সিরাজদিখান প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ
প্রকাশিত: ২:৩৮ অপরাহ্ণ, ১৯ জুলাই, ২০২১
সিরাজদিখান প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ
সিরাজদিখান(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে সখিনা আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার পর ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে প্রবাসী স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে ওই গৃহধূর মরদেহ উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন। নিহত সখিনা আক্তার সিরাজদিখান মালপদিয়া গ্রামের আব্দুল মন্নাফ দেওয়ানের মেয়ে ও একই উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম মালপদিয়া গ্রামের স্পেন প্রবাসী মুক্তার হোসেনর স্ত্রী। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে সখিনা আক্তারের সঙ্গে মালপদিয়া গ্রামের স্পেন প্রবাসী মুক্তার হোসেনর বিয়ে হয়। তাদের কোন সন্তান নেই। আপন বড় ভাইয়ের দুই ছেলেকে ছেলে সিজান ও সিফাতকে ছেলে সাজিয়ে স্পেন নেওয়ার কথা নিয়ে বড় ভাইয়ের স্ত্রী সালমা বেগমের সাথে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। বেশ কয়েকবার পারিবাড়িকভাবে বিষয়টির সমাধানও হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে স্বামীর বাড়িতে আবারও ঝগড়া শুরু হয়। পরে শুক্রবার রাতে তাদের কাঠের পাটাতনঘরে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় সখিনার মরদেহ দেখতে পান বাড়ির লোকজন। নিহতের পরিবারের দাবি, হত্যার পর সখিনার মরদেহ ঘরের আড়ার ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়েছেন স্বামী স্বামীর বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল মালেক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের ভাই আব্দুল মালেক বলেন, বিয়ের পর থেকে আমার বোনকে কারণে-অকারণে নির্যাতন করতেন মুক্তার ও তার পরিবার। এ নিয়ে বহুবার পারিবারিক মিমাংসা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শুনেছি শুক্রবার রাতে বোনকে বেদম মারপিট করেন বোনের স্বামীর বাড়ির লোকজন। তারপর তাকে মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেন। আমরা এলাকার লোকের মুখে শুনে বোনকে দেখতে যাওয়ার পথে পাওয়ার হাউজের সামনে গেলে আমরার বোনের মরাদেহ রেখে ওর শশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। তখন আমরা আমারা সখিনার মরা দেহ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যার শেখ করিম হাজীর বাড়িতে আসলে চেয়ারম্যান সখিনার লাশকে তার শশুরবাড়ি নিয়ে যান এবং চেয়ারম্যান পুলিশকে খবর দিলে খবর পেয়ে সিরাজদিখান পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ রাত ১টায় উদ্ধার করে সিরাজদিখান থানায় নিয়ে আসে। সিরাজদিখান থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়ছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় শ্বশুড়বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। এ কারণে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।