চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৩:১৩ অপরাহ্ণ, ২০ এপ্রিল, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরকারি উন্নয়ন সহায়তার আওতায় একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন শ্রীনগরের আড়িয়ল বিলের কৃষকদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মেশিনটি উপজেলার আড়িয়লবিলের কৃষকদের জমির ধান কাটার জন্য এখন ব্যবহৃত হবে। এতে করে বিল পাড়ের শত শত কৃষকের মনে আশার আলো ফিরে এসেছে।সোমবার সকালে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহ আলমের তত্ত¡াবধায়নে মেশিনটি শ্রীনগরে আনা হয়। এসময় মুন্সীগঞ্জ জেলার ডিডি শাহ আলম বলেন, আড়িয়লবিলের ধান কাটার জন্য উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন (এফএম-ওর্য়ান্ড) কম্বাইন্ড হারভেস্টারটি আনা হয়েছে। ধান কাটার জন্য সম্পূর্ণভাবে মেশিনটি এখন প্রস্তুত। এর দাম ২০ লাখ টাকা। এরমধ্যে অর্ধেক টাকা কৃষকের। শর্ত সাপেক্ষে মেশিনটি বিলের ধান কাটার কাজে নিয়োজিত থাকবে। কম্বাইন্ডটি ঘন্টায় ১ একর জমির ধান কাটতে সক্ষম। একই সাথে ধান কাটা ও মারাইয়ের কাজ হবে। তিনি আরো বলেন, অন্যত্র থেকেও আরো কম্বাইন্ড হারভেস্টার ব্যবস্থার লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি অফিস কাজ করছে। এছাড়াও ইতিমধ্যেই অন্য জেলা থেকে ধান কাটার জন্য এখানে প্রায় ৩০০ জন শ্রমিক আনা হয়েছে। বাকি শ্রমিক আসার অপেক্ষায় আছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মসিউর রহমান মামুন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান জিঠু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা বেগম, উপজেলা কৃষি (ভারপ্রাপ্ত) অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম ও কৃষক মালেক মোড়ল প্রমুখ।উল্লেখ্য, আড়িয়লবিলে প্রায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ করা হয়। এরমধ্যে শ্রীনগর উপজেলার আওতাধীন আড়িয়লবিলে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করেন এখানকার কৃষকরা। উপজেলায় মোট ধানের চাষ করা হয় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে। বছরের এই সময়ে আড়িয়লবিলের অনেক নিচু জমিতে আগাম ধান পেকে গেলেও করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে লকডাউন পরিস্থিতিতে শ্রমিকের অভাবে ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ও হতাশায় পরেন বিল পাড়ের হাজারও কৃষক। এনিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রতিবেদনে জমির পাকা ধান নিয়ে কৃষকদের বিপাকে পরার বিষয়টি উঠে আসে। এর পর থেকেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর বিল পাড়ের কৃষকদের দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০ এপ্রিল সোমবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা প্রশাসন একটি নতুন কম্বাইন্ড হারভেস্টার হস্তান্তর করেন। এতে করে কৃষকদের মাঝে আশার আলো ফিরে এসেছে।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম