চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৪:৪৩ পূর্বাহ্ণ, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজোলার, সিরাজদিখান উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারী আর্দেশ অমান্য চলছে শিক্ষা বানিজ্য। সকাল ৬টা থেকে সারে ৯টা পর্যন্ত বিদ্যালয়টির শ্রেনীকক্ষে করানো হচ্ছে প্রাইভেট বানিজ্য । উপজেলা পরিষদের এত কাছের বিদ্যালয়টিতে কি ভাবে শিক্ষা বানিজ্য চলছে এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের। সরেজমিনে গত রোববার সকাল সোয়া ৮টার দিকে বিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জটলা দেখা যায়। বিদ্যালয়ের মিজানুর রহমমান সিনহা কক্ষে গিয়ে দেখাযায়, ষষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানো হচ্ছে। মনে হচ্ছিলো ক্লাস চলছে! পাশেই থেকে চলছিল নবম ও দশম শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট। সংবাদ কর্মীদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে সটকে পড়ে বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক আবু মুসা। কিছুক্ষণ পর পালিযান কেরানী নেছার উদ্দিন। দীর্ঘক্ষন খোজাখুজির পরে সহকারী শিক্ষক আবু মুসাকে পাওয়া গেলেও কেরানী নেছার উদ্দিন রাজুকে আর পাওয়া যায়নি। এসময় কোচিং এর বিষয়ে আবু মুসা বলেন,সরকারী ভাবে ১০/১২ জন আমরা স্কুলে পড়াতের পারি, তাই পড়াচ্ছি। তিনি আরো বলেন সামনে পরিক্ষা তাই শিক্ষার্থীদের বিশেষ কোচিং করানো হচ্ছে। সামনে কি পরিক্ষা জানতে চাইলে কিছুই বলতে পারেননি তিনি। যানাজায় নেছার উদ্দিন কেরানী প্রধান শিক্ষক এর সাথে সমন্বয় করে স্কুলের পাসেই লাইবেরি চালাচ্ছ। শুধু তাই নয় তারা একসাথে যোগসাজশে প্রাইভেট পড়ান এম টা জানাজায় এলাকার সূএে। শিক্ষার্থীরা জানায়, টাকার বিনিময়ে কোচিং করে তারা। প্রতিটি বিষয়ের জন্য ৫থেকে ১হাজার টাকা করে নেন শিক্ষকরা। একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিবাক জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে বাধ্য হয়ে পড়ান । প্রাইভেট না পরলে পরিক্ষায় কম নম্বর দেওয়া হয়। এমনি ফেইল করানোর ভয়ও দেখানো হয়। ক্লাসে ক্লাসে নির্দিষ্ট গাইড বই কিনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু স্কুলেই না বিদ্যায়টির কেরানী নেছার উদ্দিন নিজ বাসায়ও খুলেছেন কোচিং সেন্টার। একজন কেরানী কি ভাবে কোচিং এর সাথে জড়িত থাকতে পারে এমন উত্তর দিতে পারেননি বিদ্যালয়টির শিক্ষকরা। তবে মুঠোফোন কেরানী নেছার উদ্দিন জানান, যে অল্পটাকা বেতন পান তাতে সংসার চালানো কঠিন। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে কোচিং করাচ্ছেন তিনি। কোচিং ক্লাসের বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, মুন্সিগঞ্জের সব বিদ্যালয়ে কোচিং হয়। তবে তাঁর বিদ্যালয়ে কোচিং হয় এটা তার জানা ছিলোনা। এসময় সংবাদ না ছাপাতে এই প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন মাধ্যেমে সমঝোতার চেষ্টা করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মো. সামিউল মাসুদ বলেন, কোচিং বানিজ্য বন্ধে সরকারী নীতিমালার আলোকে জেলার প্রতিটা উপজেলার স্কুলগুলেতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কোন শিক্ষক বা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোচিং জরিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম