চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৫:০৪ অপরাহ্ণ, ৭ জুলাই, ২০২০
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মুন্সীঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ৮ গ্রামের প্রায় ১২ হাজার মানুষের যাতায়াতে ভোগান্তির শেষ নেই। কানার বাজার থেকে পাথরঘাটা পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার কাচা মাটির রাস্তায় সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়ে রাস্তাটি। কাচা ও সরু রাস্তাটি বৃষ্টির কারনে কাদা ও পিচ্ছিল হওয়ায় স্কুল-কলেজ মাদরাসা ও বাজারে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাজারো মানুষের। স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও উন্নয়নের তেমন কোনো ছোয়া পায়নি রাস্তাটি। তাই স্থানীয়দের দাবি অতি দ্রæত রাস্তাটি সংস্কার করা হয় যেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুয়াখোলা বাঘবাড়ি, আগলাপাড়া, দক্ষিণপাড়া, মোল্লাবাড়ি, কিয়াবাড়ি, দেওয়ানপাড়া, গোয়ালপাড়া,পশ্চিমপাড়া মানুষের চলাচলের এ রাস্তাটি একেবারেই নাজুক অবস্থা। এমনকি কৃষকদের ফসল ভালো হলেও ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না রাস্তাটির কারনে। একই অবস্থা মৎস্য চাষিদের। রাস্তাটিতে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে বৃষ্টির পানি জমাট ও কাদা মাটির কারনে ইমার্জেন্সি রোগীদেরকে সঠিক সময়ে নেওয়া যাচ্ছে না হাসপাতালে। রাস্তাটি সংস্কার হলে ৫০ মিনিটেই পৌছানো যাবে ঢাকায়।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ রাস্তাটির কারনে স্কুল,কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। কাদা মাটির এ রাস্তাটি দিয়ে মাহিন্দ্রা চলার কারনে রাস্তাটি আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাজী মো.আইয়ুব খান বলেন, এ রাস্তাটির জন্য এমপি মহোদয়ের কাছে স্থানীয় লোকজন নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনি রাস্তাটি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই চলাচলে রাস্তাটি অযোগ্য হয়ে পড়ে। গর্ভবতী নারীদের হাসপাতালে পৌঁছাতে পৌঁছাতে হয় রাস্তায় সন্তান প্রসব করবে না হয় রাস্তায়ই মারা যাবে। তিনি আরো বলেন,রাস্তাটির কারনে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পায়না। অন্য গ্রামের কৃষকরা যদি ৪ শত টাকা মন পায় আমাদের এখানের কৃষকরা পায় ৩ শত টাকা মন। বিগত ৫/৬ বছর আগে মাটি ভরাটকরে রাস্তাটি করা হলেও বিগত দিনে আর সংস্কার হয়নি।বাসাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকার এই রাস্তার মতো খারাপ রাস্তা আর নাই, আমি একাধিকবার উপজেলা মিটিং এ এই রাস্তার কথা বলেছি। তবে আমাকে আশ্বাস দিয়েছে অতিশীঘ্রই এই রাস্তা করে দেবে।উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, এই রাস্তাটা আমি নিজে গিয়েও পরিদর্শন করে এসেছি। বাসাইল ইউনিয়নে যে বড় ব্রিজটি কাজ চলছে তা হয়ে গেলেই এই রাস্তার কাজ অতি দ্রæত হয়ে যাবে। আমরা ইতোমধ্যে এই রাস্তার জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি।
ইসমাইল খন্দকার
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম