চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: মৌচাষিরা পালিত মৌমাছি নিয়ে যাচ্ছেন শর্ষে ফসলের ফুল ফোটা জমিতে। সেখানে অজ ফুল থেকে মধু আহরণ করে মৌচাকে জমা করছে মৌমাছির দল। অগ্রহায়ণ থেকেই মধু সংগ্রহের মৌসুম শুরু হয়। এখন পৌষ মাস। এ সময়টায় মৌমাছি ও শর্ষে চাষিদের ব্যস্ততা যেন একসূত্রে গাঁথা। এখন ক্ষেতের পর ক্ষেত, মাঠের পর মাঠ হলুদ রঙে একাকার হয়ে গেছে। ভোরের শিশির বিন্দু ঝরছে ফুলে ফুলে। সূর্য উঠতেই শুরু হয়ে যায় মৌমাছির মধু সংগগ্রহের ব্যস্ততা। তা চলে সূর্যের আলো নিভে যাওয়ার আগ পর্যন্ত। সকাল, দুপুর, বিকেল প্রতিটি ক্ষণেই যেন প্রকৃতির নানা রূপ ভর করে সিরাজদিখানের রাজানগর ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকার মধুপল্লীতে। বিস্তীর্ণ জমিজুড়ে এখন মনকাড়া শর্ষে ফুলের হলদে রঙের মেলা। সেখানেই চলছে মৌমাছির মধু আহরণের কর্মযজ্ঞ। শর্ষে ক্ষেতের পাশেই সারিবদ্ধভাবে বসানো হয়েছে মৌমাছির বাক্স। হাজার হাজার মৌমাছি হলুদ রঙের শর্ষে ফুল
থেকে মধু সংগগ্র করে বাক্সে জমা করছে। ছয়-সাত দিন পরপর ওই সব বাক্স থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রতি বাক্সে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মৌমাছি আর একটি মাত্র রানী মৌমাছি থাকে। রানী মৌমাছি ডিম দেয়। সারাদিন মাছিগুলো শর্ষে ফুলে পরাগায়ন ঘটায় এবং মধু সংগ্রহ করে। ৬০টি বাক্স নিয়ে ‘দিগন্ত’ খামারের মালিক মো.আলম শেখ মৌমাছি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজদীখানের নয়ানগর গ্রামের শর্ষের জমিতে। মৌমাছিগুলো বাক্স থেকে নির্দিষ্ট পথে বের হয়ে ক্ষেতের ফুলে ফুলে বসে মধু সংগ্রহ করে ফিরে আসছে বাক্সে। আর বাক্সের ভেতরে থাকা বিশেষ ফ্রেমে মৌচাকে মধু জমা করছে। প্রতিটি বাক্সে রয়েছে ৮ থেকে ১০টি ফ্রেম। ‘দিগন্ত’ মৌ খামারের মালিক মো.আলম শেখ বলেন,‘ ছয় মাস আমরা মধু সংগ্রহ করি। আমাদের তিন থেকে চার লাখ টাকা আয় হয় তবে আমরা ন্যায্য দাম পাই না এবং বাকি ছয় মাস মৌমাছি পালতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। মৌমাছিকে চিনি খাওয়াতে হয়। তাদের রাখতে আমাদের অনেক খরচ হয়।’ সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, ‘মৌমাছির এই চাষ শুধু মৌচাষিকেই স্বাবলম্বী করছে না, বরং দেশের শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি করছে। শর্ষে ক্ষেতে মৌমাছি এক ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে অন্য ফুলে গিয়ে বসছে। এতে মৌমাছির পায়ে পায়ে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে পরাগায়ন হচ্ছে। এতে ফসলের উৎপাদন বেড়ে যাচ্ছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। একদিকে ফলন বৃদ্ধি আবার সঙ্গে বাড়তি লাভ মধু।’
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম