সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি:
“শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” এই শ্লোগানে সিরাজদিখানে হত দরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিক্রি শুরু করেছে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস। প্রতি মাসে একবার কার্ডধারী একটি পরিবার ৩০ কেজি করে চাউল পাবেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এ চাউল পেয়ে হত দরিদ্ররা খুশি। তবে কোথাও আবার ৩০ কেজির স্থলে কম চাউল পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে তদারকি করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলার তথ্য পাওয়া গেছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সিরাজদিখান অফিসে বেশির ভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন। সারা দেশের ন্যায় এক যোগে রবিবার থেকে শুরু হয়ে সোমবার উপজেলার ১৪ টি ইউনয়নে এ চাউল বিতরণ করা হয়। এ উপজেলায় ২৮ জন ডিলারের মাধ্যমে ৯ হাজার ১৬ টি পরিবারের মাঝে প্রতি মাসে প্রায় ২ শত ৭১ মে. টন চাউল বিতরণ করা হয়। প্রত্যেক ডিলার ৩শত ২২টি করে পরিবারকে চাউল দিচ্ছেন। তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, তার নাম নতুন দেওয়া হয়েছে। উপজেলা খাদ্য অফিস থেকে তাকে কিছু বলা হয়নি এবং উপজেলার কোলা ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলী ডিলারাাবু বকর চৌধুরী তাকে জানান নি কবে থেকে চাউল বিতরণ করা হবে। তাই তিনি যেতে পারেন নি। তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মো. আনিসুল ইসলাম জানান, তিনি দায়িত্বে আছেন কোলঅ হাতর পাড়া কাউসার এন্টার প্রাইজের। ডিলার কবে থেকে চাউল দিবে জানালে তারা সেখানে যান। রবিবার তিনি জানেন না। গতকাল সোমবার সকালে অফিসে আসার পথে তিনি দেখেন চাউল বিতরণ হচ্ছে। লতব্দী ইউনিয়নের নয়াগাঁও বাজার ডিলার বাদল মন্ডল জানান, উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল তদরকিতে আছেন। তিনি এসে ঘন্টা খানেক থেকে খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে চলে যান। দরিদ্র এ সুবিধাভোীগ অনেকে জানান, প্রধানমন্ত্রী এ চাউল দেওয়ায় তারা খুব খুশি, কেউ বলেন তা না হলে, না খেয়ে মরতে হতো। অনেকে বলেন তারা ঠিকমতই চাউল পাচ্ছেন। আবার অনেকের অভিযোগ ৩০ কেজির কম চাউল তারা পাচ্ছেন।বাড়ৈপাড়া ডিলার মীর আলতাফ হোসেন কাঞ্চন জানান, কোন কোন বস্তায় চাউল কম আসে, বিষয়টি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিসে জানিয়েছেন। তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।তালতলা ডিলার আনোয়ার হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া চাউল পেয়ে জনগণ খুশি। আমরাও সঠিক ভাবে দিতে পেরে খুশি আছি।এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি উপ-খাদ্য পরিদর্শক মো. নোমান তালুকদার জানান, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক দুইটি উপজেলা দেখেন। আমরা একদিনে ২৮ ডিলারকে দেখা সম্ভব হয় না। এক ঘন্টা করে একটা ডিলারদের দেখলেও ৪ ভাগের এক ভাগ শেষ হবে না। তবে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের তদারকি করার জন্য ডিলারদের নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। চাউল কম হওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, কোন বস্তায় ২শ গ্রাম, ৫শ গ্রাম কম হয়। আবার কোন বস্তায় ৫শ গ্রাম বেশি হয়। একজন ডিলার ৩২২ জনকে দিবে, সেখানে সব বস্তা মিলিয়ে ৯৬৬০ কেজি দেওয়া হয়।
Post Views:
৪২০