চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৩:৩২ পূর্বাহ্ণ, ২০ মে, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সম্প্রতি দ্বিতীয় বারের মত দেশের ৬৪ টি জেলা লকডাউনের আওতায় আনা হয়। সেই সাথে জেলা উপজেলার জনসাধারণকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষার্থে মাঠে নামানো হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। করোনা সংক্রমণ রোধের লক্ষ্যে জনসাধারণকে সচেনত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছে জেলা উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীরা। বিশেষ করে পুলিশ ও সাংবাদিকরা জাতীর স্বার্থে নিরলস ভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা মোকাবেলায় কাজ করে যাচ্ছে। দেশ বাঁচলে জাতী বাঁচবে। জাতী বাঁচলে আমি আপনি সকলেই বাঁচবো। বাঁচবে আমাদের আগামীর ভবিষ্যত৷ কিন্তু দেশের জনসাধারণ করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যস্ত হয়ে পরেছে
কেনাকাটায়। তেমনি সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় না রেখে করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে জমজমাট কেটাকাটা চলছে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলায়। এ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে গিয়ে লক্ষ্য করা যায, করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে ক্রেতাদের ঈদের কেনাকাটার উপচে পড়া ভীড়। উপজেলার সিরাজদিখান বাজারের সমবায় মার্কেট, আ.গনি মার্কেট, হাজী মোস্তফা প্লাজা, ইছাপুরা বাজার ও তালতলা বাজারে অবস্থিত সব গুলো মার্কেটেই চলছে ক্রেতাদের রমরমা কেনাকাটা। প্রতিটি দোকানেই দেখা যায় বাচ্চা থেকে শুরু করে সকল বয়সের নারী ও পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ নির্বিঘ্নে কেনাকাটা চালিয়া যাচ্ছেন করোনার ভয়কে দোকানের গেটে রেখে। তাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের কোন ভয় নেই বললেই চলে। এমনকি তাদের কেনা কাটায় বাঁধা দেওয়ারও যেন কেউ নেই। দোকানের ভিতর নেই জীবানু নাশক স্প্রে করার সরঞ্জাম বা নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটার ব্যাবস্থা। বেশীরভাগ দোকানীকে দোকানের শাটার উঠিয়ে ভিতরে একাধিক কাষ্টমার ঢুকিয়ে পুনরায় শাটার নামিয়ে দেওয়ার দৃশ্য। এদিকে স্থানীয়
এক সাংবাদিক করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সংবাদের তথ্য ও স্থিরচিত্র সংগ্রহ করার লক্ষ্যে উপজেলার ইছাপুরা বাজারে গেলে ওই বাজারের স্বদেশ এন্টাপ্রাইজ নামক একটি কাপড়ের দোকানের ভিতরে জনসমাগম করে ক্রেতাদের কেনাকাটা করতে দেখে দোকানের ভিতরে থাকা লোকজনের ছবি তোলেন। ওই দোকানের এক কর্মচারী ছবি তুলতে দেখে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ছবি ডিলিট করে দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সাংবাদিকের উপর প্রচন্ড রকম চড়াও হয়ে মারধর করতে উদ্যোত হয়। ওই দোকানের আশপাশের দোকানীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দোকানটি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহসীন রেজার। জনস্বার্থে কাজ করতে গিয়ে যদি সাংবাদিকদের লাঞ্চিত হয়ে বাড়ী ফিরতে হয় তাহলে বাঙালী জাতীর জন্য এটি চরম লজ্জা জনক একটি বিষয় হয়ে দাড়ায়। সাংবাদিক লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনায় সাংবাদিক নেতাসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা প্রতিবাদ জানিয়ে লাঞ্চিতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন৷ সিরাজদিখান বাজার বনিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. মোতাহার হোসেন বলেন, দোকানদাররা আমাদের সাথে চোর পুলিশ খেলতেছে। আমরা তো কিছু করতে পারি না। যা করার প্রশাষন করবে! রশুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চোকদার বলেন, এই বিষয়ে ইউ.এন.ও স্যার কে জানান! ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এলাকায় নাই। আমি এসেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। এব্যাপারে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বাজার কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা দোকান বন্ধ রাখবে। এখন দোকান কেন খুলছে তা দেখবে বাজার কমিটির লোকজন! আর আমিও বিষয় টা দেখছি।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম