চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৪:৪০ অপরাহ্ণ, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের উত্তর তাজপুর গ্রামে কৃষকদের জিম্মি করে ফসলি জমির ক্ষতি করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে কমে আসছে আবাদি জমির পরিমাণ আর কৃষক হারাচ্ছে তাদের পৈত্রিক জমি। এ অবস্থায় ইউপি সদস্য রুপা মেম্বারের বাড়ি হতে তাজপুর বাগতলা পর্যন্ত প্রকল্পের নতুন রাস্তা করার জন্য আশ-পাশের কৃষকদের আবাদী জমির ফসল মারিয়ে গর্ত করে মাটি নেয়ার অভিযোগ দৃশ্যমান। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী কৃষকরা সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করে রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করতে বলেন। তাজপুর গ্রামের জাহিদ শেখের ছেলে আলু চাষী শেখ সাজাহান সাজু,সমরেশ নাথ,শেখ রমজান,বিপ্লব হাওলাদার ফসলি জমির ক্ষতি করে রাস্তা নির্মাণ করায় বাধা দেওয়ায় এলাকায় থমতমে অবস্থা বিরাজ করছে। সরজমিন গিয়ে জানা যায়, রশুনিয়া ইউনিয়নের উত্তর তাজপুর ২ নং ওয়ার্ডে প্রভাবশালীরা দক্ষিন পাশে একটি পাকা রাস্তা থাকা সত্বেও ব্যক্তিগত স্বার্থে রাস্তা নির্মাণের জন্য অনেক দিন ধরে পাঁয়তারা করে আসছে। উত্তর তাজপুর গ্রামের সাধারণ কৃষকগণ ফসলি জমির ফসল ক্ষতি করে যাতে রাস্তা নির্মাণ করতে না পারে এ জন্য সোচ্চার ছিলেন আবাদকারী কৃষকগণ। মঙ্গলবার ভোরবেলা থেকে প্রভাবশালীরা তাজপুর বাগবাড়ি রাস্তার সংযোগ করার জন্য মাটিকাটার যন্ত্র ভেকু দিয়ে আলু ও কফি,সরিষার জমি কেটে রাস্তা নির্মাণ শুরু করে। কৃষকরা তাদের ফসলি জমি কেটে রাস্তাার নির্মাণের খবর পেয়ে সকালে কৃষকরা স্থানীয় প্রশাসন উপজেলা নির্বাহী অপিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করলে প্রশাসন গিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়। এ ব্যাপারে এলাকার হাজী জাহিদ শেকের ছেলে শেখ সাজাহান সাচ্চু বলেন, গ্রামের মধ্যে দিয়ে কয়েকটি রাস্তা থাকার পরও রুপা মেম্বারের বাড়ির ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণের জন্য অনেক দিন চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের কয়েক লাখ টাকার ফসল নষ্ট করে রাস্তা নির্মাণ করতে চাচ্ছেন। তাদেরকে মাটি কাটা বন্ধ করার জন্য আমরা গেলে আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে ফসলি জমির ওপর দিয়ে রাস্তার করার চেষ্টা করে। রাতে থানায় গিয়ে খবর দিলে পুলিশ এসে তা বন্ধ করতে বলেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় জানান, আবাদি জমির উপরিভাগের ১৫ সেন্টিমিটার গভীর পর্যন্ত মাটি বেশি উর্বর হয়। ফলে উপরিভাগের মাটি কেটে নিলে উর্বরা শক্তি কমে যায় এবং ফসলের ক্ষতি হয়। তাই আবাদি জমির ক্ষতি করে এমন ধরনের রাস্তা নির্মাণ করা ঠিক নয়। এ ব্যাপারে রাস্তা নির্মান প্রকল্পের সভাপতি রশুনিয়া ২ নং ওয়ার্ড সদস্য মোমরেজ শেখের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে রাস্তা নির্মানের পূর্বে সকলে মত দিয়ে ছিলেন এখন কেন বাধা দিচ্ছে তা আমি বুঝতে পারছি না। সিরাজদিখান থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. ফরিদউদ্দিন বলেন, ফসলি জমির মাটি কাটায় কৃষকদের অভিযোগ পেয়ে সাথে সাথে পুলিশে পাঠিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করা হয়েছে। সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশফিকুন নাহার বলেন,কৃষকদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি পি আইওকে বলেছি কৃষকের ক্ষতি হলে রাস্তা নির্মান কাজ বন্ধ থাকবে।
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম