চাঁদে ‘বাড়ি’ বানানোর কাজ কতদূর?
মানুষের মুখে প্রায়ই শোনা যায়, চাঁদ নিয়ে নানা কথা। সত্যিই, ঢাকায় রাস্তায় বসে চাঁদের চিন্তা...
প্রকাশিত: ৭:৪২ পূর্বাহ্ণ, ১৩ জানুয়ারি, ২০২০
ছবি: আলোকিত সংবাদ
সিরাজদিখান(মুন্সীগঞ্জ)প্রতিনিধি : দেশের অন্যতম বৃহত আলু উৎপাদনকারী অঞ্চল সিরাজদিখান। জেলা জুড়ে বিস্তীর্ণ জমিতে আলু আর আলু চারায় সবুজের সমারোহ। তাই উত্তোলন করার পূর্বে শেষ মুহুর্তে আলু চারার পরিচর্চায় এখন ব্যস্ত এ অঞ্চলের কৃষক তবে টানা কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে আলু চাষিরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, এখন পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ও শৈত্যপ্রবাহে সিরাজদিখানে আলুর কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে এ অবস্থা চলতে থাকলে আলুর আবাদ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
গেল কয়েক বছর বছরের লোকসান পুষিয়ে লাভের মুখ দেখার আশায় বুক বেঁধে আছেন সিরাজদিখান উপজেলার প্রায় ৩ হাজার আলু চাষী। গতকাল রবিবার সরেজমিনে ইছাপুরা,মধ্যপাড়া,রশুনীয়া,কোলা ইউনিয়ন ঘুরে আলুর জমি পরিচর্চায় কৃষকের ব্যস্ততার চিত্র ফুটে উঠেছে।
ফেব্রুয়ারী মাসের শেষে মার্চের শুরুতেই উপজেলার গ্রাম গুলোতে আলু উত্তোলনের মহোৎসব শুরু হয়ে থাকে। এবার মার্চের প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে আলু উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষকরা। তাই শেষ মুহুর্তে আলুর জমিতে পরিচর্চার কাজ করছেন এখন তারা।
কোলা ইউনিয়নের রক্ষিতপাড়া গ্রামের আলু চাষী আলমগীর হোসেন জানান, ‘এবার তিনি ৪ বিঘা জমিতে আলু আবাদ করেছেন। এখন পর্যন্ত আবাদ ভালো আছে। তার এলাকার অন্য চাষিদের আবাদও ভালো আছে। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে আলুর রোগ-বালাই ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য কৃষি অফিসের পরামর্শে তারা জমিতে নিয়মিত বালাইনাশক স্প্রে করছেন।’
এদিকে, আলু উত্তোলনের উৎসব শুরুর আগে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে শ্রমিকরা ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছেন সিরাজদিখানের বিভিন্ন অঞ্চলে। আলু উত্তোলনে উত্তরাঞ্চলের শ্রমিকদের বেশ চাহিদাও রয়েছে এখানে। জমিতে আলু উত্তোলন করে বস্তা করা থেকে শুরু করে কোল্ড স্টোরেজ কিংবা বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে নিতে কত না কাজ করতে হয় কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের তর্থ্য অনুযাযী বাংলাদেশে বছরে আলুর চাহিদা হচ্ছে প্রায় ৭৯ লক্ষ মেট্রিক টন আর বিদেশে রপ্তানী হয় প্রায় ৫ লক্ষ মেট্রিক টন অথচ বাংলাদেশে আলু উৎপাদন হয় প্রায় ১ কোটি ৫ লক্ষ মেট্রিক টন । সিরাজদিখানের আলো চাষীরা মনে করেন চাহিদা তুলনায় উৎপাদন বেশী হওয়ার কারনেই প্রতি বছর লোকসান গুনতে হচ্ছে আলু চাষীদের ।
এ বছর সিরাজদিখান উপজেলায় ৯ হাজার ২ শ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছে গত বছর ছিল ৯ হাজার ৩ শ ৫০ হেক্টর । প্রতিবছর আলুচাষীরা লোকসানের কবলে পড়ার কারনে আলু চাষের প্রতি তাদের অনীহা দেখা দিয়েছে ।
সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ রায় জানান, ‘মাটি ও জলবায়ু অনুকূলে থাকায় এ বছরও সিরাজদিখানে লক্ষ্যমাত্রার বেশি আলুর ফলন হবে বলে ধারনা করছি। এখন পর্যন্ত সিরাজদিখানে এই আবহাওয়ায় ফসলের কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে এই আবহাওয়া চলমান থাকলে আলুর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
আলোকিত সংবাদ/এমআরকে
ফজর | ৪:২৬ |
জোহর | ১১:৫৬ |
আসর | ৪:৪১ |
মাগরিব | ৬:০৯ |
ইশা | ৭:২০ |
শিরোনাম