চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৮:১২ পূর্বাহ্ণ, ১২ জুলাই, ২০২০
সিরাজদিখান(মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ব্যক্তিমালিকানা জায়গা দেখিয়ে টিআর প্রকল্প পাস করে সরকারি টাকা আত্মসাধ করার অভিযোগ উঠেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি প্রকল্পের রাস্তা বাস্তবায়ন না করায় জায়গার মালিকদের রসাতলে পরে ৩ পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের দক্ষিণ চাইনপাড়া গ্রামে। জানাযায়, উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের দক্ষিণ চাইনপাড়া গ্রামের মিজান শেখের বাড়ি থেকে আলম শেখের বাড়ি পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরি করার জন্য ৯২ হাজার টাকা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের টি.আর প্রকল্প বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় ইউনিয়নের ৭ নং ইউপি সদস্য মো. আবু সাঈদ মাদবর। ইউপি সদস্য আবু সাঈদ মাদবর মিজান শেখকে রাস্তা নিমার্ণের দায়িত্ব দেয়। ব্যক্তিগত উদ্যোগে সুমন শেখ তার জায়গায় নিজ টাকায় ডোবা বালু দিয়ে ভরাট করে। ইউপি সদস্য আবু সাঈদ ও মিজান শেখ বালু ভরাট দেখিয়ে সরকারি প্রকল্পের টাকা আত্মসাধ করে বলে স্থানিয়রা জানান। কিন্তু সেখানে রাস্তা না করে ব্যাক্তি স্বার্থে পুকুর ভরাট করে দিয়েছে ইউ.পি সদস্য মো. আবু সাঈদ মাদবর। সেই রাস্তায় বাশের বেরা দিয়ে নান্নু শেখ, কাশেম শেখ ও হাসেম শেখের বাড়ীর লোকজনের যাতাযাত বন্ধ করে দেয়া হয়। আটকে পারা বাড়ীর এক মহিলা বলেন, আমরা এখন বাসা থেকে বের হতে পারছি না। আমাদের পিছনে সরকারি রাস্তা হওয়ার কথা ছিল, আমার বাসার উত্তর পাশ দিয়ে। সরকারি হওয়ার কথা বলায় আমামরা জায়গাও রেখে দিয়েছে। এখন সেই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সুমন শেখ বলেন, এখানে সরকারের কোনো প্রজেক্ট হয়েছে এটা আমরা জানি না এবং আমাদেরকে কেউ জানায়নি। আমাদের টাকা দিয়ে বালু ভরাট করেছি। তাই বাড়ীর দেয়াল দিয়েছি। চেয়ারম্যান সাহেব বলে গেছে এটা আমাদের ভুল না। সরকারি টাকা আসুক বা না আসুক আমরা জানি না। আমাদের জায়গায় কোন সরকারি মাটি ফালানো হয় নাই। চেয়ারম্যান সাহেব দুইটা সালিশ করেছে এই জায়গার বিষয়ে। এখানে বলা হয়েছে যে ভুল করেছে মিজান। অভিযুক্ত মিজান শেখ বলেন, সাঈদ মেম্বার সাহেব আমাকে ৭২ হাজার টাকা দিয়েছে। পাশের বাড়ির তারা জায়গা না দেওয়ায় আমি রাস্তা আমার জমির উপরদিয়ে করেছি। আমার ব্যক্তিগত রাস্তা দিয়ে কারো যেতে দিবোনা। সরকারি যে রাস্তা বানানো হয়েছে সেই জায়গায় সুমনরা ওয়াল দিয়ে রেখেছে। সেই জন্য আমি ও আমার জমির উপর দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছি। তারা যদি ওয়াল ভেঙে দেয় তবে আমিও আমার জমি থেকে বেড়া সরিয়ে রাস্তা দিয়ে দিব। দরকার হলে আমি প্রকল্পের টাকা ফিরিয়ে দিবো। জৈনসার ইউনিয়ন ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য আবু সাঈদ মাদবর জানান, আমি মিজানকে টাকা দিয়েছি রাস্তা করার জন্য। গত বুধবার চেয়ারম্যান সাহেব দুই পক্ষকে ঢেকেছিল, তারা আসেনি। তখন চেয়ারম্যান সাহেব বললো সাবেক মেম্বার আর তোমরা বসে এটা মীমাংসা করো। এভাবেই আছে এখনো, কোন সমাধান হয়নি। প্রকল্পটি ২০১৮-১৯ সালের বরাদ্দ আসছিল। আমার মাধ্যমেই প্রকল্পের কাজটি হয়। জৈনসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম দুদু বলেন, আমি প্রকল্প বরাদ্দ দিয়েছি। মেম্বার রাস্তা তৈরি করেছে। আমি মেম্বার ও মিজানকে বলেছি সরকারি টাকার রাস্তা বুঝাইয়া দিতে। সরকারি টাকার রাস্তা কোথায় সেটা তারা বের করে দিবে।
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম