চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ২:২৭ অপরাহ্ণ, ২২ আগস্ট, ২০২০
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কবলে পরে পৃথিবীর বহু দেশ দিশেহারা হয়ে দিন পার করছে। বাংলাদেশেও তার ব্যতীক্রম নয়। দেশের মানুষ যখন মহামারী করোনা ভাইরাসের কবলে পরে দিশেহারা, ঠিক তখনি এক শ্রেণীর অসাধূ ব্যবসায়ী ব্যবসার আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপ। অবৈধ পন্থায় হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এমনকি সেগুলোতে দিনরাত চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ! তাদের দেখে মনে হয় করোনাও তাদের কাছে অসহায়! এমনি একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে মালিক ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। যেটি মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের ইছাপুরা চৌরাস্তা সংলগ্ন স্থানে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটির নাম টিএফসি চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টার। ওই রেস্টুরেন্টেটিতে সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত নির্বিঘ্নে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ! রেস্টুরেন্টটির ভিতরে তিনটি গোপন কক্ষ রয়েছে। যে গুলো রেস্টুরেন্টে আসা প্রেমিক যুগলদে অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য ঘন্টা প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার বিনিময়ে ভাড়া দেওয়া হয়। কক্ষ তিনটির ভিতরে রয়েছে লাল ও সবুজ বাতির ব্যবস্থা। যা বিশেষ সময়ে জ্বালিয়ে ভিতরে থাকা প্রেমিক যুগলদের সাবধান করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ টিএফসি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টটিতে অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছে। প্রতিদিন ৪-৫ জোড়া যুগল প্রেমিক প্রেমিকা এখানে খাওয়ার নাম করে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া রেস্টুরেন্টের ভিতরে প্রবেশ করে ময়লা ফেলার ঝুরিতে বেশ কয়েকটি কনডমের খোসা আলামত হিসেবে দেখতে পাওয়া যায়। যা দেখে রেস্টুরেন্টেটিতে অসামাজিক কার্যকলাপে গভীরতা পরিমাপ করা যায়।রেষ্টুরেন্টটির আশপাশের দোকানিরা মৌখিক অভিযোগ করে বলেন, বাহির থেকে মেয়ে এনে তাদেরকে দিয়ে যৌনকর্মীর কাজও করান রেস্টুরেন্টেটির মালিক পক্ষ ও সংশ্লিষ্টরা। তাদের প্রশ্ন এটি কি রেষ্টুরেন্ট নাকি মিনি পতিতালয়? এছাড়া বিভিন্ন মহলের লোকজনকে ম্যানেজ করে রেস্টুরেন্টেটি অসামাজিক কার্যকলাপ চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তারা। এতে করে অবৈধভাবে মেলামেশা সহজলভ্য ও নিরাপদ স্থান মনে করে আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্র ছাত্রীরা অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে যাচ্ছে সহজেই। সুশিল সমাজের লোকজন মনে করছেন অসামাজিক কার্যকলাপের সহায়ক বেঙের ছাতার মত গড়ে উঠা ছোট বড় রেষ্টুরেন্ট গুলোকে সামাজিক ও প্রশাসনিক ভাবে বন্ধ না করা হলে যুবক যুবতীসহ উঠতি বয়সের স্কুল কলেজ পড়ুয়া
ছাত্র ছাত্রীরা ক্রমশ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে এবং সামাজিকতার চরম অবক্ষয় ঘটবে। রেষ্টুরেন্টটি প্রভাবশালী এক ব্যক্তির ছত্রছায়ায় পরিচালিত হওয়ার কারণে স্থানীয় লোকজন ভয়ে প্রতিবাদ করতে ব্যর্থতা প্রকাশ করেন। এদের মধ্যে সচেতন মহলের কিছু সংখ্যক লোকজন ভয়ভীতি উপেক্ষা করে সাংবাদিকদের মাধ্যমে রেস্টুরেন্টেটি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এর আগেও অসামাজিক কার্যকলাপের চিত্র তুলে ধরে রেষ্টুরেন্টটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি স্থানীয় লোকজনের নজরে আসলেও দৃষ্টিগোচর হয়নি প্রশাসনের।এ ব্যাপারে রেষ্টুরেন্ট মালিক মো.শাহীন আজাদ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি থাইল্যান্ডে ছিলাম। আগে আমাদের এখানে ভূলত্রুটি ছিলো। সেগুলো এখন আর নেই। যদিও থাকে তাহলে আমরা সুধরে নিবো।অপরদিকে স্কুল কলেজগুলোকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠা ছোট বড় রেষ্টুরেন্ট গুলোর শিংহভাগেই চলে অসামাজিক কার্যকলাপ! এমনকি মহামারীর মধ্যেও থেমে নেই সেগুলো। সস্প্রতি থানা পুলিশ মধ্যপাড়া ইউনিয়নের একটি রেস্টুরেন্টের কক্ষ থেকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করে থানায় আনার পর মুচলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার নজিরও রয়েছে। এর আগে প্রশাসনের লোকজন বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলেও প্রকৃত পক্ষে তা বাস্তব রূপ নিতে দেখা যায়নি।ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। যদি এমন কোন বিষয় সেখানে ঘটে থাকে তাহলে রেষ্টুরেন্টটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনকে অবহিত করবো।
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম