সিরাজদিখানে সাংবাদিকের বাড়িতে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য দৈনিক মানবকণ্ঠের সিরাজদিখান প্রতিনিধি কবি ও সাংবাদিক সালাহউদ্দিন সালমানের বাড়িতে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসার অভিযোগ পাওয়া গেছে । সাংবাদিক সালাহউদ্দিন সালমান জানান প্রতিমাসে সচরাচর তার বাড়ির বিদ্যুৎ বিল আসে ৬০০ শ থেকে ৭০০ শত টাকার ভিতরে কিন্ত গত জুন মাসে সে বিল এসেছে ১৬৮৯ টাকা এবং জুলাই মাসে এসেছে সাড়ে ১৪৪৯ টাকা।সাংবাদিক সালমান আরো জানান তিনি জুন মাসে অতিরিক্ত বিল আসার সাথে সাথে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -৪ আব্দুল্লাহপুর সাব জোনাল অফিসে সশরীরে গিয়ে অভিযোগ করলে অফিস কর্মকর্তা আশ্বাস দেন তারা এটা সরেজমিনে এসে দেখবে কিন্ত বিদ্যুৎ অফিস থেকে কেউ আসেনি উল্টো জুলাই মাসে আবার যখন ১৪৪৯ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসে তখন আব্দুল্লাহপুর সাব জোনাল অফিসের এজিএম জিলানীর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে এজিএম গড়িমসি করে মূল কথা এড়িয়ে যান এবং তাকে অফিসে যেতে বলেন।তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ অফিসে গেলে এজিএম কে তার চেম্বারে পাওয়া যায়নি ফোন দিলে বলেন ওনি বাহিরে গেছে কাজে। অফিস কর্মকর্তার সাথে কথা বলে সমাধান করতে কিন্ত অফিস কর্মকর্তা কর্মচারীরা সাংবাদিকের কথা আমলেই নেয়নি বলে জানান সাংবাদিক সালাহউদ্দিন সালমান।জানাযায় সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ড ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -৪ আব্দুল্লাহপুর সাব জোনাল অফিসের আওতাধীন হওয়ায় এইসব এলাকাগুলোর একাধিক বাড়িতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল সহ নানাবিধ ঝামেলা প্রতি মাসে লেগেই থাকে।কোন কারণে লোডশেডিং হলে অথবা জরুরী প্রয়োজনে তাদের সাথে যোগাযোগ নাম্বারে ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেনা।দুর্ঘটনায় বিদ্যুৎ চলে গেলে তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী মেরামত করতে আসে মাঝে মাঝে দিন পার হয়ে যায়। আর এই এলাকাগুলোর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল সংক্রান্ত ঝামেলা হলে অফিসে ডেকে মানুষদের হয়রানি ছাড়া কোন সমাধান তারা দেয়না বলেও এ বিষয়ে আছে এলাকাবাসীর ব্যাপক অভিযোগ।এ ব্যাপারে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -৪ আব্দুল্লাহপুর সাব জোনাল অফিসের এজিএম জিলানী বলেন,আমি বিষয়টা জেনেছি।আসলে বিল যদি একবার করে ফেলা হয় তাহলে আর কিছুই করা যায়না।তবে অনাকে বলেছি প্রিপেইড মিটার নিয়ে নিতে।