চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ, ১৮ মে, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
কদিন বাদেই ঈদ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঈদকে সামনে রেখে নৌপথে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণবঙ্গগামী ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় অব্যাহত আছে। ফেরিতে পার হওয়া যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে ছোট গাড়ির সংখ্যা।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট দিয়ে বাড়ি ফিরছে শতশত যাত্রী। এছাড়া রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম নৌরুট মাদারীপুর জেলার শিবচরের কাঁঠালবাড়ী- শিমুলিয়া। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের জন্য ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই নৌরুটটিই সহজতর।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এ নৌরুটে গত মার্চ মাসের ২৪ তারিখ থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে ফেরি চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল রোববার সকাল থেকেই যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে ঘাট এলাকায়।
জানা যায়, ঈদকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরেই নৌরুটে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় যেমন রয়েছে আবার ঘরে ফেরা যাত্রীদেরও ভিড় রয়েছে। সব মিলিয়ে শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাট লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে।সরেজমিনে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় থ্রি হুইলারে চেপে যাত্রীরা কাঁঠালবাড়ী ঘাটে আসছেন।
ফেরিতে উঠতে যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে প্রতিযোগিতার মনোভাব। করোনাভাইরাস নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে কোনো উদ্বেগ বা সচেতনতা নেই।এদিকে ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো যাত্রীদেরও ভিড় রয়েছে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে। তবে ঘাটে এসে পরিবহন না পেয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। দূরপাল্লার বাস বন্ধ। থ্রি হুইলার মাহিন্দ্রা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলে করে অধিক ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) কাঁঠালবাড়ী ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম জানান, যাত্রী চাপ বেশি থাকায় নৌরুটে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। সকাল থেকেই যাত্রীদের প্রচ- চাপ রয়েছে। কয়েকদিন ধরেই যাত্রীদের ভিড় রয়েছে ঘাটে। ব্যক্তিগত পরিবহনও পার হচ্ছে।
ফেরি চলাচলে কোনো সমস্যা নেই। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়েই ফেরিতে গাদাগাদি করে পদ্মাপাড়ি দিচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এদিকে ছোট ছোট যানে করে যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে আসছে। পুলিশের ব্যারিকেট থাকায় দূরেই যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘপথ হেঁটে যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে এসে ফেরি পার হচ্ছে। গতকাল ভোর থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরিগুলোতে এ দৃশ্য দেখা যায়। এই নৌরুটে বর্তমানে চারটি রো-রোসহ ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। তারপরও ঘাট সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহম্মেদ জানান, ফেরিগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে ফিরে মানুষ। মধ্যরাতে ছোটগাড়ি ও পণ্যবাহী গাড়ির অত্যধিক চাপ পড়ে। ভোর থেকে থেকে এখনো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অব্যাহত রয়েছে।গতকাল সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ দেখা যায়।
এ সময় ঢাকামুখী যাত্রী, পণ্যবাহী যানবাহন ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপও দেখা গেছে। যাত্রীরা সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাদাগাদি করে ফেরিতে ওঠানামা করছেন। লকডাউনের কারণে সড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে নেমে অটোরিকশা, মাহেন্দ্রা, মোটরসাইকেল, ভাড়ায়চালিত মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে যাত্রীরা বিভিন্ন অঞ্চলে চলে যাচ্ছেন।
বিআইডব্লিটিসির দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. আবু আবদুল্লাহ রনি জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে ১৮টি ফেরির মধ্যে বর্তমানে ১০টি ফেরি দিয়ে সীমিত আকারে জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হচ্ছে। সে সুযোগে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার হচ্ছে।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম