চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৪:৩৪ অপরাহ্ণ, ১৯ জুলাই, ২০২০
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামে যাতায়াতের প্রধান রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে। রাস্তাটিতে ইট সলিং না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা মাটিতে পরিনত হয়ে যাতায়াতের প্রধান বাধা হয়ে দাড়ায়। এতে করে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ওই এলাকার হাজারো মানুষ। রাস্তাটির ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট বারংবার বলেও সংস্কার করাতে ব্যর্থ হয় বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা। গত বছর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক রাস্তাটি ইট সলিংয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ অনুযায়ী রাস্তাটির আংশিক ইট সলিংয়ে কাজ সম্পন্ন করলেও বাকী রাস্তার ইট সলিংয়ে কাজ অসম্পূর্ণই রয়ে যায়।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমারখালী আমজাদ মিয়ার বাড়ী থেকে কুমারখালী কবরস্থান পর্যন্ত আড়াই কিঃ মিঃ এ রাস্তাটি দিয়ে কুমারখালী গ্রামসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ চলাচল করে। সংস্কারের অভাবে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়ে কাদা মাটিতে পরিনত হয়ে আছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ওইসব গর্তে পানি জমে থাকে। আর এ কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্থানীয় এলাকাবাসী। বিশেষ করে রাস্তাটি দিয়ে স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এছাড়া রাস্তাটি খানাখন্দে জর্জরিত হয়ে থাকার কারণে ছোট বড় দূর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। অপরদিকে রাস্তাটি দিয়ে রিক্সা, ভ্যান, মোটর বাইক চলাচলেও ঘটছে বিঘ্নতা। গত বছর রাস্তাটি নির্মাণের জন্য সরকারী ভাবে বরাদ্দ আসার পর কুমারখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে মাদবরবাড়ী পর্যন্ত ইট সলিংয়ের কাজ সম্পন্ন করা হলেও বাকী রাস্তার ইট সলিংয়ের কাজ আজ অবদি বন্ধ রয়েছে।এলাকাবাসী জানায়, আমাদের গ্রামের প্রবেশের প্রধান রাস্তাটিই এখনো পর্যন্ত কাঁচা। গত বছর এই রাস্তাটির কিছু অংশে ইট সলিং করা হয়। এরপর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। চেয়ারম্যান সাহেবকে রাস্তাটির কাজের বিষয়ে বলা হলে তিনি আমাদের শুধু আশ্বাসই দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় আমাদের রাস্তাটি কাঁচাই রয়ে গেলো। এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় বাচ্চাদের জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তাটি দিয়ে গর্ভবতী মহিলা ও ইমারজেন্সি রোগী হাসপাতালে নেওয়ার মত কোন উপায় নেই। এম্বুলেন্স ঢুকবে দূরের কথা একটা রিক্সা ঠিকমত চলাচল করতে পারে না এই রাস্তা দিয়ে। এলাকাবাসীদের মধ্যে অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা নির্বাচনের সময় আমাদের কাছে আসে ভোট নিতে। অনেকেই প্রতিশ্রুতি দেয় আমাদের যাতায়াতের রাস্তা, ঘাট ঠিক ঠাক করে দিবে। কিন্তু নির্বাচনের পর আমাদের ভোটে জিতে কেউ আর আমাদের খবর নেয় না।বয়রাগাদী ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. তাহের আলী বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব রাস্তাটি ইট সলিং করার জন্য বরাদ্দ চেয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে বরাদ্দ দিচ্ছে না। এর আগে সোহরাব চেয়ারম্যানের লোকজন রাস্তাটির ইট সলিংয়ের কাজ করে। কদিন পর রাস্তার কাজ বন্ধ রাখায় আমি জিজ্ঞেস করি কাজ বন্ধ করলেন কেন? তারা বলে বরাদ্দ যা আসছে সে অনুযায়ী কাজ হয়েছে। আবার বরাদ্দ আসলে কাজ চালু হবে।বয়রাগাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আলাউদ্দিন বলেন, এমপি মহোদয়ের কাছে রাস্তাটির জন্য বরাদ্দ চেয়েছি। জেলা পরিষদের কাছ থেকে বরাদ্দ চেয়েছি। এডিবির কাছে চেয়েছি৷ কিন্তু কোন বরাদ্দ পাইনি। অবশেষে এডিবি থেকে রাস্তাটির ১ কিঃ মিঃ ইট সলিংয়ের কাজের বরাদ্দ পেয়েছি।উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, গত বছর কুমারখালী স্কুল পর্যন্ত রাস্তাটির ইট সলিংয়ের কাজ করা হয়েছে। সে সময় সম্পূর্ণ বরাদ্দ না আসায় রাস্তাটি পুরোপুরিভাবে ইট সলিং করা সম্ভব হয় নি। বাকী কাজের বরাদ্দের জন্য এপ্লাই করা হয়েছে কিনা বা বরাদ্দ এসেছে কিনা দেখে বলতে পারবো।
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম