চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৪:২০ অপরাহ্ণ, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজদিখানে পুকুর কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের রামানন্দ গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান হাজীর বড় ছেলে ইতালী প্রবাসী দৌলত হোসেন(৫০) । গত বুধবার রাত দুইটার দিকে রামানন্দ গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহায়তায় হামলায় আহতদের সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে । প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লতব্দী ইউনিয়নের রামানন্দ গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান হাজীর বড় ছেলে ইতালী প্রবাসী দৌলত হোসেনের সঙ্গে একই এলাকার ও মোঃ কামরুজ্জামান মনির খন্দকার, ওমর ফারুক,পারভেজ,মোঃ সাহেদ আলী, মোঃ শাহীন,আবু হায়াত ও ফাহিমসহ আরো অজ্ঞাত ৮/১০ জনের একটি জমির মধ্যে পুকুর কাটা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। জমিটি ইতালী প্রবাসী মোঃ দৌলত হোসেনর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকেও কোনো সমাধান হয়নি। গত বুধবার দুপুরে দৌলত হোসেন পুনরায় পুকুর খননের কাজ শরু শুরু করেন। বিষয়টি জানতে পেরে মোঃ কামরুজ্জামান মনির খন্দকার ও তার সহযোগীরা রাত ২চায় দৌলত ও তার ভাই মোঃ আমির হোসেনসজ অন্যদের ওপর হামলা চালায়। তারা লাঠিসোটা ও রড দিয়ে তাকে পেটানো শুরু করে। এতে দৌলত হোেসেনর মাথা ফেটে যায়। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।এদিকে দৌলতের ওপর হামলার খবর শুনে সংঘর্ষের আশঙ্কায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আহত দৌলত হোেসন বলেন, সিরাজদিখান লতব্দী ইউনিয়নের রামানন্দ মৌজাস্থিত ২০০ শতাংশ জমি আমরা পৈত্রিক সূত্রে মালিক ও ভোগ দখলদার হিসাবে আছি। গত বুধবার রাক ২ ঘটিকার সময় আমি আমার লোকজন নিয়া উক্ত সম্পত্তিতে পুকুর তৈরীর জন্য মাটি কাটার কাজ করার সময় বর্ণিত বিবাদীগন সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা হাতে লোহার রড, হাকিস্ট্রিক, বাঁশের লাঠি, কাঠের ডাসা ইত্যাদি নিয়া বে-আইনী জনতাবদ্ধে সজ্জিত হইয়া অনধিকার ভাবে আমাদের সম্পত্তিতে প্রবেশ করিয়া মোঃ কারুজ্জামান মনির খন্দকারের হুকুমে ওমর ফারুকের হাতে থাকা লোহার রড দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় বারি মারিয়া ফাঁটা রক্তাক্ত জখম করে। আমাকে বাঁচানোর জন্য আমার ভাতিজা মোঃ সজিব হোসেন (১৭) আগাইয়া আসিলে বর্ণিত বিবাদীগন আমাকে ও আমার ভাতিজাকে এলোপাথারী ভাবে লোহার রড, হাকিস্ট্রিক, বাঁশের লাঠি, কাঠের ডাসা দিয়া পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। আমার প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ১৭,৫০০/- টাকা পাভেজ নিয়া নেয় এবং আমার ভাগ্নি জামাই মোঃ টিপু সুলতান মীর (৪৫), পিতা- মোঃ সহিদ উল্লাহ মীর, সাং- নতুন ভাষানচর এর প্যান্টের সামনের ডান ও বাম পকেটে থাকা নগদ ১,২৫,০০০/- টাকা আবু হায়াত ও ফাহিম বিবাদীদ্বয় নিয়া নেয়। অভিযুক্ত মোঃ কামরুজ্জামান মনির খন্দকার বলেন, আমাদের এলাকার লোকজন ওদের মারপিট করেছে। আমি ছিলাম না ওই সময়ে। মূলত সিড়ি ঘাটলার মাটি কেটে নেওযার কারনে এই মারামারি হয়েছে। ওরা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। সিরাজদিখান থানার ওসি তদন্ত আজিজুল হক হাওলাদারও লিখিত অভিযোগের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম