চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ১২:২২ অপরাহ্ণ, ১৪ মে, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান প্রতিনিধিঃ
বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করেই, জমে উঠেছে সিরাজদিখান উপজেলার মার্কেটগুলোতে ঈদের বাজার।সরকারি সিদ্ধান্তের পর আটটি শর্ত জুড়ে দিয়ে ব্যবসায়ীদের সীমিত পরিসরে দোকানপাট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়। তবে আটটি শর্তের একটিও মানছেন না এই উপজেলার মার্কেটের ক্রেতা ও বিক্রেতারা।বুধবার উপজেলা পর্যায়ে সবকটি ইউনিয়নের সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠিানে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় বাজার গুলোতে কেনা-বেচার ধুম পড়েছে। খোলা হয়েছে ফুটপাতের দোকান থেকে শুরু করে শপিংমল ও বড় বড় বিপনী বিতান গুলো। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউ মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। কয়েকটি দোকানের সামনে ছাড়া নজরে পড়েনি বিপনীতে সেনেটাইজেশন ব্যবস্থা অথবা নূন্যতম হাত ধোয়ার সুযোগ। যা আছে তা দায়সারা মাত্র। সকল স্থানেই উপচে পড়া ভিড় ছিল লক্ষনীয়। সড়কে চলছে সিএনজি, ইজিবাইক, চার্জার রিকশা, মাটরসাইকেল,নানান যানবাহন। প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে খোলা হয়েছে ছোট ছোট চা ষ্টল গুলোও। আনাচে কানাচে চলছে রিতিমত জমজমাট খাবারের হোটেল ব্যবসাও। এ যেনো অন্য বছর গুলোর মতো স্বাভাবিক ঈদ বাজারের রূপ। দেখে মনে হবে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলা যেনো করোনামুক্ত।
ভিবিন্ন বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, আমরা নিরুপায় আর ক্রেতারা সচেতন নয়। অন্যদিকে, ক্রেতারা বলছেন প্রশাসনিক কোনো নজরদারি নেই মার্কেটগুলোতে।বুধবার সকাল থেকে উপজেলার সিরাজদিখান বাজার নিমতলা বাজার বালুচর বাজার তালতলা বাজারে যেমন ছিলো বযাংকগুলোতে ভিড় তেমন ঈদের শপিং করতে আসা উপচে পড়া নানান শ্রেণী পেশার মানুষের ভিড় দেখে বুঝার অবস্থা নেই যে আজও সিরাজদিখান উপজেলায় ২ জন নার্সসহ ৪ নারী করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
সিরাজদিখান উপজেলাধীন মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সামজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জীবানুনাশক ব্যবহার করা, মাক্স ও হ্যান্ডগøাভস ব্যবহার করাসহ মোট আটটি শর্তের একটিও মানছে না কেউ কেউ। করোনা পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের মতো গোটা বাংলাদেশও যখন আতঙ্কে তখন সিরাজদিখান উপজেলায় কারো মাঝে নেই উদ্বেগের কোনো ছাপ। দেশ যে করোনার মহামারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেটিও বোঝার উপায় নেই।
বালুচর বণিক সমিতির সাধারন স¤পাদক উজ্জল হাসান বলেন,সরকারের দেওয়া সবকটি বিধিনিষেধ মেনেই আমরা বাজার কমিটি মিলে বালুচর বাজার ওপেন করেছিলাম কিন্ত সিরাজদিখান প্রশাসনের তাৎক্ষণিক নির্দেশনা পেয়ে মুহূর্তে আবার বাজার বন্ধ করে দিয়েছি।
সিরাজদিখান থানার ওসি অপারেশন আজিজুল হক জানান,বুধবার মার্কেটগুলো খুলে ছিলো,মার্কেটগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখে মনেই হবে না দেশে করোনা ভাইরাসের মহামারি চলছে। করোনা ঠেকাতে প্রধান শর্ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। তবে কারো মাঝে সেই বিধিনিষেধের বালাই চোখে পড়েনি।আমরা বেলা ১২ টায় ম্যাসেজ পাওয়ার পর সাথে সাথে উপজেলার সব বাজারে গিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। তিনি আরো বলেন শপিংমলসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের
মালিকদের প্রতিষ্ঠানের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা, ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের মাস্ক পরা, হ্যান্ডগøাভস ব্যবহার করা, চার ফুট দরত্বে ক্রেতাদের অবস্থান নিশ্চিত করা, পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দেয়াসহ ৮ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো। সরেজমিনে গিয়ে দেখি এই ৮ দফা নির্দেশনার কিছুই মানা হয়নি।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম