সুজন বেপারী – মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মালির পাথর ও ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় সরকারি রাস্তার ওপর দীর্ঘদিন ধরে রমরমা বালু ব্যবসা করে আসছে প্রভাবশালী অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা। এতে রাস্তা ঘাট ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হলেও নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তারপুর এলাকার শাহআলম , মালির পাথর ও ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার ওমর ফারুক, আরমান, আওলাদ, বাক্কাসহ প্রায় ২০টি অবৈধ বালু বিক্রির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বালু ব্যবসায়ীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই কোনো প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের সামনেই রমরমা ব্যবসা করলেও পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চলছে এসব অবৈধ বালু ব্যবসা। এসব বালু ব্যবসায়ীদের কারণে মুন্সীগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধটির মালির পাথর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। বাঁধটির ওপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্নভাবে ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করছে। তাছাড়া ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার বিভিন্ন স্থানে বাঁধের ওপর দিয়ে নদী থেকে ড্রেজারের পাইপ বসিয়ে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। রাস্তার পাশে এ ধরনের বালু বিক্রির একাধিক গদি হওয়ায় বাতাস আসলেই বালু উড়ে পথযাত্রীদের নাকে মুখে ঢুকছে। রাস্তার ওপর ৩ স্তরের বালু জমে আছে গাড়ি চলার সময় বালু বাতাসে উড়ে গাড়ির যাত্রি ও পথচারীদের গায়ে এসে পড়ে কাপড় চোপড় নোংরা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। পথচারী কালে রিফাত, রহিম, নেছার, রাকিব, অসিমসহ আরও কয়েকজন অনেকে বলেন, দুপুর হলে এলাকাটি দিয়ে রিকশায় চড়ে যাওয়া কিংবা পায়ে হেঁটে চলাটাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া রাস্তার ওপর দিয়ে শত শত মালবাহী ট্রাকসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। একটি গাড়ি যাওয়ার সাথে সাথে প্রায় ১০-১৫ মিনিট পর্যন্ত বালু বাতাসে উড়ে। মালিরপাথর এলাকার কয়েকজন গৃহবধূ বলেন, রাস্তার ধুলাবালি বাতাসে উড়ে বাসা বাড়িতে যাচ্ছে। বাড়িঘর নোংরা হচ্ছে। ঘরের বাহিরে কোনো কাপড় শুকাতে দিতে পারছিনা। বালুর কারণে আমরা ভাল করে নিঃশ্বাসও নিতে পারছিনা। ছেলে মেয়েদের নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। বাচ্চাদের ঠাণ্ডা ও এলার্জি জনিত অসুখ লেগেই থাকে। তাই এসব বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
Post Views:
৬৯৩