চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৪:১৫ অপরাহ্ণ, ১৭ মার্চ, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে হাউজিং প্রকল্প দখল নিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কায় ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে কয়েকটি এলাকার জনগণের মাঝে।বালুচর ইউনিয়নের চান্দের চর খাসকান্দি এলাকায় গত ১৫-০৩ রোজ রবিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেঁটা বল্লমের খুঁজ পেয়ে সিরাজদিখান থানা ওসি তদন্ত আজিজুল হকের নেত্রিত্বে এলাকায় তল্লাশি চালায় এতে কোন টেঁটা বল্লম উদ্ধার করতে পারেনি বলে জানান সিরাজদিখান থানা ওসি অপারেশন আজিজুল হক। জানাযায় বিগত কয়েক মাস যাবত বালুচর ইউনিয়ন খাসকান্দি চান্দের চর এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা হাউজিং প্রকল্প সুমনা হাউজিং ও দক্ষিণা গ্রীন সিটির (গ্রীন টাউন) মধ্যে জায়গা দখল নিয়ে উভয়পক্ষের মাঝে উত্তেজনা চলছিলো।সেই উত্তেজনা শেষে গড়িয়েছে টেঁটা বল্লমের যুদ্ধে।পূর্বনির্ধারিত তারিখ মোতাবেক গত ৭ ফেব্রুয়ারী দুই গ্রুপের টেঁটা নিয়ে মাঠে নামবে বলে টের পেয়ে সেবার আর হামলা হতে দেয়নি সিরাজদিখান থানা পুলিশ ।তবে তার দু সপ্তাহ পর ২১ শে ফেব্রুয়ারী রোজ শুক্রবার ভোর সকালে সুমনা হাউজিং প্রকল্পের শীর্ষস্থানীয় নেত্রীবৃন্দ সহ বহিরাগত ৩ / ৪’শ মাস্তান ভাড়া করে প্রকাশ্যে দেশীয় টেঁটা বল্লম লাঠিসোঁটা নিয়ে দক্ষিণা গ্রীন সিটির (গ্রীন টাউন) এর সমস্ত সাইনবোর্ড ভেঙে নিয়ে আসে এবং দক্ষিণা গ্রীন সিটির (গ্রীন টাউন) এর সাইনবোর্ডের জায়গায় সুমনা হাউজিং’র সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করে জানান দক্ষিণা গ্রীন সিটির (গ্রীন টাউন) এমডি মাসুদ।তিনি আরো বলেন,আমরা সিরাজদিখান থানা পুলিশ কে খবর দিলেও কোন কাজ হয়নি।মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে থানা পুলিশ তাদের নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে তারা আমাদের সাইনবোর্ড ভেঙে তাদের সাইনবোর্ড স্থাপন করে।পুলিশের হস্তক্ষেপেই দক্ষিণা গ্রীন সিটির (গ্রীন টাউন) সব সাইনবোর্ড ভেঙেছে এমনকি সেখানে পুলিশ সশরীরে উপস্থিত থেকেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানান বালুচর ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য। এছাড়া দক্ষিণা গ্রীন সিটির (গ্রীন টাউন) সাথে জড়িত মো.আবুল বলেন,পুলিশের সামনে আমাদের সাইনবোর্ড ভেঙে নিয়ে গেছে তবু তারা কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এবিষয়ে সিরাজদিখান থানায় দক্ষিণা গ্রীন সিটির (গ্রীন টাউন) সুমনা হাউজিং প্রকল্পের সাথে জড়িত কয়েকজনকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত আরো ১২০ জনের নামে মামলা করে।সে মামলায় দুজন গ্রেফতার করেন সিরাজদিখান থানা পুলিশ। মমালার আয়ু এস আই মামুন জানান,সে মামলার সবাই এখন জামিনে বাহিরে আছেন আমরা ইচ্ছে করলেও এখন আর কাউকে গ্রেফতার করতে পারছিনা। এলাকার সুশীল সমাজের সাথে কথা বললে তারা জানান,আমাদের এই চর এলাকার ফসলি জমিনগুলো এই ভূমিদূষ্যরা শেষ করে ফালাইতাছে।এই হাউজং করে তিন দফা মারামারি হইছে শেষ পর্যন্ত মীর আলী নামে একজন মার্ডার হইলো কিন্ত আমাদের এলাকার জমি দখল আর হাউজিং নিয়ে কাড়াকাড়ি শেষ হইলোনা।কতদিন পর পরই সাইনবোর্ড টাঙানো নিয়ে মারামারি কাটাকাটি হয় আমরা নিরীহ পাবলিক তার মাসুল দেই।এলাকাবাসী আরো জানান,এই এলাকায় আওয়ামীলীগ বিএনপির কুখ্যাত সন্ত্রাস ভূমিদূষ্যরা এক হয়ে থানা পুলিশ ম্যানেজ করে এইসব অবৈধ কাজ গুলো করে।তথ্যে জানা যায় কিছুদিন আগে চান্দের চর এলাকায় মীর আলী হত্যা মামলার পলাতক আসামী ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাদের নেতৃত্বে এই এলাকায় হাউজিং থেকে শুরু করে সব ধরনের অবৈধ প্রকল্প হচ্ছে।ফসলি জমির মাটি লুট থেকে শুরু করে হাউজিং প্রকল্প এমনকি জনবহুল ও ঘনবসতি এলাকায় পরিবেশ বিরোধী ডগ ইয়াড ও দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন তারা।যা নিয়ে এলাকাবাসী ভয়ে ভীতু সন্ত্রস্ত অবস্থার মধ্যে দিন যাপন করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, বিষয়টা আমি অবগত আছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যা যা করার দরকার আমি করছি এবং করবো।সিরাজদিখান থানার ওসি (প্রশাসন) মো. ফরিদ উদ্দিন জানান,গতকাল সংবাদ পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে মাঝরাতেই পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশের হস্তক্ষেপে সাইনবোর্ড ভাঙার ঘটনা একেবারে অসত্য। এছাড়া গত ২১ শে ফেব্রুয়ারী রাতে আমার পুলিশ এদিকে যখন শহীদ মিনারে ফুল দিতে ব্যস্ত তখন তারা আমাকে জানান তারা আশংখা করতেছে তাদের হাউজিং প্রকল্পে হামলা হতে পারে এখন কি আমার শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া বড় না রাত তিনটার সময় হাউজিং প্রকল্পে পাহারা পাঠানো বড়। শহীদ মিনারের প্রগ্রাম হলো জাতীয় প্রোগ্রাম এখন আমি জাতীয় প্রগ্রাম বাদ দিয়ে ওখানে পুলিশ পাঠাবো। ওসি আরো বলেন,এসপি সাহেব বলেছেন উভয় পক্ষকে একসঙ্গে বসানোর জন্য কিন্ত তরা কেউ বসতে চাচ্ছেনা।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম