চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
কারণে খেলা আর মাঠে না ঘড়ানোর কারনে ডি/এল পদ্ধতিতে ৩ উইকেটে জয়লাভ করে বাংলাদেশ। ৪১ ওভার শেষে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।বৃষ্টির আগ মূহর্ত পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪১ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৩ রান। জয়ের জন্যে দরকার ছিল আর মাত্র ১৫ রান। ৪২ রান নিয়ে মাঠে অপরাজিত ছিলেন আকবর। যার ফলে প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের ট্রপি ঘরে তুলে বাংলাদেশ।এরই সাথে নতুন ইতিহাস তৈরী করে আকবর বাহিনী। ৪২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক আকবর।
এর আগে ১৭৮ টার্গেটে ব্যাটিংয়ে আসেন টাইগারদের দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসাইন ইমন এবং তানজিদ হাসান তামিম। দারুন শুরু করেন এই দুই ব্যাটসম্যান।১ম ওভারে এই দুই ব্যাটসম্যান করেন ১৩ রান। ভারতীয় বোলারদের রীতিমতো শাষন করেন এই দুই বামহাতি ব্যাটসম্যান।
ভালো খেলতে খেলতে হটাৎ খেই হারিয়ে ফেলেন তামিম। দলীয় ৫০ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ১৭ রান নিয়ে আউট হন এই বামহাতি ব্যাটসম্যান। তামিমের বিদায়ের পর মাঠে আসেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয়। মাঠে এসেই ইমনকে দারুন সঙ্গ দেন জয়। কিন্তু বেশিক্ষন সঙ্গ দিতে পারেনি জয়।
দলীয় ৬২ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ৮ রান নিয়ে বোল্ড আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন পারভেজ হাসান ইমন।তারপর মাঠে আসেন তওহীদ হৃদয়।রানের খাতা খোলার আগেই মাঠ ছাড়েন হৃদয়।
যার ফলে চাপে পড়ে টাইগাররা। হৃদয়ের বিদায়ের পর মাঠে আসেন কাপ্তান আকবর আলী। দায়িত্ব নিয়ে দলকে গন্তব্যে নেওয়াই আকবরের প্রধান কাজ। শামীমকে সাথে নিয়ে দেখে শুনে ব্যাটিং করে যান দলপতি আকবর।
যখনি উইকেটে টিকে থাকা দরকার ছিল ঠিক তখনি তালগোল পাকিয়ে পেলেন শামীম। দলীয় ৮৫ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ৭ রান নিয়ে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন শামীম। এই দুজনে মিলে করেন ২০ রান। শামীমের বিদায়ে সহজ ম্যাচ যেন আরো কঠিন হয়ে গেলো টাইগারদের জন্যে।
শামীমের বিদায়ের পর মাঠে আসেন ডানহাতি বোলার অভিষেক দাস। অভিষেকের কাজ আকবরকে সাপোর্ট দিয়ে যাওয়া। আর শুরু থেকেই সেই কাজটি ঠিকমতো করেন অভিষেক দাস। কিন্তু সেই সাপোর্ট ক্ষনিকের জন্যে। দলীয় ১০২ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ৫ রান নিয়ে আউট হন অভিষেক।
অভিষেকের বিদায়ের পর মাঠে আসেন আহত হয়ে মাঠ ছাড়া ওপেনিং ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসাইন ইমন। টাইগারদের শেষ ভরসা ছিল এই জুটি।কেননা এর পরে আর কোন পরীক্ষিত ব্যাটসম্যান নেই। তাই জয় পেতে হলে এই দুজনকে শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে হবে। আর যেন সেই দায়িত্ব কাঁদে নিয়ে দেখে শুনে ব্যাটিং করে যান এই দুই ব্যাটসম্যান।
কিন্তু তীরে এসে তৈরী ডুবালেন ইমন। অর্ধশতকের কাছে এসে বিদায় নেন এই বামহাতি ব্যাটসম্যান। দলীয় ১৪৩ রানের মাথায় ব্যাক্তিগত ৪৭ রান নিয়ে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান। ইমনের বিদায়ের পর অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে টাইগারদের জয়। সেই কঠিনকে সহজ করতে আকবরকে সঙ্গ দেওয়ার জন্যে মাঠে আসেন রাকিবুল হাসান। অনেকটা দেখেশুনে শুরু করেন রাকিবুল। অধিনায়ককে যোগ্য সঙ্গী দেন এই বামহাতি ব্যাটসম্যান। ৪১ ওভার শেষে বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে টসে জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলি ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। পচেফস্ট্রমের সেনওয়েজ পার্কে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে শক্তিশালী এবং বেশ কয়েকবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানিয়ে যে তিনি ভুল করেননি, সেটাও প্রমাণিত।
বাংলাদেশের বোলারদের সাঁড়াসি বোলিংয়ের সামনে যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে শক্তিশালী ভারত ৪৭.২ ওভারে অলআউট মাত্র ১৭৭ রানে। বিশ্বকাপ জয়ের জন্য বাংলাদেশের যুবাদের করতে হবে ১৭৮ রান।
শুরু থেকেই ভারতকে চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জাসওয়াল এবং তিলক ভার্মা ৯৬ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের সামনে কিছুটা চোখ রাঙানি দিয়েছিল। কিন্তু ভারতীয়দের সেই প্রতিরোধও ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের বোলারদের দৃঢ়তার সামনে।
শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব, রাকিবুল হাসান, অভিষেক দাসরা আজ ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সামনে যেন এক একটি যম। সর্বোচ্চ রান করা যসশ্বি জাসওয়ালই কেবল কিছুটা সমীহ আদায় করতে পেরেছে বাংলাদেশের বোলারদের কাছ থেকে। তাও, বাংলাদেশের পেসার শরিফুল ইসলামের দুর্দান্ত পেস বোলিংয়ের সামনে সেঞ্চুরিটা করতে পারেননি। আউট হয়েছেন ৮৮ রানে।
অভিষেক দাস নেন ৩ উইকেট। শরিফুল ইসলাম এবং তানজিম হাসান সাকিব নেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া রাকিবুল হাসান নেন ১টি উইকেট। দুটি হলেন রান আউট।
শুরুতেই ভারতীয় ওপেনার দিব্যংশ সাক্সেনাকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছিলেন মিডিয়াম পেসার অভিষেক দাস। ৭ম ওভারের চতুর্থ বলে সাক্সেনাকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে। দলীয় ৯ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে কঠিন চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত।
কিন্তু এই চাপ সামলে ধীরে ধীরে ঠিকই নিজেদের বের করে আসছিল জাসওয়াল এবং তিলক বার্মা। রান তোলার গতি কিছুটা মন্থর হলেও উইকেট ধরে রেখেই খেলার চেষ্টা করছিল ভারত। অবশেষে এই জুটিতে ভাঙন ধরালেন তানজিম হাসান সাকিব।
টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার পর বাংলাদেশের হয়ে শুরুটা করেছিলেন দুই নিয়মিত পেসার শরীফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। এ দুই তরুণের আগ্রাসী পেস বোলিংয়ে ব্যাটই চালানোর সুযোগ পাননি ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দুই ওপেনার যশস্বি জাসওয়াল এবং দিব্যংশ সাক্সেনা। রান করতে রীতিমতো সংগ্রামই করতে হয়েছে তাদের।
সাকিব-শরীফুলের আগুনে বোলিংয়ের পূর্ণ ফায়দা নিয়েছেন তিন নম্বরে বোলিং করতে আসা অভিষেক দাস। নিজের প্রথম ওভারেই তিনি ফিরিয়ে দেন বাঁহাতি ওপেনার সাক্সেনাকে।
রানের জন্য হাঁসফাঁশ করতে থাকা সাক্সেনা অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন পয়েন্টে দাঁড়ানো মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে। আউট হওয়ার আগে ১৭ বল খেলে মাত্র ২ রান করতে সক্ষম হয়েছেন সাক্সেনা।
৯ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর বাংলাদেশের স্নায়ুর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতের দুই ব্যাটসম্যান যশস্বি জাসওয়াল এবং তিলক বার্মা। ৯৬ রানের বিশাল জুটি গড়ে বাংলাদেশের সামনে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন তারা দু’জন।
অবশেষে তানজিম হাসান সাকিবের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে অসাধারণ এক ক্যাচ ধরলেন শরিফুল ইসলাম। সেই ক্যাচেই ফিরে গেলেন ভারতের হয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা তিলক বার্মা। ৬৫ বলে ৩৮ রান করে ফিরে যান তিলক বার্মা।
তানজিম হাসান সাকিবের দেখানো পথে হেঁটে ভারতীয়দের চেপে ধরলেন স্পিনার রাাকিবুল হাসান। তার সিম্পল ডেলিভারিটিতে পড়তেই পারেনি ভারতীয় অধিনায়ক প্রিয়াম গর্গ। আলতো করে তিনি তুলে দেন কভার অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা তানজিম হাসান সাকিবের হাতে। সহজ ক্যাচটা তালুবন্দী করতে মোটেও ভুল করেননি সাকিব। ১১৪ রানে পড়লো ভারতের তৃতীয় উইকেট।
পেসার শরিফুল কেন বাংলাদেশের প্রধান স্ট্রাইক বোলার, সেটা যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে এসে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি। শুরুতে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতের রানের চাকা বেধে রাখা, মাঝ পথে এসে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা যশস্বি জাসওয়ালকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেন তিনি।
শুধুই জাসওয়ালকে ফেরানোই নয়, পরপর দুই বলে দুই উইকেট ফেলে দিয়েছেন এই পেসার। তৈরি করেছিলেন হ্যাটট্রিকের সুযোগ। যদিও হ্যাটট্রিক হয়নি। তবে দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ।
৮৮ রান করে আরও একটি সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন যশস্বি জাসওয়াল। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত সেঞ্চুরি করে ভারতকে জিতিয়ে তোলেন ফাইনালে। সেই জাসওয়াল ফাইনালেও গলার কাঁটা হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের বোলারদের সামনে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেসার শরিফুলের দুর্দান্ত ডেলিভারির সামনে সেঞ্চুরিটা হলো না তার। ১২১ বলে ৮৮ রান করে ফিরে যান তিনি তানজিদ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ভারতের দলীয় রান তখন ১৫৬। পরের বলেই উইকেটে নামা সিদ্ধেস ভিরকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়ে দেন শরিফুল।
উইকেট পড়ার নিয়মিত বিরতি চলতে শুরু করে এরপর। ১৬৮ রানের মাথায় রানআউটের শিকার হলেন ধ্রুব জুরেল। ৩৮ বলে জুরেল করেন ২২ রান। শুধু জুরেলই নন, পরপর দুই ওভারে দু’জন হলেন রানআউট। রবি বিষণিও রান আউট হয়ে ফিরে যান সাজঘরে। ৬ বলে তিনি করেন ২ রান।
পরপর দুই রানআউটে ভারতকে চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। রাকিবুল হাসান এবং শরিফুল ইসলামের দুই ওভারে রান আউট হয়ে ফিরে যান ধ্রুব জুরেল এবং রবি বিষনি। এরপর অভিষেক দাতের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে গেলেন অথর্ব অঙ্কলেকর।
পরপর দুই রানআউটের পর বোল্ড হয়ে গেলেন অঙ্কলেকর। অভিষেক দাসের বলে স্ট্যাম্প উড়ে যায় লেট অর্ডারে ভারতের এই ব্যাটসম্যানের। অভিষেকের বলে কোনো রান না করেই ফিরে যান কার্তিক তেয়াগিও। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন সুশান্ত মিশ্র। উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব।
এর আগে পচেফস্ট্রুমে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে বাংলাদেশ। সকালের সেশনের ময়েশ্চার কাজে লাগিয়ে বোলিংয়ের শুরুটা দুর্দান্ত করে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভার মেইডেন করেন শরীফুল ও সাকিব। ইনিংসের ১৪তম বলে প্রথম রান করতে পারে ভারত।
তবে সাকিবের বোলিংয়ের কোনো জবাবই ছিলো না ভারতের দুই ওপেনারের কাছে। তার করা প্রথম ২১টি ডেলিভারিতে ব্যাট থেকে কোনো রান করতে পারেনি ভারত। নিজের চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে একটি বাউন্ডারি হজম করেন সাকিব। ৪ ওভারে তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৪-২-৭-০।
অন্যপ্রান্তে তিন ওভার বোলিং করার পর শরীফুলের জায়গায় আক্রমণে আনা হয় আজকের ম্যাচেই একাদশে সুযোগ পাওয়া অভিষেক দাসকে। তিনি নিজের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই এনে দেন কাঙ্ক্ষিত সাফল্য, আউট করেন সাক্সেনাকে।
শরীফুল ও সাকিবের দারুন বোলিংয়ে প্রথম ৬ ওভারে আসে মাত্র ৮ রান। অভিষেকের অসাধারন বোলিংয়ে মাঠ ছাড়েন সাক্সেনা। মূলত শুরুর দারুন বোলিং বাংলাদেশকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম