চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৯:৩০ পূর্বাহ্ণ, ১৭ এপ্রিল, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে খেটে খাওয়া মানুষের আয়ের উৎস। আর সে সকল খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন অনেকেই। সরকার থেকে শুরু করে সমাজের বিত্তবানরা যে যার সাধ্য মত তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেও কারোরই কোন সাহায্যে পায়নি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পূর্ব রাজদিয়া গ্রামের (মল্লিক বাড়ী) মৃত আকরাম শেখেন ছেলে হতদরিদ্র কৃষক আওলাদ হোসেনের পরিবার। ২০-২২ বছর পূর্বে পিতার ওয়ারিশ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে ওই গ্রামের মল্লিক বাড়ীর সাবেক সেনা সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ী দেখাশোনা করার জন্য বাড়ীর এক কোনে ছাপড়া ঘর করে থাকতে দেয়া হয় আওলাদের পরিবারকে। বাড়ী দেখাশোনার পাশাপাশি ধারদেনা করে জমি সনজমা নিয় বিভিন্ন জাতের সবজি আবাদ করেন তিনি। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার কারণে জমির ফসল বিক্রি করতে না পেরে জমিতেই নষ্ট হয়ে যায়। এক দিকে পাওনা দারের ঋণের চাপ আরেক দিকে করোনার ভয়বহ সংকট! সংসারে দুই ছেলে তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে আওলাদের পরিবার। এক বেলা খেলে আরেক বেলার খাবার যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হুমায়ূন কবীর হাওলাদার নাম ঠিকানা নিয়েও কোন সাহয্যই পাইয়ে দেইনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। আওলাদ হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত আমার আইডি কার্ড অনেকেই নিয়েছে চাল ডাল দিবে বলে। কিন্তু কেউ দেয়নি। দেনা করে ফসল করলাম সেই ফসলও ক্ষেতেই পঁচলো। পোলাপান নিয়া এক বেলা খাইলে আরেক বেলা খাওয়ার যোগান নাই। দেশের কেউকি আমাগো চোখে দেখেনা! ইছাপুরা ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হুমায়ূন কবীর হাওলাদার বলেন, আমি অনেকের আইডি কার্ড সংগ্রহ করেছি। হয়ত উনি বাদ পরতে পারে। একসাথেতো বেশী লোকের নাম দেয়া যায়না। উনাকে আমার সাথে দেখা করতে বলেন, আমি নাম ঠিকানা লিখে রাখি। পরবর্তীতে সরকারী চাল আসলে অবশ্যই সে পাবে।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম