চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৩:৫৮ অপরাহ্ণ, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
পদ্মা সেতুর ২৩তম স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) বসেগেছে। এতে সেতুটির অগ্রগতির আরেক ধাপ এগিয়ে দৃশ্যমান হল ৩ কিলোমিটার ৪৫০। ‘৬-এ’ নম্বর স্প্যানটি সেতুর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ৩১ ও ৩২ নম্বর খুঁটির উপর আজ রবিবার ২ টা ৫০ মিনিটে বসানো হয়। এর আগে ২৩ জানুয়ারি ২২ তম স্প্যান বসে। ১২ দিনের মাথায় এটি বসানো হল।
আজ রবিবার সকাল ৯টায় দিকে মাওয়ার কুমারভোগের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে প্রায় তিন হাজার টন ওজনের স্প্যানটি নিয়ে রওনা হয় ভাসমান জাহাজটি। ৩১ নম্বর খুঁটির কাছে পৌছায় সোয়া ১০টা ১২ মিনিটে। এর পরেই বসোনার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। দুপুর ২টা ২৫ মিনিটের সময় স্থাপনটি খুঁটির উপরে নিয়ে আসা হয়। এই তথ্য দিয়ে সেতু বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, পরে এটি স্থাপন ঠিক ২টা ৫০ মিনিটে বসানো সম্পন্ন হয়।
গত ৩১ জানুয়ারি স্প্যানটি পিলারের ওপর বসানোর কথা থাকলেও অবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এদিকে আরও একটি পিলার বা খুঁটি সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়ে ৩৭টি পিলার সম্পন্ন হলো। বাকি ৫টি পিলার এপ্রিলের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। যার ২২টি ইতোমধ্যে বসে গেছে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সবক’টি স্প্যান পিলারের উপর বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, ৩১ জানুয়ারি পদ্মা সেতুর ২৩তম স্প্যান বসানোর কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন সকাল থেকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে স্প্যান বসানো সম্ভব ছিল না। প্রতিমাসেই তিনটি স্প্যান বসানোর কথা থাকলেও জানুয়ারিতে স্প্যান উঠেছে দুইটি। তবে ফেব্রুয়ারিতে এর সংখ্যা বাড়বে। পদ্মা সেতুর খুঁটির উপর যে স্প্যানগুলো বসানো হয়েছে, সে স্প্যানের উপর (নিচের অংশে) ইতোমধ্যে এক কিলোমিটারের উপর রেল স্ল্যাব বসে গেছে। আর স্প্যানের উপর প্রায় ৪শ’ মিটার রোডওয়ে স্ল্যাব বা রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৮৫.০৫ শতাংশ। সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৭৬.০৫ শতাংশ। এভাবে দ্রুততার সাথে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ।
আব্দুল কাদের আরও জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে পদ্মা সেতুর নির্মাণে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। কারণ পদ্মা সেতুতে প্রায় ১১শ’ চীনা নাগরিক কর্মরত রয়েছে। এদের মধ্যে চীনা নববর্ষ উপলক্ষে প্রায় ২শ’ নাগরিক ছুটিতে চীনে গিয়ে করোনা ভাইরাসের কারণে আটকা পড়েছেন। তিনি আরও বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আমরা আতঙ্কিত নই। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চীনা কর্মকর্তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা আলাদা। যারা তাদের সার্ভ করেন, তারা যেন সব সময় সেফটি ড্রেস (মাক্স ও গ্লাভস) পরিধান করে থাকেন, সেগুলোতে জোড় দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া চীনা কর্মীদের আলাদা ক্যাম্প রয়েছে। অন্যদের সাথে যেন অতিরিক্ত মেলামেশা না করেন, সে বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে। তবে চীন থেকে ইতোমধ্যে ৩২জন চীনা নাগরিক এসেছেন। এদেরকে প্রকল্প এলাকায়ই আলাদা করে রাখা হয়েছে। তারা বিশেষ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তবে এরা সকলেই সুস্থ আছেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম