজলুল রহমান খানে ছেলে রফিকুজ্জামান নাজিমের মালিকানা জায়গার উপর সরকারী রাস্তা নির্মান হওয়ায় তিনি রাস্তার জন্য ৬ফিট যায়গা ছেড়ে দেন। ওই রাস্তার অপর পাশের জমির মালিক শান্তা বেগম সিমানা রাস্তা থেকে ১ ফিট দূরত্বে অবস্থিত। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করাতে শান্তা বেগম নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা না করে ক্ষীপ্ত হয়ে সিমানা অতিক্রম করে রাস্তার পাকা পিচ ঢালাইয়ের উপর দিয়েই বাড়ীর সিমানা প্রাচীর নির্মাণ করছেন। প্রচীর নির্মাণের স্বার্থে রাস্তার পাশে থাকা বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলে। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজন কথা বলতে গেলে ক্ষমতার দাপটে তাদের বোবা বানিয়ে রাখা হচ্ছে। জমির মালিকসহ স্থানীয় সুশিল সমাজের লোকজন সরকারী রাস্তা দখল মুক্ত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন বলেন, তারা খুব প্রভাবশালী। তারা এলাকার কারো কথা শোনে না। তাদেরকে আমরা বলেছিলাম রাস্তা থেকে একটু জায়গা রেখে যেন তারা যেন দেয়াল নির্মাণ করে। তাদের সরকারী উচ্চ পর্যায়ে লোকজন থাকায় রাস্তার পাশে কোন জায়গা রাখেনি।
এ বিষয়ে রফিকুজ্জামান নাজিম বলেন, সরকারী এই রাস্তাটা আমাদের যায়গায় হয়েছে। শান্তা ও মুকুট রাস্তার জন্য কোন যায়গা দেয়নি। এখন রাস্তার পাশে কোন যায়গা না রেখেই রাস্তার পিচ ঢালাই ঘেষে বাড়ীর দেয়াল নির্মান করছে। আমি এ বিষয়ে ৩৩৩ তে কল করে জানানোর পর সরকারী লোক আসে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
এ বিষয়ে মুকুট এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা আমাদের যায়গায় দেয়াল নির্মাণ করছি। পুলিশ ও ভূমি অফিসের লোকজন এসেছিল। আমরা নিয়মের মধ্যেই আছি। আমরা কোন অনিয়ম করিনি।
সিরাজদিখান থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দুই পক্ষকে আমরা ডেকেছিলাম। অভিযোগকারী অসুস্থ্যতার কারণ দেখিয়ে আমাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। পরে আর এ বিষয়ে তিনি আর যোগাযোগও করেননি।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম