চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৪:৩২ অপরাহ্ণ, ২৬ মার্চ, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়ায় গরীবদের মাঝে সরকারি চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বাঘড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলামের ছোট ভাই মুক্তি হোসেনের উপস্থিতে ৫৪০টি কার্ড কার্ডধারীর কাছ থেকে ৫০ টাকা করে আদায় করা করে হিসেব অনুযায়ী জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও পরিমাপে ২ কেজি করে চাল কম দেওয়া হচ্ছে। এসময় কোনও ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বাঘড়া বাজারে অবস্থিত ইউপি চেয়ারম্যানের নিজস্ব মার্কেট থেকে এই চাল বিতরণে অনিয়ম করা হয়। স্থানীয় ও ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানায়, দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকার সারাদেশে লকডাউন করায় সাধারণ খেটে খাওয়া কর্মজীবি মানুষ গুলো দিন দিন কর্মহীন হয়ে পরছে। এতে করে সরকার হত দরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত নেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাঘড়া ইউনিয়নের ৫৪০ জনের মধ্যে জন প্রতি ৩০ কেজি করে সরকারি চাল বিতরণ করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানায়, দেশের চরম দুর্যোগ মোকাবেলার মুহুর্তে স্থানীয় চেয়ারম্যান ঢাকায় অবস্থান করার সুবাদে তার ছোট ভাই মুক্তি হোসেন ও চালের ডিলার হোসেন আলীর কারসাজিতে ট্যাগ অফিসারকে অনুপস্থিত রেখে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে কার্ডধালীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার পাশাপাশি পরিমাপেও কম দিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, মাপে ২ কেজি চাল কম দিচ্ছে। কার্ড প্রতি ৫০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও একই পরিবারের মধ্যে একাধিক নামে কার্ড দেয়ারসহ অনেক স্বচ্ছল পরিবারকেও এই কর্মসূচির আওতায় চাল দেওয়া হয়েছে।চালের ডিলার মো. হোসেন আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই বারই নতুন ডিলার। ট্যাগ অফিসার অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে ডিলার বলেন, ট্যাগ অফিসার কি? তা তো জানিনা! বাঘড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় আছি। চাল বিতরণের বিষয়টি প্রথমে তিনি অস্বিকার করলেও পরে বলেন, হত দরিদ্রদের চাল বিতরণে অনিয়ম হয়ে থাকলে ইউএনও সাব আছে, ট্যাগ অফিসার আছে তারা দেখবে।এব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, চাল বিতরণে কেউ অনিয়ম করে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উল্লেখ্য, চাল বিতরণে অনিয়ম এটা বাঘড়ায় নতুন কোনও ঘটনা না। এর আগেও গত ২০১৯ সনের নভেম্বর মাসেও বাঘরা ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ২৪০ বস্তা চাল কালো বাজারে বিক্রি করে দেয় সংশ্লিস্ট ডিলার।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম